চলতি সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেই সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতিও তুলে ধরবেন কমিশনাররা। এ সময় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টিও আলোচনা হবে। এ ছাড়া দেখা করার পরেই যে কোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে চিঠি পাঠিয়েছে ইসি।
আজ-কালের মধ্যে ইসিকে দেখা করার সময় জানিয়ে দেওয়া হতে পারে। বিদ্যমান রাজনৈতিক সমীকরণে পাঁচ সদস্যের ইসিতে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আলাপে উঠে এসেছে তফসিল নিয়ে 'দুই অপশনের' কথা। নির্বাচন কমিশনাররা বলছেন, প্রধান দুই দলের 'সাড়া' মিললে রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য সর্বোচ্চ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে। এক্ষেত্রে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের জন্য অবশ্যই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার 'শেষ সময়' বলছেন তারা। প্রয়োজনে পুনঃ তফসিল এবং ভোটের পর ফল গেজেটে প্রকাশ ও শপথ শেষ করার সময়টুকুও হিসেবে ইসির বিবেচনায় থাকে।
দুই বিকল্পের কথা তুলে ধরে ইসি ও এর সচিবালয় কর্মকর্তারা জানান, তৃতীয় সপ্তাহে (১৭-২৩ নভেম্বর) সব প্রস্তুতি শেষ করে ও পরিস্থিতি দেখে শেষ সপ্তাহে (২৪-৩০ নভেম্বর) তফসিল দিলে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে। তা না হলে ১ ডিসেম্বর রবিবার থেকে ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় রয়েছে ৪৭ দিন। এরপর ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় হাতে থাকে মাত্র এক সপ্তাহ। একজন নির্বাচন কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তৃতীয় সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার আশা শেষ হলে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে তফসিলের প্রস্তুতি আমাদের। এ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি।
যাই হোক না কেন- ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পরে যাওয়ার পক্ষে নই। বেশি দেরি করলে ১-৩ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতেই হবে। এদিকে ৪০-৫০ দিন সময় রেখে ভোটের সময়সূচি ঘোষণার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন সিইসি। ২৭ অক্টোবর থেকে নির্বাচনকালীন ক্ষণ গণনা শুরু হয়। ২৬ নভেম্বর থেকে ভোটের বাকি থাকবে মাত্র ৬০ দিন।
তফসিল প্রস্তুতি ও জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের প্রস্তুতি চলছে ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখা তফসিল ঘোষণার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে রাখছে। আচরণবিধি চূড়ান্ত করে পাঠানো হচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।