প্রাণের প্যাকেটজাত গুঁড়া হলুদের লাইসেন্স সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে দেশে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই। প্রাণের উৎপাদিত হলুদে ক্ষতিকর মাত্রায় সিসা পাওয়ায় গত সপ্তাহে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি।
লাইসেন্স স্থগিত করার ফলে এখন থেকে আর প্যাকেটজাত গুঁড়া হলুদ বাজারজাত করতে পারবে না প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। প্রাণ বলছে, বাজার থেকে তারা সব গুঁড়া হলুদই তুলে নিয়েছে।
বাজার থেকে সংগ্রহ করা প্রাণের গুঁড়া হলুদ পরীক্ষা করে বিএসটিআই ৪০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) থেকে ৫৮ পিপিএম মাত্রায় সিসা পায়।
এর পরই লাইসেন্স স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
যোগাযোগ করা হলে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সার্টিফিকেশন মার্ক—সিএম) কমল প্রসাদ দাস প্রথম আলোকে বলেন, মাত্রাতিরিক্ত সিসা পাওয়ার কারণে প্রাণের গুঁড়া হলুদের লাইসেন্স সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। তিনি জানান, এর ফলে এখন থেকে প্রাণের গুঁড়া হলুদ বাজারে বিক্রি করা যাবে না। যদি এ হলুদ পাওয়া যায়, তাহলে তা ধ্বংস করা হবে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বিএসটিআই চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের একটি চিঠি দিয়েছি। কয়েক ধরনের নমুনা গুঁড়া হলুদ পাঠিয়ে বলেছি এগুলো পরীক্ষা করে দেখতে। যে হলুদটাই তাদের কাছে মানসম্মত মনে হবে, আমরা সে অনুযায়ীই হলুদ উৎপাদন ও বাজারজাত করব। ’
বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, সাময়িকভাবে স্থগিত করা লাইসেন্স ফিরে পেতে পারে প্রাণ।
তবে এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে গুঁড়া হলুদ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে বিএসটিআইকে জানাতে হবে। এরপর কারখানা ও বাজার থেকে প্রাণের গুঁড়া হলুদ সংগ্রহ করে আবারও পরীক্ষা করা হবে। যদি তাতে সিসা পাওয়া না যায়, তাহলে লাইসেন্স স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।