আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শচীনের প্রশংসায় গুরু

ক্রিকেটের অধিকাংশ রেকর্ডই ক্রিকেট 'ক্রিকেটরাজ' শচীন রমেশ টেন্ডুলকারের ঝুলিতে। বিদায়ের আগে ক্রিকেট থেকে তিনি কি পাননি- যশ, খ্যাতি, সুনাম, অর্থ-প্রতিপত্তি! সবই তো পেয়েছেন। তারপরেও বিদায়বেলায় একটা অতৃপ্তির কথা বলেছেন মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসম্যান। পুরো ক্রিকেট দুনিয়া যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, সেই শচীন টেন্ডুলকারকে নাকি কখনোই প্রশংসা করেননি তার গুরু রমাকান্ত আচরেকার। সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করার পরও নাকি গুরু কখনো শচীনকে বলেননি 'তুমি ভালো খেলেছ।

' তাই বিদায়ী ভাষণে এই বিষয়টি উল্লেখ করেন ব্যাটিং জিনিয়াস। কিন্তু শচীনের অবসরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফোন করে শিষ্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন গুরু রমাকান্ত আচরেকার। শচীনকে বলেছেন, 'অভিনন্দন ভারতরত্ন। সত্যিই তুমি ভারতের হয়ে ক্রিকেটে অনেক বেশি কিছু উপহার দিয়েছ। '

আসলে রমাকান্ত যে শচীনের খেলোয়াড়ি জীবনে প্রশংসা করেননি তার পেছনে যুক্তিও ছিল।

যদি শিষ্যের মনে কোনো অহঙ্কারবোধ কাজ করে। কিংবা অনুশীলন কমিয়ে দেয়। অথবা শচীন যদি আত্দতৃপ্তিতে ভোগেন। তাই কখনোই টেন্ডুলকারের প্রশংসা করেননি তিনি। বিদায়ী ভাষণে শচীন তাই বলেছিলেন, 'এখন নিশ্চয়ই স্যার বলতে পারেন, শচীন ভালো খেলেছ।

আর তো মাঠেই নামব না। ' শচীনের এই চাওয়াটাই যেন পূরণ করে দিলেন গুরু।

লিটল মাস্টারের বিদায়ের দিন মাঠে ছিলেন না গুরু রমাকান্ত। টিভিতেই দেখেছেন প্রিয় শিষ্যের বিদায়। শচীনের আবেগঘন বক্তব্য ভক্তদের মতো তাকেও যেন আবেগাপ্লুত করেছে।

তাই তো বিদায়ী ভাষণের পর থেকেই টেন্ডুলকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তিনি। মেয়ে কল্পনা মুরকর সন্ধ্যার সময় টেন্ডুলকারের সঙ্গে তার কথা বলার ব্যবস্থা করে দেন। এ সময় শচীনকে আর্শিবাদ করেন তিনি। অপ্রত্যাশিতভাবে গুরুর প্রশংসা পেয়ে টেন্ডুলকারও দারুণ খুশি। ব্যাটিং জিনিয়াস বলেছেন, 'আমার জীবন এত দিনে পূর্ণতা পেল।

স্যারের কাছ থেকে প্রশংসা শুনেছি। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার এটি। এর চেয়ে বেশি কিছু আর চাওয়ার ছিল না। সত্যিই আমি ভীষণ আনন্দিত। ' অবশ্য গুরুর ফোন পাওয়ার পর পরই তার বাসায় যেতে চেয়েছিলেন শচীন।

কিন্তু রমাকান্ত শচীনকে নিষেধ করে বলেন, 'এখন তুমি ক্লান্ত বিশ্রাম নাও। পরে সময় করে এসো। '

রমাকান্ত বলেন, 'শচীনের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার আমি আর দেখিনি। তবে ও আরও দুই বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারত। তবে ২৪ বছর ফিটনেস ধরে রেখে খেলা চালিয়ে যাওয়া কিন্তু সোজা কথা নয়।

এটা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে শচীন আরও দুই বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারত। '

কিন্তু শচীন বলেছেন, তিনি উপযুক্ত সময়েই অবসর নিয়েছেন। রবিবার শচীন বলেছেন, 'ঠিক সময়েই আমি অবসর নিয়েছি। আসলে আমার শরীর আমাকে যেন অবসর নেওয়ার জন্য একটা মেসেজ দিচ্ছিল।

'

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।