এক প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, চীনের সরকারি অর্থায়নে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে। টিয়ানহে-২ প্রতি সেকেন্ডে ৩৩ হাজার ৮৬৩ ট্রিলিয়ান ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে। লিনপ্যাক বেঞ্চমার্কের পরীক্ষায় এ তথ্য জানা গেছে।
জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানহিম-এর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এখনকার সবচেয়ে শক্তিশালী ১০টি সুপারকম্পিউটারের মধ্যে প্রথম পাঁচটিই তৈরি করেছে আইবিএম। বছরে দুবার গবেষণাটি পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টিম।
টিয়ানহে-২ সেকেন্ডে ৩৩.৮৬ পেটাফ্লপ ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে। সুপারকম্পিউটারের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সুপারকম্পিউটার টাইটান। সেকেন্ডে ১৭.৫৯ পেটাফ্লপ তথ্য বিশ্লেষণ ক্ষমতা রয়েছে এর।
তৃতীয় দ্রুততম সুপারকম্পিউটারের অবস্থান দখল করেছে সিকোয়া। এর ডেটা বিশ্লেষণের গতি ১৭.১৭ পেটাফ্লপ/সেকেন্ড।
এটিও তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আছে জাপানের তৈরি কে কম্পিউটার। যার গতি ১০.৫১ পেটাফ্লপ/সেকেন্ড। পঞ্চম স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের মিরা। গতি ৮.৫৯ পেটাফ্লপ/সেকেন্ড।
৬ষ্ঠ অবস্থানে সুইজারল্যান্ডের পিজ ডেইন্ট ৬.২৭ পেটাফ্লপ/সেকেন্ড।
তালিকার সপ্তম স্থানে আছে ৫.১৭ পেটফ্লপ গতির যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যামপিড। অষ্টম স্থানে আছে জার্মানির জ্যাকুইন, নবম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ভুলকান ও দশম স্থানে আছে জার্মানির সুপারমাক।
বিবিসি জানিয়েছে, সুপারকম্পিউটাগুলো শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রসেসরের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে সুইজারল্যান্ডের তৈরি পিজ ডায়েন্ট মহাকাশ গবেষণা ও আবহওয়ার খবর নিয়ে বিশ্লেষণ করতে ব্যবহার করা হবে।
টিয়ানহে ২ চালাতে ১৭ হাজার ৮০৮ কিলোওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, যা টাইটানের চেয়ে দ্বিগুণ। টাইটানে প্রয়োজন হয় ৮ হাজার ২০৯ কিলোওয়াট, সিকোয়া চালাতে লাগে ৭ হাজার ৮৯০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।