ফেসবুকের এক পেজের একটা স্ট্যাটাসের কিছু অংশ নিচে হুবুহু কপি করে দিলাম,
"আসিফ মহিউদ্দিন যখন কারাগারের ডায়রি নামক স্ট্যাটাস এ একজন নামাজী ব্যক্তির উদাহরণ দিয়ে তাকে কুকুরের সাথে তুলনা করে ''লালা ঝরার'' কথা লিখে তখন এই ''লালা ঝরা'' হয় প্রগতিশীল শালীন ও আধুনিক। শিক্ষিত ছেলের শালীন ও সুন্দর শব্দ। আর দাড়ি ওয়ালা আহমেদ শফি যখন ''লালা ঝরার'' কথা বলেন তখন হয় তা অশ্লীল, গ্রামজ ভাষা। "
আসিফ মহিউদ্দিন কে? সে একজন ব্লগার এবং একজন নাস্তিক যে কোন অদৃশ্য সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে না। আর আল্লামা শফি? তিনি একজন আল্লাহভীরু বিশিষ্ট মাওলানা এবং তথাকথিত ইসলামের হেফাজতকারি।
দুইজনের মধ্যে মিল কোথায়? খুঁজে পাওয়া যায় কোথাও? আমি খুঁজে পাই না। দুইজন সম্পূর্ণ দুই মেরুর মানুষ। একজন অদৃশ্য সৃষ্টিকর্তায় খুব বিশ্বাসী আর একজন কোন সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করতে সম্পূর্ণ নারাজ।
তো দুই জনের মধ্যে তুলনা দেয়া যায় কিভাবে? একটা কুকুরের সাথে আরেকটা কুকুরের তুলনা করা যায় কিন্তু একটা কুকুরের সাথে আরেকটা মানুষের তুলনা দেয়া যায়না। তো একজন মাওলানার সাথে আরেকজন মাওলানার তুলনা দেয়া যায় কিন্তু একজন আস্তিকের সাথে একজন নাস্তিকের? কিভাবে? যেখানে দুইজনের বিশ্বাসের মুল ভিত্তি সম্পূর্ণ দুই রকম সেখানে তাদের তুলনা দেয়া সম্ভব না।
একজন নাস্তিক সবসময়ই ধর্মের খুঁটিনাটি নিয়ে খারাপ কথা বলবে, ধর্মকে কটাক্ষ করে কথা বলবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একজন ইসলামের "হেফাজতকারী" কিভাবে নারীদেরকে এভাবে অসম্মান করে কথা বলে? আমাদের ধর্মে নারীদের সম্মান করার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং যে আমাদের ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত সে নারীদের সম্মান দিবে, দেওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জনাব শফি হেলিকপ্টারী কি নারিদেরকে তেতুলের সাথে তুলনা করে সম্মান করলেন? প্রশ্ন রইল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।