শুক্রবার আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের এক মুখপাত্র ওয়াশিংটনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার কথা জানান।
আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই চান আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর “সন্তোষজনক পরিবেশে মনোযোগের সঙ্গে” যুক্তরাষ্ট্র-আফগানিস্তান দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি (বিএসএ) সই করতে। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বারবার জানিয়েছে, চুক্তিটি সই করার জন্য তারা ২০১৪ সালের এপ্রিলের পর আর অপেক্ষা করবে না।
চুক্তি সই না হলে ২০১৪ সালের শেষে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রায় সব সেনা প্রত্যাহার করে নিতে পারবে। দুই বছর আগে ইরাকের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি সই করতে ব্যর্থ হওয়ার পর সব সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
“যুক্তরাষ্ট্রের বেধে দেয়া কোনো সময়সীমাকে আমরা মেনে নিচ্ছি না। এরআগেও তারা বিভিন্ন সময়সীমা বেধে দিয়েছিল, তাই এটি আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়,” বলেন কারজাইয়ের অন্যতম মুখপাত্র আইমাল ফাইজি।
বৃহস্পতিবার আফগান পার্লামেন্টের (লয়া জিরগা) এক অধিবেশনের শুরুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট কারজাই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর চুক্তিটি সই করা উচিত বলে মন্তব্য করেন। দুই মেয়াদ প্রেসিডেন্ট পদে থাকার পর তৃতীয় মেয়াদের জন্যও প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কারজাই।
চুক্তির পরিকল্পনাটি প্রেসিডেন্ট কারজাই অনুমোদন করেছেন কিনা তা জানাতে অস্বীকার করেন ফাইজি।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের যে কোনো সিদ্ধান্ত লয়া জিরগার অনুমোদনের ওপর নির্ভর করছে।
“বিএসএ’এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি পুরোপুরি জিরগার ওপর নির্ভর করছে। প্রেসিডেন্ট পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছেন যে ভালো নিরাপত্তা, শান্তি ও ভালো নির্বাচন ওই চুক্তি সইয়ের চাবিকাঠি,” বলেন ফাইজি।
এদিকে, কারজাইয়ের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার জন্য ওয়াশিংটন থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চান চলতি বছরের মধ্যেই চুক্তিটি হয়ে যাক। আফগান কর্তৃপক্ষ চুক্তিটি অনুমোদন করার পর আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ উপস্থিতির বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।