প্রকৃতি, সমাজ ও চিন্তার পারস্পরিক সম্পর্ক এবং গতিশীলতা অনুধাবন করার জন্য কার্ল মার্কস মানবজাতিকে এক বৈজঙানিক পদ্ধতি উপহার দিয়রছেন। এটা বৈজ্ঞানিক, কেননা সম্পূর্ণতা ও উপাত্ত নিরপেক্ষতা সে কখনো দাবি করে নি; সত্যকে একই সাথে চরম ও আপেক্ষিক মনে করে, সামাজিক সত্যকে কখনও দেশ-কালের উর্ধেব বিচার করে না। মার্কসবাদ আপ্তবাক্য নয়, পরিবর্তনীয়তাই তার মূলমন্ত্র । মার্কসবাদের মধ্যে পরিবর্তিত হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। মার্কস নিজেও তার চিন্তাকে প্রতিনিয়ত পরিশীলিত করেছেন।
এখন প্রশ্ন দাঁড়াচ্ছে সকল পরিবর্তন কি মার্কসবাদের বিকাশ? নিশ্চয় না। যে কোন জ্ঞান বিজ্ঞানের মত সকল পরিবর্তন বিকাশ হিসাবে গৃহীত হতে পারে না। যেহেতু মার্কসবাদ শোষক শ্রেণীর মৃত্যু পরোয়ানা সেহেতু তাকে নিয়ে টানা হেচড়া অন্য জ্ঞান বিজ্ঞানের চাইতে অনেক বেশী হবে - এটাই স্বাভাবিক। গত দেড়শ বৎসরের ইতিহাস তার সাক্ষ্য দেয়। এ কথা মনে রাখতে হবে, মার্কসবাদকে জীবন্ত রাখতে হলে, কোটি কোটি মানুষকে তার পতাকাতলে রাখতে হলে তার সূত্রানুযায়ী মার্কসবাদীকে ভিন্নতার মাঝে ঐক্য খুঁজতে হবে।
সমাজের ঐক্য, শ্রমিক শ্রেণীর ঐক্য ও পার্টির ঐক্যকে মিলিয়ে ফেলা যাবে না। মার্কসবাদে সমসত্ত্বতার কোন জায়গা নেই, অথচ প্রচলিত ধর্মীয় চিন্তাকাঠামোর প্রভাবে আমরা সেরকম খুঁজে ফিরি । এখন প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে মার্কসবাদের সকল পরিবর্তনের মধ্যে আসলে কোনটি মার্কসবাদের প্রকৃত বিকাশ-সেটিকে চিনব কি ভাবে? এক্ষেত্রে দুটো পথ আমাদেরকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে :
(ক) মার্কসবাদের সকল ধরনের রূপকে খোলা চোখে বিচার করতে হবে। সংশোধনবাদ বা ডগমা বলে গালি দিয়ে তাকে বুঝার চেষ্টা না করা বিজ্ঞান সম্মত হবে না। যেমন রোজা লুক্সেমবার্গ, লুকাস, হিলফার্ডিং, গ্রামসি, প্লেখানভ, ট্রটস্কি, বুখারিন প্রমুখ তাত্ত্বিকদের লেখা এদেশের রাজনৈতিক মহলে প্রায় নিষিদ্ধ ছিল।
অথচ এদের প্রত্যেকের পান্ডিত্য, বাস্তব অভিজ্ঞতা অতুলনীয়। অনেক ক্ষেত্রে স্ট্যালিন, মাওসেতুং এর চাইতে বেশি। (খ) সামাজিক কর্মকান্ডের অভিজ্ঞতা ও অধ্যয়ন-যুক্তি প্রকৃত বিকাশকে চিনতে সাহায্য করবে। এখানে সময় একটা বড় বিচারক। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য ১৮৪৮ থেকে ১৯২৮ পর্যন্ত শ্রমিক আন্দোলনে যে ধরনের সজীব সৃজনশীল বিতর্ক দেখা যায় তার পরে আর সেটা দেখা যায় না।
আমরা মার্কস- এঙ্গেলস দেখে শিখতে পারি, কীভাবে শ্রমিক আন্দোলেনের ভিন্ন মতাবলম্বী শ্রেণীবন্ধুদের পাশে দাঁড়াতে হয়; প্লেখানভ-লেনিনের দীর্ঘ বিতর্ক আমাদের শেখায় কীভাবে একই দলে থেকে আদর্শগত তর্ক করা যায়, কিভাবে তর্কের বিপরীত মেরুর শ্রেণীবন্ধুকে সাথে নিয়ে (লেনিন-ট্রটস্কি-কামানিয়েভ-জিনোবিয়েভ-বুখারিন সম্পর্ক) শ্রেণীশত্রুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হয়। এই তর্ক ছাড়া মার্কসবাদ বিকশিত হতে পারে না, শ্রমিক আন্দোলন দেখতে পারে না সফলতার মুখ।
তত্ত্ব ধূসর, জীবন সবুজ।
বিপ্লবী তত্ত্ব ছাড়া বিপ্লব হয় না।
শ্রমিক শ্রেণী ও গণতন্ত্র
এটা আমাদের সব সময়ে খেয়াল রাখা দরকার, ব্যক্তিমালিকানার উপর তার অস্তিত্ব নির্ভর করায় বুর্জোয়া শ্রেণী এমন কোন গণতন্ত্র চাইতে পারে না যে গণতন্ত্র ব্যক্তিমালিকানার বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমনকি তার শ্রেণীর অন্তর্নিহিত অধিকতর অসমসত্ত্বতা ও প্রতিযোগিতার কারণেও তার নিজের শ্রেণীর গণতন্ত্র বিকাশের সম্ভাবনা সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে শ্রমিক শ্রেণীর শ্রেণীস্বার্থ ও অবস্থান এমনই যে তাকে সমাজে কর্তৃত্বশীল হয়ে উঠতে গেলে তার প্রায় সকল সদস্যকে সৃজনশীল হয়ে উঠতে হবে। তার এই সৃজনশীল হয়ে উঠা তার ভেতর গণতন্ত্র চর্চা ছাড়া সম্ভব নয়। সে তার শ্রেণীর প্রত্যেক সদস্যকে গণতন্ত্র দিতে চাইবে তার নিজের কারণে, তার অস্তিত্ব অন্য কোন শ্রেণী শোষণের উপর নির্ভরশীল নয়-তাই অন্য শ্রেণীতে অর্থাৎ সমাজে গণতন্ত্র সম্প্রসারণের সম্ভাবনা বুর্জোয়া শ্রেণীর চাইতে অনেক বেশী।
এই কথা মাথায় রাখতে হবে, বিশ্ব অর্থনীতির নেতৃত্বে যতদিন পুঁজিপতিশ্রেণী থাকবে ততদিন শ্রমিকশ্রেণীর গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশ আমরা আশা করতে পারিনা।
এই কথা বলা দরকার যত উন্নত পুঁজিবাদী দেশে শ্রমিক শ্রেণী ক্ষমতায় যাবে গণতন্ত্রের তত উন্নত রুপ দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা। “সোভিয়েত বিপ্লবের ব্যর্থতা” নিয়ে আলাপ করতে গেলে এই বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখা দরকার। *এ তো গেল গণতন্ত্রের মর্মের কথা, এর রূপ কি হতে পারে?
পেটিবুর্জোয়া শ্রেণী ও শ্রেণী উত্তীর্ণ গণতন্ত্র
ইশতেহারে “পেটি বুর্জোয়া সমাজতন্ত্র” শীর্ষক অধ্যায়ে মার্কস-এঙ্গেলস লিখেছেন, “বুর্জোয়া” শ্রেণীর হাতে একমাত্র সামন্ত শ্রেণীর সর্বনাশ হয়নি। ........আধুনিক বুর্জোয়াদের অগ্রদূত মধ্যযুগের নাগরিক ছোট ছোট খোদকস্ত চাষী। শিল্প বাণিজ্যে যে সব দেশের বিকাশ অতি সামান্য, সেখানে উঠন্ত বুর্জোয়াদের পাশাপাশি এখনও এই দুই শ্রেণী দিনগত পাপক্ষয় করে চলেছে।
আধুনিক সভ্যতা যে দেশে সম্পূর্ণ বিকশিত সেখানে আবার পেটিবুর্জোয়ার নতুন এক শ্রেণী উদ্ভব হয়েছে, প্রলেতারিয়েত ও বুর্জোয়ার মাঝখানে এরা দোলায়িত, বুর্জোয়া সমাজের আনুষঙ্গিক একটা অংশ হিসাবে বার বার নতুন হয়ে উঠেছে এরা। এই শ্রেণীর অন্তর্গত বিভিন্ন লোক কিন্তু প্রতিযোগিতার চাপে ক্রমাগত প্রলেতারিয়েতের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হতে থাকে,.........এদের অস্তিত্ব একেবারে লোপ পাবে; শিল্প, কৃষি ও বাণিজ্যে এদের স্থান দখল করবে তদারককারী কর্মচারী, গোমস্তা অথবা দোকান কর্মচারী” অর্থাৎ পুরাতন মধ্যবর্গ থেকে একাংশ শ্রমিক শ্রেণীতে রূপান্তরিত হচ্ছে তেমনি একাংশ বুর্জোয়া শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হচ্ছে; অন্যদিকে নতুন একশ্রেণীর পেটিবুর্জোয়া শ্রেণীর জন্ম দিচ্ছে পুঁজিবাদ। সেখানেও চলছে ভাঙা-গড়া। এই বস্তুগত দুর্বলতা-দোদুল্যমানতা এই শ্রেণীকে রাজনৈতিক ভাবাদর্শগত অবস্থানে স্থির থাকতে দেয় না-সে কখনও অস্থির সমাজতন্ত্রী কখনও ঘোর পুঁজিবাদ সমর্থক, এমনকি ফ্যাসিবাদী শাসনেও মদদ যেগাতে দ্বিধা করেনা; আবার কখনও ‘শ্রেণী উত্তীর্ণ’ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। এঙ্গেলস্ লিখেছেন (১৮৬৮), “শুদ্ধ গণতন্ত্র এদের আশা আকাঙ্খার সঠিক প্রকাশ”।
আমাদের মত ক্ষুদে উৎপাদক ও মধ্যবিত্ত শিক্ষিতের দেশে এই প্রপঞ্চ আমরা বার বার দেখেছি, ভবিষ্যতেও দেখব। সাবধান না থাকলে এরা বার বার বাম-কমিউনিস্ট আন্দোলনে ভয়ানক ক্ষতিকর (অতীতে যেমন করেছে)। আবেগ দিয়ে নয়, যুক্তি-তথ্য দিয়ে তর্ক করুন, কাজ করুন একসাথে ।
দুটো বিশ্বযুদ্ধ, পুঁজিবাদ ও সমাজতান্রিক আন্দোলন
ব্যক্তি-মালিকনায় লাভমুখী সামজিক উৎপাদন হচ্ছে পুঁজিবাদ; অন্যদিকে সমাজিক-মালিকনায় সমাজমুখী সামজিক উৎপাদন হচ্ছে সমাজতন্ত্র । এর বাইরে আজকের যুগে অন্য কোন অর্থনীতি চিন্তা করাও সম্ভর নয়।
দু দুটো বিশ্বযুদ্ধ প্রমাণ করেছে- পুঁজিবাদ ইতিমধ্যে ঠিকে থাকার যৌক্তিকতা হারিয়েছে, কিন্তু সমাজতান্রিক নেতাদের অসৃজনশীলতা, যান্ত্রিকতা ও সুবিধাবাদের কারণে সে এক চোখা হৃদয়হীন দৈত্যের মত সে এখনও ঠিকে আছে; আর অনবরত তাড়িয়ে বেড়ায় আমাদের, ফোঁস ফোঁস করতে লণ্ড ভণ্ড করে সারা পৃথিবী। সে বলে - গণতন্ত্র দাও, গণতন্ত্র ভঙো, ধর্মকে শেষ করো, ধর্মকে কাজে লাগাও, জাতীয়তাবাদী হও বা বিশ্বজনীন হওয়ার জন্য ভান করো, অন্যকে জাতীয়তাবাদহীন করো বা জাতীয়তাবাদে নিমজ্জিত করো, নিজের রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করো, আরো শক্তিশালী করো, অন্য রাষ্ট্রকে ভাগ করো ও দুর্বল করো, দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর বিরোধ উসকাও, তাদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করো, দালাল রাষ্ট্র বানাও, সোজা পথে ক্রমবর্ধমান লাভ নিশ্চিত না হলে বাঁকা পথে ধরে ঘুষ দাও, নারী সরবরাহ করো, সাংবাদিক কেনো, বুদ্ধিজীবী কেনো, সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনো, প্রয়োজনে যত টাকা লাগে প্রধানমন্ত্রী কেনো, তাও যদি না পারা যায় ক্যু করে নিজের দালাল বসাও, সেটা না হলে সরাসরি যুদ্ধ করো। তাতে একঢিলে দুই পাখি মারা যাবে-নতুন বাজার কন্টকমুক্ত হবে এবং সামরিক অস্ত্রের ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সামরিক পুঁজি বর্ধিত হবে। পুরাতন পণ্য ধ্বংসের মাধ্যমে নতুন পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হবে। নিজের দেশে শিল্প চাঙ্গা হবে, কর্মসংস্থান বাড়বে, অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।
চিন্তা করুন, বিকাশমান জাতিসমুহের নবোত্থিত আন্দোলনকে মুল্যায়ন করতে গিয়ে কাউটস্কিসহ অনেকে সরাসরি নানান ধরনের তত্ত্বের আড়ালে নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পক্ষ যদি না নিত; রোজা লুক্সেমবার্গ, পান্নাকোয়েক প্রমুখ এই আন্দোলনের বিপ্লবী তাৎপর্য অনুধাবন করতে যদি ব্যর্থ না হত, স্টালিন যদি “Socialism in One Country” মত অমার্কসীয় তত্ত্ব হাজির না করত, গৃহযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে লেনিন পার্টিতে ও সমাজে যে পরিমাণ গণতন্ত্র দিয়েছিলেন তা যদি স্টালিন গৃহযুদ্ধে বিজয় লাভের পরও প্রচণ্ডভাবে খর্ব না করতেন- তা হলে ষাটের দশকের মধ্যে পশ্চিম ইউরোপ থেকে পুঁজিবাদ উৎখাত হত বলে আমার ধারণা।
স্মরণ করুন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশে পার্লামেন্ট নির্বাচনে কমিউস্টরা কী অসাধারণ ফল করেছিল, কিন্তু স্টালিনের ভূমিকা প্রকাশিত হওয়ার পর তাতে কেমন ধ্বস নেমেছিল। ভারতসহ দেশে দেশে কিভাবে শ্রমিকশ্রেণীর পিতৃভূমি রক্ষার নাম করে নিজ দেশের বিপ্লবকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। পরিবেশ দূষণ ব্যাখ্যায়, কম্পিউটার প্রযুক্তি গ্রহণে কিভাবে কমিউনিস্টরা পিছিয়ে পড়েছিল।
মানুষ অন্য প্রাণীর মত তার জৈব অস্তিত্ব বজায় রাখতে চায় আহার, যৌন-ক্রিয়া, বসবাস ইত্যাদি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে; এখানে অন্য প্রাণীর সাথে তার প্রজাতি-সত্তার কোন পার্থক্য নেই।
প্রকৃত পার্থক্য নিহিত মানুষের সৃজনশীলতায়, চিন্তন-ক্ষমতায়। মানুষ সৃজনশীল, সে চিন্তা করতে পারে। একটি পাখি তার বাসা নির্মাণ করে প্রবৃত্তি-তাড়িত হয়ে, অপর দিকে মানুষ প্রথমে দালান তৈরি করেন মনোলোকে, এবং পরবর্তী সময়ে তার মানসছবিকে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে। এই সৃজনশীলতা মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রজাতির নেই। মানুষ সহজভাবে অস্তিত্ব, আনন্দময় করতে চায়।
কীভাবে আনন্দময় করতে চায় বা করবে, সেটি দেশ-কাল-নিরপেক্ষ নয়। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ যে আনন্দ পায় কর্মে নয়, সৃষ্টিশীলতায় নয়-এটা তার সহজাত প্রবৃত্তি নয়, এটা শ্রেণীবিভক্ত সমাজের ফল, বিদ্যমান পুঁজিবাদী ব্যক্তিতান্ত্রিক উৎপাদন, তথা সমাজব্যবস্থা, থেকে উদ্ভুত দৃষ্টিভঙ্গির ফল। মার্কস প্রজাতি-সত্তায় সচেতনভাবে ফিরে আসার লড়াইকে বলেছেন মানব-মুক্তির সংগ্রাম, কমিউনিজমের সংগ্রাম। অথচ বেশিরভাগ মার্কসবাদী ভোগের দৃষ্টিতে কমিউনিজম ও সমাজতন্ত্রকে দেখেছেন, নিজের ভোগস্পৃহাকে পূরণ করবার একটা ভাল উপায় হিসেবে সমাজতন্ত্রকে দেখেছেন-নিজের সৃষ্টিশীলতাকে, সমাজের সৃষ্টিশীলতাকে মুক্ত করার দৃষ্টিতে দেখেন নি। সে-কারণে তাঁরা রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক আন্দোলনে যত গুরুত্ব দিয়েছেন, তার তুলনায় কিঞ্চিৎ পরিমাণ গুরুত্ব দিয়েছেন সাংস্কৃতিক আন্দোলনে, আদর্শগত চর্চায়, সমাজের সার্বিক গণতন্ত্রায়নে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।