আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বের কয়েকটি বিলাসবহুল প্রমদতরীর পরিচিতি।


১. অ্যালুর অব দ্য সিজ 'অ্যালুর অব দ্য সিজ' রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির মালিকানাধীন ওয়েসিস ক্রাস ক্রুজ শিপ। বিশ্বের অন্যতম বড় ক্রুজ জাহাজ অ্যালুর অব দ্য সিজ। ক্রুজ জাহাজটি ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে নির্মিত হয়। এটি এতটাই বিশাল যে, এতে ৬ হাজার ৩৬০ জন যাত্রী বহন করা যায়। বিলাসবহুল এ ক্রুজ জাহাজটি আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ভ্রমণ করে।

মূলত ইউরোপ ও এশিয়ার পর্যটকরা এর প্রধান যাত্রী। জাহাজটির একটি টুইন রয়েছে। উভয় ক্রুজ জাহাজ পর্যটকদের জন্য নানা ধরনের বর্ণিল ও মনোরম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। প্রচুর পরিমাণে কাচ, কাঠ এবং গাছের মাধ্যমে এ জাহাজটিকে ইউনিট করা হয়েছে। এ ছাড়াও এতে কাচের নির্মিত দোকান, ডাইনিং ভেন্যু, সিনেমা দেখা, হেলিপ্যাড ও থিমপার্কের ব্যবস্থা রয়েছে।

এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো বিলাসবহুল ক্যাসিনো। এ ছাড়া আধুনিক সব যন্ত্রপাতি ও স্থাপনাশৈলী দিয়ে সাজানো হয়েছে এই 'অ্যালুর অব দ্য সিজ। অন্যদিকে পর্যটকদের জন্য কেবিনের সঙ্গে থ্রিডি সিনেমা, আইপড, ট্যাবের ব্যবস্থা রয়েছে। এর 'রিচা স্যান্টিনা' নামক বারে রয়েছে আধুনিকতম সুইমিং পুল। যেখানে সুইমিং করতে করতে খাওয়া যায় নামিদামি সব খাবার ও পানীয়।

জাহাজের রেস্টুরেন্টেও পাওয়া যায় বিখ্যাত সব খাবার। যেসব খাবার পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হটডগ, মেঙ্কিান ফুড, রেড চিলিজি, সজেজ, পাস্তা, চিপস এবং ট্যাকো সালাদের মতো মুখরোচক খাবারের ব্যবস্থা। এমনকি বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের পোশাক, ঘড়ি, হাতব্যাগ, জুতা, জুয়েলারি, সানগ্লাসের আউটলেট রয়েছে এতে। ২. কুইন মেরি-২ পৃথিবীর এ যাবৎকালের নির্মিত দ্বিতীয় বৃহত্তম জাহাজ কুইন মেরি-২। কুইনার্ড কোম্পানির নির্মিত এ জাহাজটি সমুদ্রের মাঝে যেন একটি বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেল।

বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ, প্রশস্ত ও উচ্চতম এ জাহাজের সুবিশাল ডাইনিং রুম, বলরুম, থিয়েটার আর পৃথিবীর প্রথম ভাসমান প্লানেটারিয়াম একে আর সব জাহাজ থেকে করেছে অনন্য। আকৃতির বিশালতা আর অসাধারণ নির্মাণশৈলীর সুনিপুণ প্রদর্শনের দরুন কুইন মেরি-২ আজ সমুদ্র-পর্যটন, পরিবহন আর শিপইয়ার্ড ইন্ডাস্ট্রিতে একটি অনবদ্য নাম। ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি কুইন মেরি-২-এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। আটলান্টিকের প্রতিকূল আবহাওয়া যে কোনো সমুদ্র যানের জন্যই একটি হুমকি। কখনো কখনো এর ঢেউয়ের আকার তিন তলা সমান উঁচুও হয়।

এ জন্য যে কোনো জাহাজের সামনের অংশটি উঁচু রাখা হয় যাতে বড় ঢেউকে তা কেটে ফেলতে পারে। কুইন মেরি ২-এর ক্ষেত্রে এটি আরও উঁচু। এ ছাড়া সামনের ডেকের ওপর কিছুটা বর্ধিত অংশ আছে যা কখনো ঢেউয়ের পানির তোড় জাহাজের উপরে চলে এলেও তাকে আবার সাগরেই ফেলে দেয়। জাহাজটিতে কেবিনের সংখ্যা ১৩১০টি। এতে মোট ১০ ধরনের কেবিন আছে।

এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য ৩০টি কেবিন আছে যেখানে হুইলচেয়ার ও প্রতিবন্ধী টয়লেটের সুব্যবস্থা আছে। ৩৬টি কেবিন শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য আছে। সর্বসাধারণের জন্য এখানে ১৫টি রেস্টুরেন্ট ও বার, পাঁচ সুইমিং পুল, এক ক্যাসিনো, একটি বলরুম, একটি থিয়েটার এবং ১টি প্লানেটেরিয়াম আছে। রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো Britannia Restaurant যেটি দুটি ডেকের ওপর পুরো জাহাজের প্রস্থজুড়ে বিস্তৃত। ৩. ওয়েসিস অব দ্য সিজ বিশাল আকৃতির বিলাসবহুল জাহাজের অন্যতম রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ওয়েসিস অব দ্য সি।

এর ব্রডওয়ার্ক এবং সেন্ট্রাল পার্ক ফিচার অন্যান্য ক্রুজ থেকে একটু ব্যতিক্রম। বিশাল আকৃতির সেন্ট্রাল পার্ক দিয়ে আপনি যখন হাঁটবেন তখন বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে এটি বাস্তব নাকি স্বপ্ন। মনে হবে সমুদ্রের মাঝে হেঁটে বেড়াচ্ছেন আপনি। যেখানে আকাশ আর নীল জলরাশির মিতালি অনুভব করতে পারবেন। খাবারের নতুনত্ব দিতে ক্রুজটিতে স্টেজড ফুড এবং ওয়াইন পেয়ারিংয়ের ব্যবস্থা আছে।

আর বিনোদনের জন্য আইস স্ক্রুুটিং। রয়েছে ডিসকো, কমেডি অ্যান্ড জাজ, থিয়েটারের ব্যবস্থা। এ ছাড়া আধুনিকতম সেলুন ও ম্যাসেজ পার্লারে মনের মতো সব প্যাকেজ দেওয়া হয়। এখানের থিয়েটারের ব্রডকাস্ট শো 'হেয়ার স্প্রে' টনি-অ্যাওয়ার্ড পুরস্কারপ্রাপ্ত। এ ছাড়া সেন্ট্রাল পার্কের আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে নানা রকমের মুখরোচক খাবারের রেস্টুরেন্ট।

প্রাকৃতিক পরিবেশে সূর্যস্নান উপভোগের জন্য সুইমিং পুল, পুল ডেক এবং লাউঞ্জ চেয়ারের ব্যবস্থা আছে। উইন্ডজ্যামার ব্যাকটেপ্লসে পৃথিবীর নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনীও পাওয়া যায়। বিশেষ করে সাহিত্যমনা পর্যটকরা এই ক্রুজকে বেশি পছন্দ করেন। ৪. নরওয়েজিয়ান এপিক ফ্রান্সে নির্মিত নরওয়েজিয়ান ক্রুজ লাইন কোম্পানির মালিকানাধীন বিলাসবহুল ক্রুজ নরওয়েজিয়ান এপিক। ২০০৮ সালে নির্মাণের সময় এটি ছিল পৃথিবীর তৃতীয়তম বিশাল আকৃতির ক্রুজ জাহাজ।

২০১০ সালের ২৪ জুন প্রথমবারের মতো ক্রুজ জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের সাউথহ্যামটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ক্রুজ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সোলো স্টুডিও কেবিন, ওয়েভ কেভিন সংযুক্ত করা হয় জাহাজটিতে। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো আধুনিকতম বাথরুমের ব্যবস্থা করা হয় এখানে। জাহাজটিতে যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে বিশাল পরিসর জায়গা। যেখানে একসঙ্গে তিন হাজার পর্যটক সমবেত হতে পারেন।

এ ছাড়া খেলাধুলার জন্য স্পোর্টস সেন্টার, লিভিং রুমের ব্যবস্থা রয়েছে। আর বিনোদনের জন্য ৬৮১ আসনের মাল্টি-মেগা থিয়েটার ক্রুজ জাহাজটিকে অন্য যে কোনো ক্রুজের চেয়ে আলাদা করেছে। এ ছাড়া সংগীতপ্রেমীদের কনসার্টের জন্য রয়েছে লিজেন্ড ইন কনসার্ট নামক আধুনিক মঞ্চ। এ ছাড়াও স্পোকিং জোন, বিশালআকৃতির ক্যাসিনোও রয়েছে। আর খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য মুখরোচক খাবারে ভরপুর ২০টির বেশি রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

এ ছাড়া খাবারকে সব সময় যাত্রীদের দোরগোড়ায় নিতে কফি গার্ডেন, পিজা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। আর ভ্রমণের ক্লান্তি দূর করতে ১০৮১ ফুট আকৃতির বিশাল করিডোর রয়েছে। সমুদ্রের নীল পানির সৌন্দর্য আপনার মনকে প্রশান্তি দেবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ক্রুজ জাহাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় স্পা-সেলুন সেন্টার রয়েছে এ নরওয়েজিয়ানে। ৫. ফ্রিডম অব দ্য সিজ ফ্রিডম অব দ্য সিজ ঠিক তার নামের মতো যাত্রীদের সমুদ্রের সৌন্দর্য স্বাধীনভাবে উপভোগের ব্যবস্থা করে দেবে।

তিন হাজার ৬৩৫ যাত্রী এবং এক হাজার ৩০০ ক্রু পরিবহনে সক্ষম ক্রুজটি রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক পরিচালিত। নাসাউ, বাহামাসের রেজিমন্টারভুক্ত হলেও ক্রুজটি পোর্ট অব ক্যানোভেরাল, ফ্লোরিডা এবং পোর্ট অব মিয়ামিতে ভ্রমণ করে। নেভিগেটর অব দ্য সিয়ের মতোই ফ্রিডম অব দ্য সিজ সেকেন্ড জেনারেশন ক্রুজ জাহাজ। ৯১ ফুট এলাকাজুড়ে ক্রুজটিতে পুল ডেক, ওয়াটার গার্ডেনের মতো রোমাঞ্চকর ইভেন্টের সুবিধা পাবে যাত্রীরা। ডাইনিং ভেন্যুর পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার পিজা ভেন্যুর ব্যবস্থা আছে।

ফ্লোরাইডার,বক্সিং রিং, জিম রিংয়ের পাশাপাশি বিশ্ব বিখ্যাত বেন অ্যান্ড জেরিঞ্জ ব্র্যান্ডের আইসক্রিম পার্লার আছে এখানে। তবে সাঁতার কাটার জন্য বিশেষ ধরনের সুইমিং পুল যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহী করে তোলে। জাহাজে ১৩তম ডেকটি রকক্লাইমিং ওয়াল ফ্লোরাইডার এবং ক্ষুদ্র পরিসরে গলফ খেলার ব্যবস্থা রেখেছে। বড় আকৃতির ক্যাসিনো এবং ফ্ল্যাটপ্যানেলে টেলিভিশন, জনি রকেট রেস্টুরেন্ট সত্যিই অভিভূত করবে। ৬. ডিজনি ফ্যান্টাসি ডিজনি ফ্যান্টাসি নামটির মতো এ ক্রুজ জাহাজটি আপনাকে স্বপ্নের জগৎ দেখাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

মনে হবে কোনো স্বপ্নের জগতে রয়েছেন। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবারের মতো ভ্রমণের পরই পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এটি। ডিজনি ক্রুজ লাইনের মালিকানাধীন জাহাজটির নতুনত্ব দিতে নানা সময়ে সংস্কার করা হয়েছে। ২ হাজার ৫০০ যাত্রী পরিবহনে সক্ষম জাহাজটি এক লাখ ২৮ হাজার ৬৯০ টনের। ক্রুজ জাহাজটিতে সাঁতার কাটানোর প্যাকেজে আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে অবস্থিত ক্যারিবিয়ান সাগর।

এ ছাড়া ক্রুজটি নিজস্ব আইল্যান্ডে ভ্রমণের মাধ্যমে যাত্রীদের সমুদ্রযাত্রার সময় অনেকটাই বেঁচে যাবে। স্বপ্নের মতো করে সাজানো হয়েছে এ জাহাজটি। সংযুক্ত করা হয়েছে নানা রকমের ফিচার। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অ্যাকুয়া ডাক ওয়াটার কোস্টার, ম্যাজিকেল শো; কেভিন থেকে রিয়াল টাইম শো দেখা, বিলাসবহুল ফ্রেন্স রেস্টুরেন্ট, কিডডম, টিন এবং অ্যাডাল্ট ভেন্যু। এ ছাড়া সংগীতপ্রিয় টিনএজারদের জন্য মিউজিক স্টেমনের ব্যবস্থা রয়েছে।

৭. ইন্ডিপেনডেন্স রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ক্রুজ লাইনের মালিকানাধীন ফ্রিডম ক্লাস ক্রুজ ইন্ডিপেনডেন্স অব দ্য সি ২০০৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে যাত্রীসেবা দিয়ে আসছে। ১৫টি ডেকের ক্রুজ জাহাজটি পাঁচ হাজার ৩৭০ জন যাত্রী এবং এক হাজার ৩৬০ জন ক্রু পরিবহনে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পর্যটকরা এর প্রধান গ্রাহক। ইন্ডিপেনডেন্স অব দ্য সিজ গ্রীষ্মকালে সাউথহ্যামটন, ইংল্যান্ড এবং শীতকালে ফোর্ট লওডারডেলে ভ্রমণ করে। শীতের সময়ে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

এ ক্রুজ জাহাজটিতে ফ্রিডম অব সিজের মতো ওয়াটার পার্ক এইচটুও জোন, স্পোর্টস পুল, হুয়ালপুলের ব্যবস্থা করে থাকে। ক্রুজটির বারগুলোকে যাত্রীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আনতে বিশেষভাবে আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে বিশ্বের নামিদামি কিছু ক্যাসিনোর শাখা। এখান থেকে বসে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের কোনো ক্যাসিনোর সরাসরি খেলার সুযোগ পান পর্যটকরা। ক্রুজটিতে স্ট্রিট শপিংয়ের মাধ্যমে যাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনতে পারবে।

কেবিনগুলোতে মোবাইল সংযোগ দেওয়ার জন্য ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা আছে। সমুদ্রের যত দূরেই থাকেন, থাকবেন মোবাইল ইন্টারনেটে। আইচ শো আপনাকে দেবে রোমাঞ্চকর অনুভূতি। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর ভিন্ন এক পরিবেশ লক্ষ্য করা যায় এখানে। দূর থেকে মনে হয় এই যেন চলন্ত কোনো শহর।

রয়েছে দুটি হেলিপ্যাড। সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও হাসপাতাল। এক কথায় বলতে গেলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সব কিছুই রয়েছে এই ইন্ডিপেনডেন্সে। তাই তো কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার খরচ করে সবাই ছুটে যান এখানে।

৮. নেভিগেটর নেভিগেটর অব দ্য সি' ভয়েজার ক্লাস ক্রুজ জাহাজের অন্তর্গত। এটি রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের মালিকানাধীন ফিনল্যান্ডের বিখ্যাত অ্যাকের ফিনইয়ার্ডের নির্মিত। ক্রুজটি গ্রীষ্মকালে যাত্রীদের জন্য বিশেষ ধরনের প্যাকেজ দিয়ে থাকে। আর্ট এবং কালচারে আগ্রহীদের এঙ্িিবশন দেখানোর ক্রুজটি চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে। এক কথায় বলতে গেলে সারা বছরই কোনো না কোনো প্রদর্শনী লেগে থাকে এখানে।

পানির নিচে সাঁতার কাটার জন্য রয়েছে বিশেষভাবে সাতটি ডেকের ব্যবস্থা আছে। ক্রুজটির সাজসজ্জা, অভিনব করতে দিনের বেলা এবং সন্ধ্যায় আলাদা আলাদা আলোকসজ্জা করা হয়। আর খাবারের ক্ষেত্রে নতুনত্ব দিতে উইন্ডজেমার বাফেল এলাকা যাত্রীদের কাছে সুপরিচিত। সেকেন্ড জেনারেশনের এই ক্রুজ জাহাজটিতে কাচের নির্মিত বিশেষ বেলকুনি রয়েছে। যেখান থেকে খুব সহজে সমুদ্রের অবারিত সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

আর ফার্স্ট জেনারেশন সল্ট অ্যাকুরিয়ামে পিয়ানোর সঙ্গে বিশেষ ধরনের বসার ব্যবস্থা আছে। রয়েছে বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের জুয়েলারি ও সানগ্লাসের আউটলেট। ৯. লিবার্টি অব দ্য সিজ রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের মালিকানাধীন 'লিবার্টি অব দ্য সিজ' ক্রুজ জাহাজটি ২০০৭ সালের মে থেকে যাত্রা শুরু করে। যাত্রার প্রথম তিনমাসেই পর্যটকদের আকষর্ণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এই জাহাজ। বিশেষ করে এশিয়া ও ইউরোপের পর্যটকদের টানতে থাকে এটি।

বিলাসবহুল সব কিছুই আছে এখানে। মনোরম আতিথেয়তা আর চাকচিক্যের ছোঁয়ায় জাহাজের পরিবেশ সব সময় সজীব থাকে। ১৫টি ডেকের এ ক্রুজ জাহাজটি তিন হাজার ৬৩৪ জন যাত্রী বহনে সক্ষম। যাত্রীদের সার্বক্ষণিক দেখাশোনার জন্য এক হাজার ৬০ জন ক্রু রয়েছে যা অন্য কোনো জাহাজে পাওয়া যায় না। মূলত পর্যটকদের সেবা আর আনন্দ দেওয়ার জন্যই এই বিশাল আয়োজন।

জাহাজটির কেবিনগুলোতে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া ওয়েভ কেবিন আপনাকে রোমাঞ্চকর অনুভূতি দেবে। পর্যটকদের আগ্রহের কথা বিবেচনায় রেখে ফ্লো রাইডার সার্ফিং, এইচটুও জোন, শিশুদের জন্য ওয়াটার প্রে, পুরো আকৃতির ভলিবল এবং বাস্কেটবল কোর্ট, আইস স্কেটিং, বঙ্ংি রিং এবং বিশাল আকৃতির ফিটনেস সেন্টারের ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া সমুদ্রের অবারিত সৌন্দর্যের কথা মাথায় রেখে যাত্রীদের জন্য আছে বিশেষ করিডোর, ব্যবসায়ীদের জন্য মিটিং রুম, ফ্ল্যাট স্ক্রিনের টেলিভিশন রুম এবং নানা ধরনের খাবারের দোকান। যেখানে ইন্ডিয়ান থেকে শুরু করে ম্যাঙ্কিান ফুড পর্যন্ত পাওয়া যায়।

এসব চাকচিক্য যে কারও মন ভুলিয়ে রাখবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে গ্রীষ্মকালে বেশি পর্যটক পরিলক্ষিত হয়।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.