ঘরেও নহে পারেও নহে,যে জন আছে মাঝখানে...............
পথটুকু আমড়ার ডাল-ঝরা আনমনা পাতায় ধীরে ঢেকে যাচ্ছে।
রৌদ্র-ঝিলিক ঘাস সব ছায়ায় কালো করে
যে মানুষটির মরদেহ নিয়ে যাচ্ছো , দূর-দক্ষিণে যাকে ফেলে আসবে ধীরে...
আমি আর সে দু'জনই তখন মাটির প্রতিমা, স্বর্গলোকে বাস।
হাতে হাত রেখে বহুকাল পুতুল-প্রেমে মত্ত।
ভেবেছিলাম একই গাঁয়ে, একই যুগে জন্ম নেবো।
আজ তোমরা তাকে নিয়ে যাচ্ছো নদী, সমুদ্র, শীতের আকাশের অন্য পাড়ে...
নিরন্তর পুতুল-প্রেমে মজে ছিলাম বহুযুগ।
আমার জন্ম হতে যখন
বাকি মাত্র অর্ধ শতাব্দী, অন্যআলোর সেই ভোরে স্বর্গ থেকে হারায়ে গেল তার চোখজুড়ানো প্রতিমা।
দুনিয়ার এক স্টেশনের লাল দালান অদূরে আবছা হয়ে আছে। সেই প্রথম দেখা হল দু'জনার। খুঁজে-বুঝে চিনতে পারলাম বেশ পরে। তার নম্রে যাওয়া মুখ, বয়সের অজস্র বলিরেখা।
পনেরো পার হতে চাইছি আমি সবে এমন কিশোর । শীতেও যেন ঘ'নে এলো কালবোশেখি। পশ্চিমে লাল সূর্যের বদলে নিকশ মেঘঘঘনওওও...
আজ তোমরা তাকে নিয়ে যাচ্ছো নদী, সমুদ্র, শীতের আকাশের আরেক পাড়ে...
সিনেমার সাদা পর্দায় চোখ রাখতেই সব জ্বলে উঠল। দেখি অতি সুন্দর কিশোরী এক গমের ক্ষেতে সিঁথি কেটে সুদূরে মিলায়। দুপুরের গনগনে রোদ সেই সন্ধ্যাতক লেগেছিল চোখে, আলপথে হেঁটে যাওয়া একাকার বৃদ্ধার পানময় মুখ পর্দা ভেঙে ভেসে ওঠে।
শুভ্র-নীল। জেগে ওঠে মাটির প্রিয়তম মূর্তি...
দুনিয়ার একেবারে দক্ষিণে স্বর্গ।
ছবি: জোহান্স স্টটার
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।