আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বের ব্যয়বহুল রেস্টুরেন্ট (২য় পর্ব)

চাই শুধু ভালবাসতে।

আমার আগের বিশ্বের ব্যয়বহুল রেস্টুরেন্ট পর আজ হাজির হয়েছি আরও কিছু রেস্টুরেন্টের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে। চলুন আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক বিখ্যাত কিছু রেস্টুরেন্টের অবস্থান। # সোলো পার ডিউ (Solo per Due): রেস্টুরেন্ট বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সারি সারি চেয়ার টেবিল। অথচ মাত্র দুই সিটের বাহারি ডেকোরেশনের বিশ্বের অন্যতম দামি রেস্টুরেন্টের খেতাব অর্জন করেছে ইতালির সোলো পার ডিউ।

একে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রেস্টুরেন্ট। যাতে একসঙ্গে মাত্র দুজন লোক বসতে পারে। সোলো পার ডিউ সোলো পার ডিউ এখানে খেতে গেলে জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার খরচ হয়। এটি মূলত ১৯ শতকে তৈরি একটি বাড়ির গ্যারেজের খালি অংশে নির্মান করা হয়েছে। শুধু দুইজন লোক একসঙ্গে রেস্টুরেন্টটিতে সময় কাটাতে পারে এবং চাইলে "ক্যান্ডেল লাইট" ডিনারও করতে পারে।

বেশির ভাগ ইতালিয়ান খাবার পাওয়া যায় এবং বিশ্বের কিছু বিখ্যাত "শেফ" এই ছোট্ট রেষ্টুরেন্টটির জন্য রান্না করে থাকে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে এ রেস্টুরেন্টে তিনমাস আগে থেকে বুকিং দিতে হয়। অন্যথায় এর বৈচিত্র‌্য ও স্বাদ পাওয়া অধরাই থেকে যায় ভোজন রসিকদের কাছে। বিশেষ করে 'হানিমুন কাপল'রা সোলো পার ডিউতে ভিড় জমান সবচেয়ে বেশি। সময় কাটান কিছুটা একান্তে।

ঝাড়বাতির নিচে আলো-আঁধারির খেলায় সারুন আপনাদের ভোজন পর্ব। # আরাগাওয়া (Aragawa): এশিয়ার যে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ব্যয়বহুলের দিক দিয়ে এগিয়ে তার মধ্যে টোকিওর আরাগাওয়া অন্যতম। নির্মানশৈলী এবং খাবারে জন্য একে জাপানের সবচেয়ে সেরা রেস্টুরেন্টও বলা যায়। ১৯৬৭ এ প্রতিষ্ঠিত এই রেস্টুরেন্টের স্পেশালটি হলো 'বিফ' বা 'গরুর মাংস'। তাদের মতো নাকি অন্য কোনো রেস্টুরেন্ট এত মজা করে বিফ রান্না করতে পারে না।

এখানকার বিফ খেতে গেলে একজনের কমপক্ষে ৫৫০ থেকে ৬৫০ খরচ পড়বে। তবে মজার ব্যাপার হল এখানে জাপানিদের তুলনায় অন্যান্য দেশের ভোজনরসিকরা বেশি ছুটে আসেন। আরাগাওয়া আরাগাওয়া তাদের কাছে এই রেস্টুরেন্টের গরুর মাংস খুবই প্রিয়। অন্যদিকে জাপানিরা গরুর মাংস খুব একটা পছন্দ করেন না। সম্প্রতি এক জরিপে এশিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় ও ব্যয়বহুল রেস্টুরেন্টের খেতাব অর্জন করেছে এটি।

এর স্থাপনা ও কারুকার্যে রয়েছে এশিয়া ও ইউরোপের রকমারি কিছু ছাপ। যা ভোজনরসিকদের মন কেড়ে নিতে যথেষ্ট। সেই সঙ্গে রয়েছে ঝাড়বাতির আলো আঁধারির খেলা। মজার ব্যাপার হলো রাতে নয় দিনের বেলাতেও বেশ জমজমাট ও হৈহুল্লোড়ে মেতে ওঠে বিশ্বের অন্যতম টোকিওর এই ব্যয়বহুল রেস্টুরেন্টটি। # সুশি কাজি রেস্টুরেন্ট (Sushi Kushi Restaurant) কানাডার টরেন্টোর একটি নামকরা রেস্টুরেন্ট।

এখানে মূলত জাপানি খাবার 'সুশি' পরিবেশন করা হয়। এই রেস্টুরেন্টের মাছ আসে টোকিও থেকে। সমুদ্র থেকে তোলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এটা আনা হয়। রাইস, সবজি এমনকি প্রয়োজনীয় সব উপকরণ আসে জাপান থেকে। জাপানের প্রকৃত খাবারে সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই এই রেস্টুরেন্টের মূল উদ্দেশ্য।

খাবার এবং সেবার মান রক্ষার জন্য এখানে প্রতি সন্ধ্যায় মাত্র ৩০টি আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়। রিজার্ভেশনের জন্য অগ্রিম বুকিং দিতে হয়। প্রধান শেফ "মিটসুইরো কাজি" ২০০০ সালে রেস্টুরেন্টটি চালু করেন। সুশি কাজি রেস্টুরেন্ট সুশি কাজি রেস্টুরেন্ট মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি সুশি রান্না করতে শুরু করেন। টানা ১৩ বছর তিনি জাপানের বিভিন্ন মাস্টার শেফদের সঙ্গে শিক্ষানবিস হিসেবে রান্নার কৌশল রপ্ত করেন।

তিনি সকালে কেনা মাছ সন্ধ্যায় পরিবেশন করেন, কখনোই সারা রাত রেখে দেন না আবহাওয়ার সঙ্গে মিল রেখে তিনি ভিনেগার নির্বাচন করেন। গ্রীষ্মকালে তিনি সফট, স্লাইটলি সুইটার ভিনেগার ব্যবহার করেন কেননা এ সময় গরমের কারণে মানুষের ব্লাড সুগারের লেবেল লো থাকে। শেফের এই স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য গ্রাহকরা বারবার ছুটে আসেন এই সুশি কাজি রেস্টুরেন্টে। কিন্তু চড়া মূল্যও গুনতে হয় তাদের। তবেই হয় তাদের রসনা বিলাস।

চলবে.......

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.