জামায়াতে ইসলাম নির্বাচন করতে পারছে না বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসছে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকালে আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠকের শুরুতে তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী যুদ্ধাপরাধীদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে জনগণের স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। মূলত পরাজিত হবে জেনেই তারা নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে চাইছে। যাই হোক নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ি সময় মতোই হবে।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকের শুরুতে শেখ হাসিনা বলেন, হাইকোর্ট থেকে জামায়াতের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। জামায়াতের প্রতি সহানুভূতি থেকে নির্বাচনে না আসা খুবই দুঃখজনক।
বিরোধীদলীয় নেত্রীকে আবারো নির্বাচনে আসার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি তাকে সংবিধানের ৫৭ এর ৪ ধারাটি পড়ে দেখতে বলবো। উনি কী আবার ওয়ান-ইলেভেন আনতে চান? কার স্বার্থে? নিদিষ্ট সময়েই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিরোধীদলীয় নেত্রীকে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি পরিহার করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে আশায় এসব করছেন তা পূরণ হবে না। ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন। নির্বাচনে আসুন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি তাদের নির্বাচনে আসতে বলবো। কিন্তু, তারা জানেন, জনগণ নির্বাচনে তাদের ভোট দেবে না।
ভোট না পাওয়ার ভয়ে, হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা নির্বাচনে আসছেন না।
সকাল সাড়ে ১১টার পর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পার্লামেণ্টারি বোর্ডের বৈঠকটি শুরু হয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী চুড়ান্ত করতেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সভাপতিমন্ডলির সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, কাজী জাফর উল্যাহ, ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ ও আলাউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।