এই ব্লগের যাবতীয় কর্মকান্ড জুনায়েদ খানের অনুর্বর মস্তিষ্কের অহেতুক পাগলামি ! বৈ কিছু নয়।
পরীক্ষা খারাপ দিয়ে মন খারাপ করার দিন অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তবে সহজ সহজ ভুল গুলো যে আফসোস নামক অনুভূতিটার জন্ম দেয় তা এখনো শেষ হয়ে যায়নি! প্রশ্নে দেয়া আছে এক জিনিস আর আপনি দেখলেন অন্যজিনিস। মনের আনন্দে সেই অন্যজিনিসটাই পরম যত্নে খাতায় লিখে একটা ফুরফুরে মন নিয়ে যখন পরীক্ষা শেষ করলেন, তখন আবিষ্কার করলেন যে আপনার চোখ ভুল দেখেছে! আপনি ভুল লিখেছেন! ‘মানুষ মাত্রই ভুল’ এই সান্ত্বনাবাণীর মাঝে যখন আপনি সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা করছেন ঠিক তখনি আবার আবিষ্কার করলেন যে আপনি একমাত্র অঙ্কটিও ভুল মান ব্যবহার করে করেছেন! প্রশ্নপত্রে মান ঠিকই দেয়া আছে কিন্তু আপনি ভুল তুলেছেন! ফুরফুরে মনটা আর অপেক্ষা না করেই ফুড়ুৎ করে উড়ে যাবে। শেষ এখানেই নয়। বাস্তবতা মেনে নিয়ে যখন ০.২৫ মার্ক্সের শূন্যস্থান গুলোর দিকে দৃষ্টি দিলেন, তখন দেখলেন যে সেখানেও আপনার চক্ষু আপনার সাথে প্রতারণা করেছে!
কেমনটা লাগে বলেন???
প্রশ্নে যা ছিলঃ
1. Prove that, Nu = C(Pr)^n(Gr)^m
2. K of rock wool = 0.045 Kcal/hr-m-°C
আমার চোখ যা দেখেছেঃ
1. Prove that Nu = C(Pr)^n(Re)^m
2. K of rock wool = 0.45 Kcal/hr-m-°C
চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তো? কিন্তু আমি ডাক্তার কে গিয়ে কি বলব?
“ডাক্তার সাহেব, ডাক্তার সাহেব, আমি না পরীক্ষার হলে চোখে দেখিনা! আমাকে পরীক্ষার হলে দেখার জন্য একটা চশমা দিন!”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।