আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিরোধীদলীয় নেতা গণহত্যায় নেমেছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা হরতাল-অবরোধের নামে জামায়াত-শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে গণহত্যায় নেমেছেন।

এটা সহিংসতা, এটা গণহত্যা। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা মানুষ পুড়িয়ে কী পেলেন। বাসে আগুন দিয়ে যারা গণহত্যা চালাচ্ছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। যা যা দরকার সরকার করবে।

বিরোধীদলীয় নেতা এসি রুমে বসে থাকবেন, আর আগুনে মানুষ পোড়ানোর হুকুম দেবেন, এটা আর সহ্য করা হবে না।

গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অবরোধে সহিংসতার ঘটনায় আগুনে পুড়ে দগ্ধ চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বার্ন ইউনিটে পৌঁছে আগুনে পোড়া রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের খোঁজখবর নেন। এ সময় বিমর্ষ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি বলেন, এখানে এসে দেখলাম একেকটা পরিবারের কী অবস্থা! আগুনেপোড়া রোগী সুমি আমাকে বলেছে যারা আমাকে পুড়িয়েছে তাদের হাত পুড়িয়ে দিন।

কিন্তু আমরা তো তাদের মতো বর্বর না। আহত রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যেতে চিকিৎসকদের পরামর্শ দেন তিনি। অসহায় রোগীদের জীবন বাঁচাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করার জন্য ডাক্তারদের তিনি ধন্যবাদ জানান। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। দগ্ধ রোগীদের জন্য যেসব বিদেশি ওষুধ সরকারিভাবে সরবরাহ করা হয় না, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সেসব ওষুধের খরচ মেটাবেন বলেও চিকিৎসকদের জানান।

আগুনে পুড়ে দগ্ধ প্রত্যেক রোগীকে ১০ হাজার করে টাকা দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত, ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের পরিচালক সামন্ত লাল সেন, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এমপি, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জুলফিকার আলী উপস্থিত ছিলেন। বিরোধী দলকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগুনে মানুষ পোড়ানোর মতো যারা ঘৃণ্য অপরাধ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একাত্তরের দোসরদের দিয়ে গণহত্যা চালাচ্ছে।

এই সন্ত্রাস বন্ধে যতটা কঠোর হওয়া প্রয়োজন, সরকার তা হবে। তিনি বলেন, যারা হুকুম দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা বোমা মারছে তাদের ছবি তুলতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করার জন্য বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বিরোধীদলীয় নেতার কাজ।

আমি বিরোধীদলীয় নেতাকে বলতে চাই এ ধরনের খেলা বন্ধ করুন। নিরীহ মানুষের ওপর এ ধরনের ঘৃণ্য হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিল বিএনপি ক্যাডাররা সেভাবেই মানুষ হত্যা করছে এবং জামায়াত-শিবির হচ্ছে তাদের দোসর। হাসপাতাল কর্মকর্তারা জানান, হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বিরোধী দলের অগি্নসংযোগের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ এ পর্যন্ত ৫১ জন অগি্নদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে নয়জন মারা গেছেন এবং সাতজন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। বাকি ৩৭ জন এখনো চিকিৎসাধীন আছেন।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.