আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইতিবাচক প্রধানমন্ত্রী..নেতিবাচক বিরোধীদলীয় নেত্রী...

অন্তরবর্তীকালিন সরকারের দাবি সংসদে তুলে ধরার দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অন্তরবর্তীকালিন সরকারের কোনো প্রস্তাব থাকলে তা সংসদে এসে বলতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা নিয়ে বাইরে দাবি তুলে কোনো লাভ হবে না বলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সভায় শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। সুত্র আরো জানায়, সভাপতিমণ্ডলির সভায় বিএনপি’র অন্তরবর্তীকালিন সরকারের দাবি প্রসঙ্গ উঠলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্তরবর্তীকালিন সরকারের আলোচনা নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে সংসদে এসে আলোচনা করতে হবে।

সংসদের বাইরে অন্তবর্তীকালিন সরকারের দাবি তুলে কোনো লাভ হবে না। ’ তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পর জাতীয় সংসদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাতিল করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বিএনপির কোনো বিকল্প প্রস্তাব থাকলে তা সংসদে এসে তুলে ধরতে হবে। সংসদে এসে আলোচনা হতে পারে।

’ সোমবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সভাপতিমণ্ডলির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে সরকারকে ল্যাংড়া ও লুলা বানানোর ঘোষণা দিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নোংরা রাজনীতির পরিচয় দিলেন। বিরোধী দলের নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘এ সরকারকে আমরা ফেলে দিতে চাই না। তাদের ল্যাংড়া লুলা করে ছেড়ে দেব। দেখি তারা খুঁড়িয়ে কত দূর যেতে পারে।

’ সোমবার বিকেলে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, ‘আগামী ১২ মার্চ আমাদের ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি রয়েছে। ওই দিন আমরা ঢাকায় মহাসমাবেশ করব। ওই কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলে ওখান থেকে এমন শান্তিপূর্ণ ও গণমুখি কর্মসূচি দেব যাতে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ’ একটি দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে এভাবে উৎখাত করা যায়? আর কী কারণে সরকার উৎখাতের প্রশ্ন আসে? সরকার কী এমন করেছে যে তাকে উৎখাত করতে হবে।

সরকার উৎখাত হলে কি দেশের মানুষ বিএনপিকে নির্বাচিত করবে? এসব তথ্য কি রয়েছে বিরোধী দলীয় নেতার? সরকার বার বার আহ্বান জানাচ্ছে সংসদে এসে যাবতীয় কথা বলার। আমার মনে হয় সেটাই মোক্ষম জায়গা। রোর্ড মার্চ লং মার্চ না করে সংসদে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করলেই একটা সমাধানের পথ হয়তো জানা যেত। সংসদের আলোচনা ব্যর্থ হলেই তবে আন্দোলনের কথা ভাবতে পারতো বিএনপি। ১২ মার্চ কী ঘটছে দেশে।

দেশের মানুষ কিন্তু কোনোভাবেই হানাহানি সংঘাত মানতে রাজী নয়। গতো কয়েক দিনের ঘটনায় যে কয়টি প্রাণ হানি হলো তাতে কী লাভ হলো? বিএনপি আরো বড়ো আত্মঘাতী পরিকল্পনা করেছে বলে পত্রিকা মারফত জানা গেছে, মহাসমাবেশে কি সেটাই বাস্তবায়নের চিন্তা ভাবনা করছে? তত্ত্বাবধায়ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি পুনর্ব্যক্ত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তারা (সরকার) খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই কোর্টের দোহাই দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার উঠিয়ে দিয়েছে। ’ আমরা এও জানি আওয়ামীলীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিলো তখন কিন্তু বিএনপি বিরোধীতাই করছিলো। তবে যাই করা হোক না কেন, আমরা কিন্তু যুদ্ধাপরাধীর বিচারের পক্ষে।

কোনোভাবেই এটা মেনে নেওয়া যাবে না যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ হলো। আসল লক্ষ্য যদি তাই হয় তাহলে দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হলো। বিএনপির গতো কয়েকদিনের আলোচনা সভা সমাবেশ থেকেই সেটাই স্পষ্ট। আমরা চাই সুষ্ঠু রাজনীতির পরিবেশ। সেটা কেবল সংসদে আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।