২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক কানে শুনতেন না। এটা সারা দুনিয়ার জানা। নাক, কান, গলার বিখ্যাত ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্ত জননেত্রীর অনেক দিন চিকিৎসা করেছেন। সবাই জানে তার মহামূল্যবান একটি কান নষ্ট। এ জন্য আমরা আল্লাহর দরবারে অনেক প্রার্থনা করেছি, গ্রেনেড হামলায় নেত্রীর কানের যে ক্ষতি হয়েছে তা যদি সম্পূর্ণ নিরাময় নাও হয়, কানের কারণে যেন শারীরিক, মানসিক আর কোনো ক্ষতি না হয়।
দয়াময় আল্লাহ আমাদের ডাক শুনেছেন। কানের কারণে তার আর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। এ জন্য পরম প্রভুকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এতকাল সবাই জানতেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডান কানে শোনেন, বাম কানে শোনেন না। কিন্তু বিরোধী দলের নেত্রীর সঙ্গে যখন কথা বলছিলেন তখন ফোনটা তার বাম কানে ছিল।
তা হলে কি আমাদের কথা বাম কানে শোনেন না? বিরোধী দলের নেতার কথা শোনেন- কি অদ্ভুত ব্যাপার? সত্য লুকিয়ে লাভ কি? সাদা চোখে আমরা তো কোনো লাভ দেখি না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেদিন বড় আহত হয়ে বলেছেন, দেশের জন্য অনেক অপমান সহ্য করেছি। আমার অনেক ধৈর্য, আল্লাহ যেন আমায় আরও ধৈর্য দেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমার ভগি্ন অপমানিত হয়ে কষ্ট পান এটা কল্পনাতেও আনি না। তার অপমানিত হওয়ার কারণ এক. বিরোধীদলীয় নেতাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই বললেন, আপনারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাকে মারতে চেয়েছিলেন।
সঙ্গে সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার জবাব, গ্রেনেড হামলা আমরা করিনি। ওটা করেছেন আপনারা নিজেরা। আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে আওয়ামী লীগাররা গ্রেনেড হামলা করে একটা নাটক সাজানোর চেষ্টা করেছে, এটা সেই শুরু থেকেই শুনছিলাম। দুজনের কথোপকথনে পরিষ্কার হলাম। দুজনই প্রধানমন্ত্রী, একজন প্রাক্তন অন্যজন বর্তমান।
তাদের কাছে দুনিয়ার সব খবর, আমরা সাধারণ মানুষ অত সব জানব কি করে? আমাদের সে ধরনের সুযোগ ও উপায় কোথায়? কোনো সভায় নিজেরা গ্রেনেড হামলা করে কেউ যদি দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায় সে তো এক সাংঘাতিক কথা। বিরোধী নেতা আরও বলেছেন, আপনি তো দেশের প্রধানমন্ত্রী না, আপনি আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী। কথাটা সত্যি। তাই তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন কি করে? তার দল তো আওয়ামী লীগ। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আস্থা কুড়াবেন কি করে? বিএনপি বা ১৮ দলীয় জোটের আস্থা পাবেন কেন? দলের প্রধান আর সরকারপ্রধান এক ব্যক্তি হওয়ায় গত ২০-২২ বছরে গণতন্ত্রের কবর হয়েছে।
রাজনীতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রধান না হলে সরকার এবং দলের মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকত। রাজনীতির সম্মান থাকত, সরকারের জবাবদিহিতা থাকত। এসবের কিছুই নেই। তাই বেগম খালেদা জিয়া জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের নয়, আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী বলে কোনো দোষ করেননি বরং দেশবাসীর অভিব্যক্তি দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যক্ত করে অভিনন্দন পাওয়ার মতো কাজ করেছেন।
তবে দেশবাসীর মনে প্রশ্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী। আল্লাহর দয়ায় বিরোধী দলনেত্রী আবার যদি কখনো প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে তিনিও দেশের না হয়ে কি বিএনপির প্রধানমন্ত্রী হবেন? নাকি যতদিন সরকারপ্রধান থাকবেন অন্তত ততদিন দলীয় প্রধানের পদে থাকবেন না? জননেত্রী তার বক্তৃতায় একেবারে শেষ পর্যায়ে ১০ বছরের রাসেলের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ১৫ আগস্ট আপনি যখন জন্মদিনের কেক কাটেন, তখন আমার মনে হয় ১০ বছরের ছোট্ট ভাই রাসেলের বুকে ছুরি চালাচ্ছেন। জবাবে বেগম জিয়া বলেছেন, তাহলে কি ১৫ আগস্ট কোনো শিশুর জন্ম হবে না? তারা কি জন্মদিন পালন করবে না? নিশ্চয়ই করবে। এর মধ্যে কত হাজার হাজার লাখ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছে, তারা বড় হয়েছে। কিন্তু তাদের জন্মদিন নিয়ে কোনো প্রশ্ন আসে না, কোনো দিন আসবেও না।
বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়েও কোনো প্রশ্ন উঠত না, যদি না তিনি প্রধান বিরোধী দলের নেতা হতেন, পরপর কয়েকবার সরকারপ্রধান না হতেন, তাহলে কেউ কিছুই বলত না। কিন্তু যেহেতু তিনি বড় মানুষ, সেহেতু তার চেয়ে অনেক অনেক বড় মানুষের নিষ্ঠুর-নির্মম হত্যার দিনে ঘটা করে জন্মদিন পালন অবশ্যই অনেকের বুকে বাঁধে। সে জন্য অনেকেই এটাকে ভালোভাবে নেন না, নিতে পারেন না। এখন তর্ক-বিতর্ক, জোরাজুরির জামানা। তাই ন্যায়নীতি, সত্য, মানবতা অনেক দূরে পড়ে আছে।
তবে দেশের নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম-নিষ্ঠুর হত্যার দিনে বেগম জিয়ার ঘটা করে জন্মদিন পালনে আমি যেমন ব্যথা পাই, দেশবাসীও ব্যথা পায়। কিন্তু এবার বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে কথোপকথনে রাসেলকে টেনে যে বক্তব্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন সেটা দেশবাসীর মধ্যে সাড়া জাগাতে পারেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই রাসেলের মায়ের মতো বড় বোন অবশ্যই তিনি হতে পারেন। নিশ্চয়ই ভাইয়ের মৃত্যুতে তার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। কিন্তু আমাদের কাছে বড় বিবেচ্য জাতির নেতা, জাতির পিতা।
তাকে বাদ দিয়ে যদি বোন হিসেবে ভাইয়ের জন্য অত বেশি রক্তক্ষরণ হয় আমরা সেখানে তার মতো সম্পৃক্ত হতে পারি না। তিনি স্নেহের ভাইকে হারিয়েছেন, আমরা আমাদের অস্তিত্ব হারিয়েছি। পিতা-মাতা-ভাই হারিয়ে বোনেরা আজ সম্রাজ্ঞীর আসনে আসীন। আর আমরা কর্মীরা নেতা হারিয়ে সর্বস্বান্ত মর্যাদাহীন পথের ভিখারি। নেতার জীবদ্দশায় যারা তার পিঠের চামড়া তুলতেন তারা আজ সম্মানিত, ক্ষমতাবান।
মতিয়া চৌধুরী, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খানদের দাপটে এখন আমাদের জীবন যায়। কেউ চোখ তোলেন, কেউ আবার চামড়া ছোলেন। অথচ আমাদের কিছুই করার নেই। অনেক প্রবীণ নেতা একেবারে গুরুত্বহীন। জমিদারের জমিদারি চালাতেও প্রজাদের কাছে কিছুটা জবাবদিহি করতে হতো।
এখানে তারও লেশমাত্র নেই। একেবারে ফ্রি স্টাইল। একটি গণতান্ত্রিক দেশ, গণতান্ত্রিক দল, নেতা-কর্মীদের কিছু করা বা কিছু বলার নেই। সোজা 'বেহাজাল ইমাম' সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই।
টেলিফোন সংলাপের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেকে অপমানিত বোধ করেছেন।
বিরোধী দলের নেতার জবাবগুলো সরকারি দলের নেতার কাছে নিশ্চয়ই শক্ত হতে পারে। কিন্তু একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো ছিল না। বিরোধী দলের নেতা দৃঢ়তার সঙ্গে একটু জোরে বলেছেন বলে সরকারি দল মনে করেছিল কথোপকথনটি প্রচার করলে বিরোধী দলের নেতার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে, একটু আস্তে আস্তে ধীরে-সুস্থে বলার চেষ্টা করায় প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। কিন্তু মোটেই তা হয়নি। বরং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দম ফুরিয়ে এসেছে বলে মনে হয়েছে।
অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতার কথাবার্তায় প্রচুর যুক্তি এবং সাবলীলতা খুঁজে পাওয়া গেছে। তিনি যে অত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এটা অনেকের জানা ছিল না। তাকে যেভাবে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করা হয়েছিল সে কথাটাও যেভাবে বলা উচিত ছিল শতভাগ না হলেও সিংহভাগ সেভাবেই বলেছেন। বিরোধী দলের তো দারোগা পুলিশ মিলিটারি নেই, দেশবাসী আর কর্মীরাই তার একমাত্র সম্বল। বলিষ্ঠ যুক্তি ও দৃঢ়তাই তার প্রধান অস্ত্র।
সেটাও যদি যথাযথ প্রয়োগ করতে না পারেন তাহলে তিনি চলবেন বা লড়বেন কি করে? আমরা যেমন কেউ খোদার ঘর বেঁধে আসিনি, জীবের মৃত্যু অনিবার্য, ঠিক তেমনি কোনো পদাধিকারীর পদ হারানো নিশ্চিত। দুই দিন আগে বা পরে তাকে পদ ছাড়তেই হবে।
বিরোধী দলের নেতার কথায় যে এত অপমান বোধ করলেন, তিনি কি গত পাঁচ বছর কাউকে সম্মান করেছেন? তিনি কি বলেননি কাদের সিদ্দিকী আর কামাল হোসেন দুই কাক, কা কা করে চলেছে। বিদেশের মাটি ব্রাসেলসে বলেছিলেন, কাদের সিদ্দিকী একটা পাগল ছাগল। ছাগলে কি না খায়, পাগলে কি না বলে।
ওতে আমরা অপমানিত হইনি? সত্যিই আমি পাগলের মতো মাতৃভূমিকে, তার পিতাকে ভালোবেসেছিলাম। বুকে হাত দিয়ে তিনি বলুন তো তার পিতার জন্য আর কয়জন বক্তৃতা ছাড়া আর কি ত্যাগ করেছেন? তার আহ্বানে মরণপণ যুদ্ধ করেছি, রক্ত ঝরিয়েছি। পিতা নির্মম খুন হলে প্রতিবাদে এক কাপড়ে ঘর ছেড়ে প্রতিরোধ সংগ্রামে যৌবন ঝরিয়েছি। তারপরও আমি কিছু করিনি, সব করেছে টাকার পাহাড় গড়া তস্কররা। আমি যখন ধানমন্ডি থেকে গুলশান লক্ষণরেখা টেনে দিলে সেটা মোছার কারও ক্ষমতা ছিল না, সেই সময়ের টিসিবির কেরানি সৈয়দ আবুল হোসেন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে রেহানা কলেজ, হাসিনা কলেজ করে এখন পদ্মা সেতু গিলে খেয়েও শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক আখ্যা পায়।
আর আমি হই দুর্নীতিবাজ। এক সময় যারা আমার বোঁচকা-বুঁচকি, পোঁটলা-পুঁটলি বইত তারা গুলশান-ধানমন্ডিতে কত প্রাসাদের মালিক। অথচ বঙ্গবন্ধু নিজে আমায় পাঁচ কাঠার বাবর রোডের যে বাড়িতে তুলে গিয়েছিলেন, আমি আজো সে বাড়িতে বৈধ হলাম না। কিন্তু যাদের দেশের জন্য কোনো ভূমিকা নেই, চুরি-চামারি করে দেশটাকেই গ্রাস করতে চলেছে তারা সবাই বৈধ। আমি অবৈধ বাড়িতে বাস করি, কাজ না করে টাকা হাতিয়ে নিই, এমন মিথ্যা খবর ছাপানোয় আমার অপমান হয়নি? এই তো সেদিন দেখলাম বিএনপির আমলে গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের যে প্রজেক্ট সাড়ে তিনশ কোটি প্রাক্কলন হয়েছিল সেটি দুই হাজার কোটিতে শেষ হয়েছে।
সম্পৃক্তরা সেখান থেকে কত লুটেছে তা শুধু আল্লাহই জানেন। এসবের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তারা ভালো আর আমরা খারাপ, অপরাধী। তাই আমাদের বদনাম। আমাদের তো গণ্ডারের চামড়া, তাই আমাদের কোনো অপমান হয় না। ড. কামাল হোসেনকে সংসদে দাঁড়িয়ে যখন বললেন তিনি বসন্তের কোকিল।
একবারও মনে হলো না যাকে অমন কটাক্ষ করছেন তিনি এক সময় তার বাবার কর্মী ছিলেন, তার সঙ্গেও রাজনীতি করেছেন। ভবিষ্যতে কখনো তার সঙ্গে সমঝোতা করতে হতে পারে! ওরকম কথায় তিনি অপমান-অপদস্থ হননি? ওয়ান-ইলেভেনে দুই নেত্রীই যখন কারাগারে তখন আইনের ট্যাঙ্ক-কামান-মিসাইল নিয়ে হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টে হিমালয়ের চেয়ে উঁচু শিরে যিনি তাদের জন্য আইনের কথা বলেছেন, কারাগারের কপাট ভেঙে সূর্যের মুখ দেখিয়েছেন সেই ব্যারিস্টার রফিক-উল হক যখন বলেছিলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে কোনো ভূমিকায় তাকে প্রয়োজন হলে শেষ বয়সে দেশের জন্য তিনি রাজি। তাকে 'আমি কার খালু রে' বলে তিরস্কার করায় অপমানিত হননি? বঙ্গবন্ধু যেদিন টাঙ্গাইলে অস্ত্র নিতে গিয়েছিলেন সেদিন ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকার সম্পাদক প্রাক্তন উপদেষ্টা মাহাবুব আলম ও প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা ছিলেন। সেই এবিএম মূসা যখন একটি টিভি চ্যানেলের জন্য আবেদন করেছিলেন সেটা তাকে দেননি। কিন্তু তিনি টাকা-পয়সা পাবেন কোথায়, সে জন্য চুরি-ডাকাতি করবেন কিনা এমন প্রশ্ন করার কি কোনো দরকার ছিল? এতে তিনি অপমানিত হননি? গাজীকে টিভি দিলেন, একে আজাদকে দিলেন, আসাদুজ্জামান ও আশা আপার মেয়ের জামাই ভাগিনা বাবুকে দিলেন, তারা কোথায় টাকা পেল? ওদের কেউ কেউ যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত তখন নাশতা খাওয়ার পয়সা থাকত না।
সে সময় এবিএম মূসার পারিবারিক গাড়ি ছিল। তাই এত তাচ্ছিল্য কেন? তারাও যে অপমান বোধ করতে পারেন এটা মনে থাকলে এমন হতো না। বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ীকে সুদখোর বলে গালাগাল করলেন। এখন নাকি তার সঙ্গে একটা আপসরফা করতে দূত লাগিয়েছেন। দীর্ঘ সময় গালাগাল করে প্রয়োজনে এখন তিনি আপস করতেই পারেন।
কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের গায়ে যদি মা-বাবার পবিত্র রক্ত থেকে থাকে তাহলে তার সঙ্গে সমঝোতা করা মানে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদেরও চেয়ে খারাপ কাজ করা এবং গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৪ লাখ সদস্যের কাছে তো বটেই, সমগ্র দেশবাসীর কাছে কাপুরুষ বলে বিবেচিত হওয়া। নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে যখন দিনের পর দিন অপমান-অপদস্থ করা হয়েছে তখন কি একবারও মনে হয়নি, সেই কবে কবি লিখেছেন, 'হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান, অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান। '
লেখক : রাজনীতিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।