আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গীতা সরকাররা দগ্ধ হবে, দগ্ধ হবে ৫৬হাজার বর্গমাইল।

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।

গীতা সরকাররা দগ্ধ হবে, দগ্ধ হবে ৫৬হাজার বর্গমাইল। লুটেরা জোট গুলোর ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকার জন্য অনেক অনেক লাশের সিঁড়ি খুব বেশি প্রয়োজন। গীতা সরকাররা দগ্ধ হবে। খুন হবে বিশ্বজিৎরা, পুলিশের গুলিতে মারা পড়বে নিরিহ হাবিবরা।

পেট্রলবোমা নিক্ষেপ কারীদের পুলিশের বুলেট স্পর্স কররা ক্ষমতা রাখে না। কেননা ক্ষমতায় থাকতে ও ক্ষমতায় যেতে হলে যে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ কারীদের খুব বেশি প্রয়োজন ক্ষমতার মসনদ নিয়ে কামড়া-কামড়ি করা লুটেরা জোট গুলোর। গতকাল প্রধানমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে নাশকতার আগুনে পোড়া মানুষগুলোকে দেখতে যান। সে সময় বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ গৃহবধূ গীতা সরকার প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে কাঁদতে কাঁদতে আকুতি আর তীব্র ক্ষোভে বলেন, “আমরা আপনাদের তৈরি করছি, আপনারা আমাদের তৈরি করেন নাই। আমরা আমাদের স্বামীরটা খাই।

আপনারা আমাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। ... আমরা ভালো সরকার চাই...আমরা অসুস্থ সরকার চাই না। ’” (নিউজ জাতীয় দৈনিক গুলো) মেধাবী ছাত্র তানভীর আহমদ ত্বকী হত্যা, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা, বিশ্বজিৎ হত্যা,আলোচিত হত্যাকান্ড গুলোর মাঝে সর্বাধিক সময় মিডিয়া ও সাধারন মানুষের মাঝে যে আলোড়ন তুলেছিল, আজ অবধি তার বিচার হয়নি। সেখানে গীতা সরকার প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে কাঁদতে কাঁদতে আকুতি আর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে যে কথা গুলো বলেন, পেশী শক্তির রাজনীতিতে অবস্থ্য প্রতিটি দলই, তা সাধারন মানুষ যেমন জানেন। গীতা সরকার ও নিশ্চয় ভালো করেই জানেন।

তাইতো তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন “আপনারা আমাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। ... আমরা ভালো সরকার চাই...আমরা অসুস্থ সরকার চাই না। ’” ক্ষমতার লোভে জনগণ জিম্মি করে রাজনীতি সেই অনেকদিন আগে থেকেই চলে আসছে লুটেরা জোট গুলোয়। এক টাই চাওয়া সেটা হল ক্ষমতা আর কিছু না । জনগনের কি হল সেটা ভাবার সময় কারো নেই ।

প্রতিদিন মানুষ পুড়বে, বাস পুড়বে, আর কত কত লাশ পড়বে তাতে দল গুলোর কি আসে যায়। তাদের প্রয়োজন ক্ষমতার চেয়ারটা। এক দল তা আকঁড়ে থাকতে চায় তো আরেক দল ক্ষমতায় যেতে উন্মুখ। আমরা যারা অন্তজালে বসে প্রতিনিয়ত এই সকল লুটেরাদের বিরেদ্ধে লিখছি তাদের মাঝে কত জনই বা সচেতন? যারা সচেতনসুলভ আচরণ করে তাদের কতজনই বা সক্রিয়?? মৌমাছি যদি বিন্দু বিন্দু করে মধু জমা করে বিশাল মধুর ভান্ডার গড়ে তুলতে পারে তবে আমরা কেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তিকে এক করে লুটেরা জোট গুলোর ভিত কাঁপিয়ে দিতে পারবো না? চাই অহিংস নৈতিক শক্তির উত্থান/কর্পোরেট মিডিয়ার বিপরীতে , চাই খেটে খাওয়া কৃষক ,শ্রমিক, ছাত্র জনতার মুখপত্র ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।