আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম-অমুসলিম সমস্ত দেশের জন্য উচিত- মহাপবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস উনার চাঁদ শরঈ নির্দেশ মুতাবেক তালাশের ব্যবস্থা করা। আর এ মাসের ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে সকল জনগণকে সচেতন করা। ।

আমি সত্য কথা বলি পবিত্র কুর্আন শরীফ উনাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ উনার ৫৫-৫৮নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া, ইহসান ও রহমত অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়েছো; তাই উনার জন্য ঈদ উদযাপন তথা খুশি প্রকাশ করো। ’ আগত মাসই হচ্ছে সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস। সমস্ত মাসের সেরা মাস- সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস সমাগত। সৃষ্টির শুরু থেকে গণনা হিসেবে মাসের সংখ্যা বারোটি। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে অধিক সম্মানিত মাস হচ্ছে- মহাপবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস।

যাকে সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুল শুহুর, শাহরুল আ’যম বলা হয়। এ সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই যিনি উনার স্থান, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- তিনি এই দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ নিয়েছেন। আবার এই যমীন থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারক-এ মিলিত হয়েছেন এ মহাপবিত্র মাসেই। সুবহানাল্লাহ! এছাড়াও আনুষ্ঠানিককভাবে পবিত্র নুবুওওয়াত শরীফ, পবিত্র হিজরত শরীফ এবং আরও বহু মুবারক ঘটনা এই মহাপবিত্র মাসেই সংঘটিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! যেহেতু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই রহমত এবং তিনিই রহমত বণ্টনের মালিক অর্থাৎ ‘রহমতুল্লিল আলামীন’; তাই এই বিশেষ মাসে আলাদাভাবে বিশেষ রহমত নাযিল হয় শুধু মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে।

এ মহাপবিত্র মাস উনার তাৎপর্য অনুধাবনের জন্য, বিশেষ রহমত হাছিলের জন্য সর্বোপরি পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুসণের জন্য শরয়ী নির্দেশ মুবারক মুতাবিক চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে এই মুবারক মাস শুরু করা ফরয-ওয়াজিব। মনগড়া পদ্ধতিতে মাস গণনা করার সমস্ত রীতি-নীতি পরিহার করে যারা শরয়ী নির্দেশ মুতাবিক চাঁদ দেখে মহাপবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস শুরু করবে শুধু তারাই এই মহাপবিত্র মাসের নিয়ামত লাভ করতে পারবে। যদিও চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া। কিন্তু সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ পেয়ে খুশি প্রকাশের নিয়তে এ মাস উনার চাঁদ শরয়ী নির্দেশ মুবারক মুতাবিক তালাশ করলে তা হবে সমস্ত আমলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ উত্তম। সুবহানাল্লাহ! মতামত দিতে- ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.