শুক্রবার বিশ্বকাপের ড্র। ঠিক হবে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের গ্রুপিং। বিশ্বকাপের উত্তাপটা হয়তো ক্রীড়ামোদীরা অনুভব করতে থাকবেন এই দিন থেকেই। কিন্তু তার আগে নিজ দেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিরুদ্ধে আবার সোচ্চার হলেন সাবেক স্ট্রাইকার রোমারিও।
১৯৯৪ সালে ব্রাজিলকে ২৪ বছর পর বিশ্বকাপ জিততে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন তিনি।
হালে রাজনীতিক এই ফুটবলার মনে করেন, দেশকে অজস্র সমস্যার মধ্যে ফেলে রেখে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিলাসিতায় মেতে ওঠাটা ঠিক নয়। এর পরিণতি ভয়ংকর!
বিশ্বকাপের আয়োজনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই অবস্থান নিয়েছেন রোমারিও। তাঁর মতে, উন্নয়নশীল ব্রাজিল বিপুল পরিমাণ অর্থ বিশ্বকাপ আয়োজনের পেছনে ব্যয় করবে, সেটা দিয়ে দেশটির অনেক দৈনন্দিন সামাজিক সমস্যারই সমাধান করা যেত। তিনি পুরো ব্যাপারটিকেই এক ধরনের ‘শোষণ’ হিসেবে দেখতে চান। বিশ্বকাপ আয়োজন মানে যে ব্রাজিলের সাধারণ মানুষকে ‘বঞ্চিত’ করা—সেটা প্রথম থেকেই বলে আসছেন তিনি।
বিরোধী রাজনীতিবিদ হিসেবে সরকারের প্রতিও ক্ষোভ ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে, ‘ক্ষমতার শীর্ষে বসে থাকা মানুষগুলো বুঝতে পারছে না, বিশ্বকাপের নামে ব্রাজিলের সাধারণ মানুষকে শোষণ করছে ফিফা। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপটা হবে মাঠের ফুটবলের আড়ালে ফিফার এক ধরনের সার্কাস। ’
গত জুনে কনফেডারেশন কাপে ব্রাজিলের সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। ব্যাপারটিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখেন রোমারিও, ‘কনফেডারেশন কাপের সময়কার গণবিক্ষোভ কিছুই নয়। বিশ্বকাপ শুরু হলে আরও বড় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে।
মানুষ আসলে ভেতরে, ভেতরে ফুঁসছে। কারণ তাদের বঞ্চিত করে এই বিপুল অঙ্কের বিশ্বকাপ আয়োজনকে এক ধরনের অপরাধ হিসেবেই দেখছে সাধারণ মানুষ। ’
রোমারিও মনে করেন, এই মুহূর্তে ব্রাজিলবাসীর সবচেয়ে বেশি দরকার খাদ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিত্সা ও পরিবহন সমস্যার আশু সমাধান। মানুষ এসব সমস্যা নিয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত। এর মধ্যে ৭৬০ কোটি পাউন্ড খরচ করে বিশ্বকাপ আয়োজন বাতুলতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
আর এই বাতুলতাটি করে যাচ্ছে ব্রাজিল সরকার, কিছু স্বার্থান্বেষীর প্রত্যক্ষ ইন্ধনে। পুরো ব্যাপারটিই অসত্, অন্যায্য। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।