বুধবার সকালে ঢাকা পৌঁছানোর পর দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন সুজাতা।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, পররাষ্ট্র সচিব মো.শহীদুল হকের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে সুজাতা সিং বাংলাদেশে এসেছেন।
“প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ”
প্রেস সচিব জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্য দূরীকরণের ওপর গুরুত্ব দেন এবং দরিদ্রতাকে এ অঞ্চলের প্রধান শত্রু হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করলে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব।
অন্যদের মধ্যে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ উজ জামান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান এবং প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


সুজাতা সিংয়ের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ সরণ।
সুজাতা সিংকে বহনকারী ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমান সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।
সুজাতার আকস্মিক এই সফরের বিষয়বস্তু কোনো তরফেই জানানো হয়নি। তবে চলমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার এই সফরকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।


ঢাকা পৌঁছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং। পরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান।
দুই দিনের এই সফরে  বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে এই ভারতীয় কর্মকর্তার। এছাড়া সন্ধ্যায় তিনি সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন।
দুদিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবারই ফিরে যাবেন সুজাতা।

তার পরদিনই ঢাকা সফরে আসছেন জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো।
বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে চায় প্রধান বিরোধী দল, অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ‘সর্বদলীয়’ সরকার  গঠন করে নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে।
এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন গত সোমবার তফসিল ঘোষণা করলে বিরোধী দল টানা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে সংঘাতে নিহত হয়েছে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ।
।