যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মঙ্গলবার জারি করা এই সতর্কতা আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মুখোমুখি অবস্থানে গত দুই সপ্তাহে সংঘাত-সহিংসতায় ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিল।
সতর্কবার্তায় বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন থাকা, পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা স্থাপনায় হামলা না হলেও চলমান সংঘাতে যে কোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকরা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
সম্প্রতি ঢাকায় বিরোধী জোটের অংশীদার জামায়াতে ইসলামীর মিছিল থেকে সংঘাতের সময় স্পেনের এক নাগরিকের গাড়িও ভাংচুর হয়।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে বলেও নাগরিকদের জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল গত দুই সপ্তাহ ধরে অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে যেমন বিরোধী দলের কর্মী মারা যাচ্ছে, তেমনি গাড়িতে অগ্নিসংযোগে মারা যাচ্ছে নিরীহ মানুষ।
নির্বাচনের সময় এই সংঘাত বাংলাদেশে সব সময় দেখা যায় উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, দেশটিকে রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত হরতাল-অবরোধ ডাকে, যা সংঘাতের দিকে গড়ায়।
পরিস্থিতির সর্বশেষ জানতে নিয়মিত ঢাকায় দূতাবাসের ওয়েবসাইটে চোখ রাখতেও নাগরিকদের বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
বাংলাদেশে চলমান সংঘাতে উদ্বেগ জানিয়ে দুই পক্ষকে সংলাপে বসতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। মঙ্গলবারও রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা দুই প্রধান দলকে সংলাপে বসে সঙ্কটের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।