আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুনরায় জব্বারের সাহায্য চাইলেন এরশাদ

আর ভালা লাগে না, ইসটুডেন থাকতে কত সুখে আছিলাম!!

নিজস্ব মতিবেদক নাটকীয় ভাবে জাতীয় পার্টির নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়ে গৃহবন্দী অবস্থা বরন করেছেন সাবেক স্বৈরাচার ও পল্লীবন্ধু রহস্যপুরুষ আলহাজ্জ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এমতাবস্থায় বাকশালী সরকারের ফেসিবাদী রেব ও পুলিশ তার বাসস্থান ঘেরাও করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন সাবেক সেনা প্রধান এই জেনারেল। বুধবার রাতে নিজ বাসভবনে স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের রেশমী নাইট গাউন পরিধান করে সংবাদ সম্মেলন আহোভান করেন পল্লীবন্ধু (৯২)। এরশাদ বলেন, আমি অনেক প্রত্যাশা নিয়া মহাজুটে যোগ দিছিলাম। শেখের বেটী আমায় ওয়াদা করেছিল, সে আমায় রাস্ট্রপতি বানাবে, আমার নামে যত মিথ্যা মামলা আছে তা তুলিয়া লবে, আর বতসরে একবার করিয়া মুরগ পলাও রান্না করিয়া খাওয়াবে।

কুন ওয়াদাই সে রাখে নাই। আবেগঘন কণ্ঠে পল্লীবন্ধু বলেন, আমার সংগে যে ওয়াদা ভংগ করে, আমিও তার সংগে ওয়াদা ভংগ করি। ইন ফেক্ট, আমি সবার সংগেই ওয়াদা ভংগ করি। কিন্তু প্রশ্ন সেটা নহে। প্রশ্ন হচ্ছে, আবার আমি কারাগারে ঢুকব কিনা? উত্তর হচ্ছে, ঢুকব না।

নাইট গাউনের পকেট হতে চারটি পিস্তল হাতে নিয়ে এরশাদ বলেন, আমি একজন মুমিন সৈনিক। মুমিন কখনও মৃত্যুকে ভয় করে না। সৈনিকও মৃত্যুকে ভয় করে না। তাই আমি মৃত্যুকে পর পর দুইবার ভয় করি না। কুন খালেদার পুলা রেব পুলিশ যদি আমায় এরেষ্ট করতে আসে, এই চারটি পিস্তলের চল্লিসটি গুলি দিয়া আমি আত্মহত্যা করব।

নাইট গাউনের নিচের অংশ তুলে অশ্রু মুছে পল্লীবন্ধু বলেন, এর আগে যখন জেলে নিল, ভাবলাম দিনগুলি সেই সুনার খাচায় ভালই কাটবে। কিন্তু আমার ধারনা ছিল ভুল। জেলে একদিন রমজানের ইফতারে জেলারকে ডাকিয়া বললাম, রহমত দুইখান চমচম দিছ রে। জেলার রহমত হাসতে হাসতে বলল, মিস্টি মুস্টি নাই। বুট দিছি মুড়ি দিছি শসা দিছি জিলাপী দিছি এগুলি খান।

হুহু করে কেদে উঠে এরশাদ বলেন, জেলে রমজানে ইফতারে মিস্টি নেই। ও গ ও জেলে আমি কিভাবে যাব? তারচেয়ে হাম খুদকুশী কর লেংগে। তারে নাগাল পেলে পলায় ছুটে লাগায় চুখে ধাধা এক গ্লাশ লাল বর্নের শরবত পান করে এরশাদ বলেন, তফছিল ঘুষনার পর আমি শেখের বেটীর সংগে সাক্ষাত করিয়া বললাম, নির্বাচনে যাব। মুল্য এক হাজার কুটি টেকা মাত্র। শেখের বেটী আমায় ভেনিটি বেগ খুলিয়া একশত টেকা দিয়া বলল, আপাতত একশ টেকা লন, মিস্টি মুস্টি খান।

বাকি নয়শত নিরানব্বই কুটি নিরানব্বই লক্ষ নিরানব্বই হাজার নয়শত টেকা নির্বাচনের পরে দিব। আমি একশত টেকা নিয়া বিক্রমপুর মিস্টান্ন ভান্ডারে গিয়া দুটি চমচম ভক্ষন করিয়া বাসায় আসিলাম। আসিয়া নেতা কর্মীদিগকে বললাম, চল ইলেকশন করি। কাজী জাফর আহমদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে পল্লীবন্ধু বলেন, সবাই রাজী হল, শুদু হারামজাদা মহিষাশুর কাজী জাফর রাজী হল না। আমায় সে মুঠোফুন মেরে বলে কি, এক হাজার কুটি টেকার টেন পারসেন্ট আমায় দেও।

আমি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বললাম, জাফর তুই মির জাফর হয়ে গিয়াছিস। আগে কত ভাল আছিলি। এইসব কি। হুয়াট ইজ টেন পারসেন্ট? সে শুদু হাসে আর বলে, টেন পারসেন্ট না দিলে পেন্ডরার বাক্স খুলিয়া তুমায় পুনরায় জেলের ভাত খাওয়াব গ পীরভাই। কাদতে কাদতে এরশাদ বলেন, তারপরও আমি চেস্টা করেছি।

কিন্তু ভারতের পর রাস্ট্র সচিব সুজাতা সিংহী আমার বাসায় আসিয়া বলল, হাসিনার নিকট হতে একশত টেকা নিয়া ডিল করছেন। এখন ডিল বাতিলের কুন সুযুগই নাই। আমি বললাম, হাসিনার একশত টেকা আমি প্রয়জনে নাইট গাউন বিক্রয় করিয়া ফিরাইয়া দিব, কিন্তু নির্বাচনে আমি আর যাব না। সুজাতা সিংহী আমায় তখন বলে কি, এখন ত জেলে ডিভিশন পাওয়া যায়। মিস্টি চমচম আলাল সব কিছুর বন্দবস্ত আছে।

তবে কেন এমন কর? ক্ষুব্ধ কণ্ঠে এরশাদ বলেন, আমার কথা একটাই, জেলে যাব না, যাব না, যাব না। বরং আত্মহত্যা করব। এ সময় মুঠোফোনে কল এলে পল্লীবন্ধু কল ধরে হাসতে হাসতে বলেন, কে জব্বার? হুয়াটসাপ মাদাফাকা? শুন আই নিড ইউর হেল্প। আমি আত্মহত্যা করতে চাই, কিন্তু আমার পিস্তলের নলগুলি খাড়া হইতেছে না। তুমি কি পিস্তলের নলের জন্য চাইর শিশি ‘বিজয় তেল’ পাঠাইতে পারবা? থেংকিউ।

আই ঔ ইউ ওয়ান, বিচ। Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।