নিজ ইচ্ছায় কোন ব্যক্তি, দল কিংবা দেশ মাইনকা চিপায় ফাশতে চায়না তারপরও যুগে যুগে তারা ফেঁসেছে ব্যক্তি বিশেষের নির্বুদ্ধিতা এবং অপুরনীয় লোভের কারণে। মুসলমানদের জন্য মুর্খতাও এর একটি বড় কারণ। যেমন আমাদের দেশে বর্তমান সরকারের আমলে সংবিধান থেকে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ বাক্যটি ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে তুলে দেয়া হয়েছে। ৯৮ ভাগ মুসলমানদের দেশে ইসলামের বিরুদ্ধে শুধু ঐটুকু করেই সরকার ক্ষ্যান্ত হয়নি, তৈরি করেছে বিরাট এক নাস্তিক এবং ইসলাম বিদ্বেষী দল। দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহের ৪০% পদ পূর্ণ করা হয়েছে ঐ ২% হিন্দু জনসংখ্যা থেকে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে একজন চরম হিন্দুপন্থি তা এ দেশের মানুষের বুঝতে বাকি নেই।
যে বিষয়টা বুঝতে এদেশের মুসলমানদের অনেক বেশি বাকী রয়েছে তা হচ্ছে আমাদের জামাত-শিবির কোন পন্থি? মুসলমান, মাথায় টুপি, মুখে দাড়ি, পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফের বরাত দিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে, ওরা কিসের পন্থি? কার পন্থি? এই একটা স্থান, যেখানে এদেশের মুসলমানেরা দুঃখ জনক ভাবেই অজ্ঞ। এদেশের জামাত-শিবিরের কা- হচ্ছে সউদী ওহাবী রাজা আর সেই কা-ের শিক্ষর গ্রথিত রয়েছে ইহুদীদের ইসরাইলে। বিষয়টি হঠাৎ করে উপলোব্ধিতে ধাক্কা দিবে তবে সামান গুগুল করলে তার বাস্তবতা বুঝা জলবৎ তরলং। যারা ইংরেজি পড়তে অভ্যাস্ত তাদের জন্য ক্লিক করে শুধু একবার পড়ে নিলেই বুঝতে পারবেন জামাত/শিবিরের শিকরটা কোথায় গ্রথিত রয়েছে।
এ পর্যায়ে আপনারাই বুঝুন এদেশের মুসলমানরা কি কঠিন মাইনকার চিপায় পতিত। জামাত-শিবির করলে ইহুদীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন আর আওয়ামী লীগ করলে সরাসরি মুশরিকদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন। কেউই ইসলাম তথা মুসলমানদের কম শত্রু নয়, পবিত্র কুরআন শরীফে তো আছেই (সূরা মায়েদা: আয়াত নং ৮২) বাস্তবেও আমরা তার নজির দেখতে পাচ্ছি প্রতি নিয়ত।
বর্তমানে আমাদের দেশে নির্বাচন পূর্ব যে পরিবেশ দেখতে পাচ্ছি ঠিক একই পরিবেশে ছিল সিকিম নামের স্বাধীন দেশটির শেষ জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে। সত্যতা যাচাই করতে ক্লিক করুন
একদিকে ভারত সিকিমের রাজা চগিয়াল লামডেনকে মগজ ধোলাই করে সম্পূর্ণ নিজের লোক বানিয়ে নেয়, এমনকি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনারারী জেনারেল পদবী ও তাকে প্রদান করা, হয়।
আবার অপরদিকে সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস (এসএনসি) এর নেতা লেন্দুপ দর্জিকে গোপন পরামর্শ দেয়া হয়, যে কোন মুল্যে রাজতন্ত্র উচ্ছেদ করার জন্য। পরিকল্পিতভাবে এসএনসির গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে গণবিক্ষোভে রূপান্তর করা হয়, তখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সিকিমবাসীর লেবাসে বিক্ষোভে যোগ দেয় এবং ব্যাপক ধংশাত্মক কার্যকলাপ পরিচালনা করে যা ভারতীয় ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো আওয়ামী লীগ-এর ছত্রছায়ায় বাংলাদেশেও বর্তমানে পরিচালনা করছে বলে প্রতিয়মান। প্রমান জীবিত মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের দায়ী করা ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী ‘র’ এবং আমাদের আওয়ামী লীগ এর অতি পুরানো অভ্যাশগত রাজনৈতিক কর্মকান্ড।
ভারতীয় গোয়েন্দা ‘র’ এর সহায়তায় সিকিমের এসএনসি ৭৪ সালের নির্বাচনে নিরন্ধুশ সংখ্যাগরিষ্টা লাভ করে (৩২ আসনের মধ্যে ৩১টি আসন)। পরবর্তী বছর প্রধানমন্ত্রী লেন্দুপ দর্জি পার্লামেন্টে ভারতের সাথে যোগদানের প্রস্তাব দেয় এবং ঐ প্রস্তাব পাশ করিয়ে সিকিমের স্বাধীনতা ভারতের নিকট হস্তান্তর করে।
এইটা প্রমাণিত সত্য যে, ভারত প্রতিবেশী দেশের কোন একটি রাজনৈতিক দলকে সরাসরি সহায়তা করেই ওই দেশকে দখল করার জন্য।
এখন সিদ্ধান্ত আমাদের যে, আমরা জামাতকে সমর্থন দিয়ে ইহুদী এজেন্ডা বাস্তবায়নে সাহয়তা করবো না আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে মুশরিকদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবো? এ মুহুর্তে দেশের ক্রান্তিলগ্নে প্রচন্ডভাবে চাপের মধ্যে অবস্থানকারী জাতীয়তাবাদী শক্তিকে স্বাধীনতার স্বার্থে সমর্থন দেয়া প্রয়োজন বোধ করছি। এ ছাড়া মাইকনকার চিপা থেকে বেড়িয়ে আসার কোন সুযোগ নেই বলেই আপাতত প্রতিয়মান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।