আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শক্তিধর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিপক্ষ আত্মবিশ্বাসী বিজেএমসি

সেমিফাইনাল মানেই হাইভোল্টেজ ম্যাচ। কিন্তু আজ যে দুই দল ফাইনালে ওঠার লড়াই মোকাবিলা করবে তাতে কি কোনো উত্তেজনা থাকবে? বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র ও টিম বিজেএমসি ফেডারেশন কাপ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে। সমর্থক ও জনপ্রিয়তার কথা চিন্তা করলে ম্যাচের উত্তেজনা তেমনভাবে থাকবে না দর্শকদের মাঝে। কিন্তু দুই দল তো ঠিকই প্রাণপণ লড়বে যারা। ফাইনালে উঠবে শিরোপার পথে এক পা বাড়িয়ে রাখবে।

১৯৮০ সালে ফেডারেশন কাপ প্রথম আসরেই সেমিফাইনাল খেলেছিল তখনকার সময় দেশের ফুটবলে অন্যতম সেরা দল বিজেএমসি। নতুন রূপে আবির্ভূত হওয়ার পর এই পথে আসা হলেও ফেডারেশন কাপে এখন পর্যন্ত তারা শিরোপার খাতায় নাম লেখাতে পারেনি। সুতরাং আজ জিততে পারলেই বিজেএমসির সেই স্বপ্ন পূরণের সুযোগ থাকবে। তাই তো কোচ আলী আকবর নাসির দৃঢ়ভাবেই বলেছেন, সেমিফাইনালে আমরা জয় ছাড়া কিছুই ভাবছি না। সত্যি বলতে কী, আজ বিজেএমসি ফাইনালে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

কারণ প্রতিপক্ষ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার শক্তি সমানই বলা যায়। শেখ রাসেলকে পেছনে ফেলে মুক্তিরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেও বিজেএমসিও কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ রাসেলকে হারিয়ে শেষ চারে ঠাঁই পেয়েছে। টাইব্রেকারে জয় হলেও খেলার চেহারা অনুযায়ী সেদিন তাদের নির্ধারিত সময়ে জেতা উচিত ছিল। সে ক্ষেত্রে কোচ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হতেই পারেন। অধিনায়ক শুভ বলেন, গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আমার বিশ্বাস আমরা সহজেই ফাইনালে উঠতে পারব।

ফাইনালে গেলে বিজেএমসির যেমন প্রথমবারের মতো ফেডারেশন কাপে শিরোপা জেতার সুযোগ থাকবে, তেমনি মুক্তিযোদ্ধার থাকবে হারানো ট্রফি উদ্ধারের। ১৯৮৪ সালে প্রথম বিভাগে অভিষেক ঘটার পর তারা বেশ কবার সেমিফাইনাল খেললেও ফাইনালে প্রথম উঠেছিল ১৯৯৪ সালে শক্তিশালী দল গড়ার পর। আর সেবারই আবাহনীকে ৩-২ গোলে হারিয়ে আসরে প্রথমবার শিরোপা জয়ের খাতায় নাম লেখায় মুক্তিযোদ্ধা। এরপর আরও তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়। এবারে গ্রুপ পর্বের শক্তির পর্যালোচনা করলে বিজেএমসির তুলনায় মুক্তিযোদ্ধাকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখা যায়।

শেখ রাসেল থাকার পরও তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাদার্সকে হারিয়েছে সহজভাবেই। দলে তারকা ফুটবলার না থাকলেও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক শিষ্যদের ভালোভাবেই প্রস্তুত করতে পেরেছেন। বিশেষ করে দলের আক্রমণভাগের পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো। নাইজেরিয়ান কিংসলে এলিটা প্রতিটি ম্যাচেই নজর কেড়েছেন। গত কয়েক বছর ইনজুরির কারণে সাইডলাইনে থাকলেও মুক্তিযোদ্ধায় এসে এনামুলও জ্বলে উঠেছেন।

সুতরাং অনেক দিন পর মুক্তিযোদ্ধা ফাইনালে যাওয়ার আশা করতেই পারে।

কোচ মানিক বলেন, প্রতিপক্ষ অবশ্যই যোগ্যতার প্রমাণ দেখিয়ে সেমিতে এসেছে। কিন্তু আমার ছেলেরা যদি আগের ম্যাচগুলোর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে তাহলে বলব জয় পাওয়াটা কষ্টকর কিছু হবে না। অধিনায়ক মারুফ বলেন, আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। তাই আশা রাখি সবাই সেরা খেলা উপহার দিয়ে দলের ফাইনাল নিশ্চিত করব।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।