অন্য দুই দল চিলি ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গড়া 'বি' গ্রুপকে তাই 'কঠিন' মানতেই হচ্ছে।
নেদারল্যান্ডসকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে স্পেন। শিরোপা ধরে রাখার লড়াইও শুরু হচ্ছে সেই প্রতিপক্ষকে দিয়েই। ব্যাপারটা মোটেও পছন্দ হচ্ছে স্পেনের কোচ ভিনসেন্ত দেল বস্কের।
“আরেকটু কম কঠিন গ্রুপের প্রত্যাশা করেছিলাম।
২০১০ সালের পর নেদারল্যান্ডস দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ”
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, তুরস্কের মতো দলের বিপক্ষে খেলেও কোনো ম্যাচ হারেনি বিশ্বকাপ রানার্সআপরা। ১০ খেলার নয়টিতেই জয় পাওয়া নেদারল্যান্ডস পয়েন্ট (২৮) আর গোল পার্থক্যের (+২৯) হিসেবে এবারের বাছাইপর্বে ইউরোপের সেরা দল।
তাই কোচ লুইস ফন গালের অধীনে নেদারল্যান্ডস দারুণ উন্নতি করেছে বলে মনে করেন স্পেনকে বিশ্ব ও ইউরো শিরোপা এনে দেয়া দেল বস্ক।
শুধু বাছাই পরের রাউন্ডে যাওয়া নয়।
‘এ’ গ্রুপের সম্ভাব্য সেরা দল স্বাগতিক ব্রাজিলকে যেন দ্বিতীয় রাউন্ডে এড়ানো যায় সেই কথাও ভাবতে হচ্ছে বস্ককে।
ফন গালও মনে করেন নেদারল্যান্ডসের জন্য ড্র ভালো হয়নি। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে তার মূল্যায়নেই স্পষ্ট কতটা কঠিন কাজ অপেক্ষা করছে দেশটির সামনে।
“আমাদের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেন। এরপর অস্ট্রেলিয়া, যাদের আমরা কখনো হারাতে পারিনি।
চিলির বিপক্ষে না খেললেও জানি ওরাও শক্ত প্রতিপক্ষ। ”
আর ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে স্পেন ১ নম্বরে আর নেদারল্যান্ডস ৮ নম্বর বলে নিজেদের 'ফেভারিট' মানতে রাজি নন ফন গাল।
পরের রাউন্ডের প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছেনই না চিলির কোচ জর্জ সাম্পোলি। আলেক্সি সানচেস, আর্তুরো ভিদালদের কোচের ভাবনায় এখন কেবল প্রথম রাউন্ড।
“ব্রাজিলের কথা ভুলে যান।
আগে তো আমাদের প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরুতে হবে আর এটা ভীষণ কঠিন একটি গ্রুপ। ”
তবে গত বিশ্বকাপের সেরা দুই দলের সঙ্গে এক গ্রুপে পড়লেও ‘ভীত’ নন সাম্পোলি; বরং এটা তার শিষ্যদের আরো ভালো খেলা উপহার দেয়ার অনুপ্রেরণা দেবে বলেই মনে করেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার কোচ আঞ্জেলোস পোস্টেকোগলো তো দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা ছেড়েই দিয়েছেন। তরুণ খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা অর্জনের মঞ্চ হিসেবেই তিনি দেখছেন ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরটিকে।
“আমরা বড় দলের বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিলাম।
ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে সেরা দলের বিপক্ষে নিজেদের পরীক্ষা করে নিতে চেয়েছিলাম। ”
মুখোমুখি লড়াই
এর আগে দশবার মুখোমুখি হয়েছে স্পেন ও নেদারল্যান্ডস। তবে জোহানেসবার্গের গত ফাইনালেই বিশ্বকাপে তাদের প্রথম দেখা।
এর আগে দশবার চিলির বিপক্ষে খেলেছে স্পেন। এর মধ্যে বিশ্বকাপের দুই দেখায় (১৯৫০ সালে ২-০ ও ২০১০ সালে ২-১) জিতেছে তারা।
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কখনেই খেলেনি বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কখনই জিততে পারেনি নেদারল্যান্ডস। তিনটি প্রীতি ম্যাচের দু'টি ড্র হয়েছে, আর ২০০৮ সালে হেরেছে তারা।
১৯২৮ সালের অলিম্পিক ফুটবলে চিলির মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডস। সেই ম্যাচ শেষ হয়েছিল ২-২ সমতায়।
এশিয়া থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা অস্ট্রেলিয়া এর আগে চারবার চিলির মুখোমুখি হয়েছে। ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপ ম্যাচটি শেষ হয়েছিল গোলশূন্য সমতায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।