দাবি আদায়ের নামে যে ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে তা কোনভাবেই গণতন্ত্রের সহায়ক নয় বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের সহিংসতা পরিহার করে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের পথ সুগম করতে অতিসত্বর একটি গঠনমূলক সংলাপ শুরুর তাগিদ পুনরায় দিলো যুক্তরাষ্ট্র। সমঝোতার মাধ্যমে এমন একটি নির্বাচনের পথে যেতে হবে যেখানে বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে, তেমন একটি পরিবেশ তৈরিতেও সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে। এ বিষয়টি এখন খুবই জরুরী বলেও যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে।
৬ ডিসেম্বর শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সহিংস আচরণে ওয়াশিংটন প্রশাসনসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বে সৃষ্ট উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার উদ্ধৃতি দিয়ে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি বা মতামত কী তা জানতে চান একজন সাংবাদিক।
এর জবাবে মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র মেরি হার্ফ আরো বলেছেন, "বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে ধরনের সংঘাত-হিংস্রতা চলছে এবং ইতোমধ্যেই আমরা যেসব দেখছি, তা যারাই করুক না কেন তা কোনভাবেই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ নয়। এহেন আচরণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এসব অবশ্যই এক্ষুণি বন্ধ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবশ্যই সকল রাজনৈতিক দলের মতামত অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রকাশের অধিকার রয়েছে। তাই আমরা বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান রাখছি গঠনমুলক সংলাপের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাবার পন্থা অবলম্বনের চেষ্টা করার জন্যে।
এর আগের দিন বেলজিয়ামে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক শুনানিতে ইপিপি গ্রুপের সদস্যরাও সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে সংলাপের তাগিদ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, আন্দোলনের নামে চলমান সহিংসার আড়ালে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটতে পারে।
এদিকে, নিউইয়র্কের দল-নিরপেক্ষ প্রবাসীরাও আশা করছেন সংঘাতের পথ পরিহার করে সংশি্লষ্ট সকলে উদ্ভূত পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ অবসানে একটি সমঝোতায় উপনীত হবেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।