১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর, এই দিনটিকে স্মরণ করে কলকাতার গান্ধীমূর্তির সামনে তৃণমূলের সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেই বিজেপি বা তাঁদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্রমোদীকে নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
তার বক্তব্যে বহু জায়গায় ‘দাঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারিত হলো ঠিকই, কিন্তু তারজন্য বিজেপিকে দায়ী করলেন না একবারও। আর সব বিষয়ে যা বলেন, এক্ষেত্রেও তাই। নাম না করেও এর দায় বিরোধীদের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
কর্মসূচিটা ছিল তৃণমূলের সংহতি দিবস। কিন্তু মঞ্চে যেভাবে অতিথি অভ্যাগতদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেভাবে একে একে খ্রিস্টান, জৈন, মুসলিম ধর্মীয় নেতারা বক্তব্য রেখেছেন তাতে এদিনের সভাকে ধর্মসম্মেলন বললে অত্যুক্তি হবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, রাজ্যটা আমাদের সবার। কিন্তু স্বার্থপর কিছু দুষ্টু মানুষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে দেন। মনে রাখতে হবে দাঙ্গা করলে কঠোর শাস্তি হয়।
৬ ডিসেম্বররের কথা এলো মুখ্যমন্ত্রীর মুখে, কিন্তু বিজেপি’র কথা এলো না।
১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর তিনি নাকি টালা থেকে টালিগঞ্জ, গার্ডেনরিচ থেকে তপসিয়া বনবন করে ঘুরেছেন। শেষ পর্যন্ত মহাকরণে গিয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসুর সঙ্গেও দেখাও করেছিলেন কিন্তু তাও গোটা ঘটনার জন্য বিজেপি’রকে দায়ী করতে সাহস পেলেন না। মুকুল রায়, সুব্রত বক্সি, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা উপস্থিত থাকলেও সভা পরিচালনা করলেন ফিরহাদ হাকিম। আরো লক্ষণীয় হলো পঞ্চায়েত এবং পৌরসভা নির্বাচনে দলের ‘ভাল’ ফল করার পরে প্রথম কেন্দ্রীয় সভা তৃণমূলের।
কিন্তু বড়মাপের সভা দেখা গেল না। এদিনের সভায় দেখা গেল না সোমেন মিত্র, তাপস পাল, শতাব্দী রায় এরকম আরো কয়েকজনকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।