বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্টি প্রেসিডেন্ট রাজনাথ সিং প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসাবে মোদির নাম ঘোষণা করেন।
২০০১ সাল থেকে গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী পদে থাকা মোদিকে দীর্ঘদিন থেকেই বিজেপির উদীয়মান তারকা হিসাবেই দেখা হচ্ছিল। গত জুনে তিনি পার্টির নির্বাচনী প্রচারাভিযানের নেতৃত্বে আসেন।
বিজেপি সংসদীয় বোর্ডের নেতৃস্থানীয় সদস্য লালকৃষ্ণ আদভানি এবং সুষমা স্বরাজের ঘোর আপত্তি উপেক্ষা করেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মোদির নাম ঘোষণার সিদ্ধান্ত দেয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)।
আদভানি, সুষমা ছাড়াও সংসদীয় বোর্ডের আরো অনেকেই মোদির বিপক্ষে ছিলেন।
সেকারণে গত কয়েক দিনে সেই সব নেতার সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করে তাদেরকে একমত করার চেষ্টা চলেছে।
মোদির নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে মূলত দু’টি কারণে।
প্রথমত, এ মুহূর্তে তিনি দলের জনপ্রিয় নেতা। বিজেপি নেতা-কর্মীদের বেশিরভাগই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তাকে চান।
দ্বিতীয়ত, সঙ্ঘ পরিবারকে মোদি জানিয়েছেন, তাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হলে হিন্দুত্ববাদী কর্মসূচিকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেবেন তিনি।
আরএসএস চায়— রামমন্দির নির্মাণ, সংবিধানের ৩৭০ ধারা (জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা) বিলোপ ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এই ৩ টি বিষয়কে বিজেপি ফের সামনে নিয়ে আসুক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।