আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকে এরশাদের আয়ের অন্যতম পথ ছিল নির্বাচনে মনোনয়ন দানের মাধ্যমে প্রার্থীদের থেকে গৃহীত টাকা। বিগত দুটি নির্বাচনে এ নিয়ে তেমন কোন সমস্যা না হলেও এবার নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণায় নেতাকর্মীদের চাপের পাশাপাশি সংগৃহীত টাকা ফেরত দেয়ার ব্যাপক চাপে আছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। জাতীয় পার্টি অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগের নির্বাচন করার সিদ্ধান্তের ফলে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভবিষ্যত রাজনীতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি প্রধান দুই দলে বিলীন হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় এক বছর যাবত আ’লীগ ও বিএনপি উভয় দলের কাছেই ৭০ জনের একটি তালিকা প্রদান করে দরকষাকষি চলছিল। বিএনপির সাথে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন কাজী জাফর এবং আ’লীগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন রওশন এরশাদ ও ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম। ।
বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এটা জেনেই এরশাদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতি আসনের জন্য অন্তত ৭ কোটি টাকা নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে এরশাদ মনোনয়নপত্র বিক্রয় শুরু করেন।
প্রার্থীদের সাথে দরকষাকষি সুষ্ঠুভাবে করতে তিনি প্রথম থেকেই মনোনয়ন জমা দেয়ার সময় বাড়ানোর দাবি করছিলেন। নির্ধারিত সময়সীমা বেধে দেয়ায় গড়ে ৫ কোটি টাকা চাদা নির্ধারণ করে ৫০ আসনের প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করা হয়। কাঙ্খিত ৭০ আসনের মধ্যে ১৫ টি আসন জাতীয় পার্টির বিশ্বাসভাজন নেতাদের জন্য বরাদ্দ হয়।
উল্লেখ্য ২৯৯ টি আসনে মনোনয়ন প্রার্থীদের অন্তত ১৫০ জন তাদের সামর্থ অনুসারে দলীয় ফান্ডে টাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর ৭ কোটি টাকা চাদা দানে সম্মত হওয়ায় ১০ টি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়।
এ লেনদেন প্রক্রিয়ায় মধ্যস্ততাকারীরা কত পেয়েছেন কিংবা কি সুবিধা চেয়েছেন তা জানা যায় নি।
নির্বাচন থেকে সরে আসলে আ’লীগ এককভাবে নির্বাচন করবে না- এমন ধারণা থেকেই প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের কথা বলা হয়। কিন্তু আ’লীগ নির্বাচন অনুষ্ঠানে অবিচল থাকায় এবং বিনাপ্রতিদ্বিতায় সরকার গঠনের পথ প্রশস্ত হওয়ায় মনোনয়ন প্রত্যাশিরা তাদের অনিশ্চিত রাজনীতি নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। এদিকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সাথে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা গোপনে যোগাযোগ শুরু করায় প্রদানকৃত টাকা ফেরত দেয়ার চাপ সৃষ্টি করে প্রার্থীরা। একটি সূত্রে জানা যায়, সংগৃহিত টাকার পরিমাণ আড়াই শ কোটি টাকার বেশি এবং এ টাকার প্রায় সবই বিদেশে পাঠানো হয়েছে।
মধ্যস্ততাকারীরা প্রায় ৫০ কোটি টাকা পেয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের সাথে বৈরিতার ঝুকি এরশাদ নিবে না। ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন এরশাদ দেখেন না বরং বিরোধী দল হিসেবে কয়েকটি আসন নিয়ে সকলের প্রত্যাশিত সহযোগী হিসেবে থাকার কৌশলই এরশাদের রাজনীতির লক্ষ্য। তাই ৬০/৭০ টি আসন তদুপরি দলের নেতাদের মন্ত্রিত্ব। সুত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।