আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিনেজ

জীবনে প্রাণ আসুক। প্রতিটা মুহূর্তকে আমরা সুন্দর করে তুলি।

সন্ধ্যা। চেরাগী পাহাড় মোড়ে বাতিঘরের সামনে টুলে বসে আছি পিনাকী, দ্বৈপায়ন, আমি ও আরো কয়েকজন। টিনেজ আবেগ নিয়ে কথা হচ্ছিল।

দ্বৈপায়ন বলে, টিনেজ আবেগ খুব ডেঞ্জারাস। কন্ট্রোল করতে না পারলে বড় এক্সিডেন্ট ঘটে যায়। বিরানব্বই সালের দিকে আর্জেন্টিনা যখন হেরে গেল, আমাদের সে কি কান্না! তিন-চারদিন ভালো করে ভাত খাইনি। তার মা বলে, তোরা কি পাগল হয়েছিস? কোথায় আর্জেন্টিনা আর কোথায় বাংলাদেশ। এখন ভাবলে হাসি পায়।

ওসব ফিলিংস আর নেই। একজন বলে, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে টিনেজদের কাছে পৌঁছাতে হবে। শুভ সব তাদের জানাতে হবে। আরেকজন বলে, দেখ না, খুবই সিলি বিষয় নিয়ে তারা এখন আত্মহত্যা করে। সহনশীলতা নাই।

হয়ত বাবা-মারাই এর জন্য দায়ী। আর সমাজ? মানুষ তো সমাজেরই অংশ। মানুষ যেমন সমাজও তেমন। একজন প্রশ্ন করে, টিনেজদের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমরা কী করতে পারি? আমি বলি, নিজ নিজ জায়গায় আমাদের সৎ হতে হবে। পিনাকী বলে, আমাদের মধ্যে সততা না থাকলে তাদের কাছে যেতে পারব না।

একজন বলে, সাংস্কৃতিকভাবে তাদের কাছে যেতে হবে। বই, নাটক, গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, পত্রিকা, আড্ডা, সংগঠন-কত ভাবেই না তাদের কাছে যাওয়া যায়। কিন্তু এসব পথ এখন সংকুচিত। ভালো সংগঠন কোথায়? এক তরুণ বলে, আমার কয়েকজন চাচাত ভাই-বোন আছে। স্কুলে পড়ে।

তাদেরকে কাছ থেকে দেখি। বুঝি, ভালো পরিবেশ তাদেরকে কেমন পাল্টে দিতে পারে। পরিবেশ তৈরি করতে এখন তোমাকে-আমাকেই ফাইট করতে হবে। কিছু একটা তো করতে হবে। শুধু নিজেরটা নিয়ে থাকলে হবে না।

চেরাগী পাহাড়ে মানুষের আনাগোনা বাড়ে। আমরা হয়ত মনে মনে বলি, টিনেজ বালক-বালিকা, বই ধর, বই পড়। সময় তোমাকে ডাকছে। জীবন তোমার সামনে মেলে ধরেছে ডানা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।