যখন জাতীয় গুরুত্বপুর্ন কোন বিষয় কোন এক ব্যাক্তির থাকা না থাকার উপর নির্ভর করে, মনে করা হয় যে 'আমি' না থাকলে এটা হতো না, বা হবে না তাহলে বুঝতে হবে যে এই ব্যাক্তিই হলো স্বৈরশাষক। কারন গনতন্ত্র মানেই হলো বহুমত, বহু পথ, ভিন্নতা ও জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে গুরুত্বপুর্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া ও বাস্তবায়ন করা। আর যদি নিজস্ব কোন ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত বা অভিলাষ গনতন্ত্রের নামে, মানবতার নামে জাতির উপর চাপিয়ে দেয়া হয় তা সে অভিলাষ যতই ভাল হোক না কেন তা স্বৈরতা নামেই বিবেচিত হবে। সুতরাং নিজস্ব হীন রাজনৈতিক এজেন্ডা যদি না হয়, জাতীয় স্বার্থে যদি কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয়ে তা হলে অবশ্যই তা জনগনের আস্হার উপর ছেড়ে দিতে হবে, জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে করতে হবে। জাতীয় ঐক্যমত যদি না থাকে তাহলে সেটা সৃষ্টি করে নিতে হবে। তাহলেই কেবল মাত্র ঐ জাতীয় গুরুত্বপুর্ন বিষয়টাকে এগিয়ে নেবার কিংবা পরিসমাপ্তি করবার গ্যারান্টি থাকবে। বিষয়টাই যদি জাতীয় হয়, মানবতার স্বার্থে হয়, দেশের স্বার্থে হয় তাহলেতো সেখানে গোটা জাতিরই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, না থাকলেও করে নিতে হবে। অথচ অনেকেই আমরা ব্যাক্তিগত আবেগটাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাই যেটা গনতন্ত্রের ঘাতক হিসেবে কাজ করে। কেননা কোন এক ব্যাক্তি বিশেষই যদি কোন জাতীয় সর্বোচ্চ বিষয়ের সিদ্ধান্তগ্রহন ও বাস্তবায়নের একমাত্র অবলম্বন হন তাহলে যেহেতু তিনিও 'অমরণশীল' নন, তাহলে আজ যদি কোন কারনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন, তখন কি হবে? সব জাতীয় গুরুত্বপু্র্ন বিষয়ের কাজগুলো বন্ধ হয়ে যাবে? না কি পৃথিবীতে তা কখনও হয়েছে? তাহলে আমরা কেন কোন একজন ব্যাক্তি বন্দনায় এত বিভোর হয়ে যাই যে তাকে রক্ষার জন্যই হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানী, কোটি কোটি ডলারের সম্পদ ধ্বংস এমনকি প্রতিবেশী দেশসহ সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে আমরা আমাদের আব্রু, ইজ্জত, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব পর্যন্ত শুধুমাত্র ঐ এক ব্যাক্তিকে রক্ষার জন্য, একজন মানুষের জন্য, তার বন্দনার জন্য বিকিয়ে দিতেও দ্বিধা করছি না?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।