চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে বেশি ৯টি গোল করার নতুন রেকর্ড গড়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তাঁর দল রিয়াল মাদ্রিদও কোপেনহেগেনের বিপক্ষে পেয়েছে ২-০ গোলের সহজ জয়। কিন্তু তারপরও ম্যাচ শেষে কিছুটা আক্ষেপ হয়তো থেকেই গেছে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের। পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজেকে আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি এসময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।
দ্বিতীয় রাউন্ডটা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের।
অন্যদিকে এই ম্যাচে জিতলেও প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরোনোর সম্ভাবনা ছিল না কোপেনহেগেনের। রোনালদো নতুন রেকর্ডটা গড়তে পারবেন কিনা, এটাই ছিল ম্যাচের প্রধান আকর্ষণ। শেষপর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি রোনালদো ভক্তদের। ৪৮ মিনিটে পেপের পাস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে সেটা জালে জড়াতে কোনোই ভুল করেননি এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। তার আগে প্রথমার্ধেই ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল।
২৪ মিনিটের মাথায় ইসকোর পাস থেকে বল পেয়ে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিলেন লুকা মড্রিচ।
রুদ ফন নিস্টলরয়, ফিলিপ্পো ইনজাগি, হার্নান ক্রেসপো, ইব্রাহিমোভিচকে পেছনে ফেলে গ্রুপ পর্বে সর্বোচ্চ গোল করার নতুন রেকর্ড গড়তে পারলেও আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে রোনালদোকে। ৭৪ মিনিটে তাঁর একটি শট ফিরে আসে গোলপোস্টে লেগে। ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকেও গোল করতে পারেননি এই তারকা ফুটবলার। তড়িঘড়ি করে নেওয়া শটটা অনায়াসেই রুখে দিয়েছেন কোপেনহেগেনের গোলরক্ষক জোহান উইল্যান্ড।
চ্যাম্পিয়নস লিগের অপর ম্যাচে গতবারের শিরোপাজয়ী বায়ার্ন মিউনিখকে হারের স্বাদ দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথম ১২ মিনিটেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়লেও শেষপর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় পেয়েছে ম্যানুয়েল পেলিগ্রেনির শিষ্যরা।
নিজেদের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্ন। ৫ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিলেন থমাস মুলার। ১২ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করে বায়ার্নকেই চালকের আসনে বসিয়েছিলেন মারিও গোটসে।
২-০ গোলে এগিয়ে গেলেও এরপর সমর্থকদের শুধু হতাশাই উপহার দিয়েছেন পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
২৮ মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটির পক্ষে প্রথম গোলটি করেন ডেভিড সিলভা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে ম্যানসিটি। ৫৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে খেলায় সমতা ফেরান আলেক্সান্ডার কোলারোভ। তিন মিনিট পরেই তারা এগিয়ে যায় জেমস মিলনারের গোলে।
তবে ৩-২ গোলে হারলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রেখেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
এদিকে গ্রুপ পর্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিই আজ পরিত্যাক্ত হয়েছে প্রকৃতির বাধায়। ভারী তুষারপাতের কারণে জুভেন্টাস আর গ্যালাতাসারাইয়ের মধ্যকার ম্যাচটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে ৩২ মিনিট পরেই। পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হতো গ্যালাতাসারাইকে। অন্যদিকে ড্র করলেই প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরিয়ে যেতে পারবে জুভেন্টাস।
এখন বাঁচা-মরার এই লড়াইয়ে আগামীকাল আবারও মুখোমুখি হতে হবে জুভেন্টাস-গ্যালাতাসারাইকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।