পৃথিবীতে এমন কিছু খাবার আছে যা সুস্বাদু কিন্তু একই সঙ্গে বিপদজনকও। এরকম ৫টি খাবারের কথা জেনে নেয়া যাক।
ঝিনুক (ওয়েস্টার)
পশ্চিমা দেশগুলোতে ঝিনুক সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে পরিচিত। এই ঝিনুকই খাদ্য হিসেবে বিপদজনকের তালিকায় প্রথম স্থানে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, কাঁচা ঝিনুক খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
কারণ এতে বিদ্যমান নরোভাইরাস ও ভাইব্রিও এই দুটি ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে গ্যাসট্রনটেরিটিস ও কলেরায় আক্রান্ত করে। এছাড়াও চামড়ায় ক্ষত ও পচনশীলতার রোগ এবং মারাত্মক সেপটিসিমিয়্যার সৃষ্টি করে।
আকী, জামাইকা
জামাইকার জাতীয় ফল আকী। এটা বুটের একটি প্রজাতি কিন্তু দেখতে নাশপাতির মত। অত্যন্ত সুস্বাদু ফল হিসেবে পরিচিত ফলটিও হতে পারে মৃত্যুর।
আকী ফলের বিষাক্ত কালো বিচি বমি ও হৃদরোগের কারণ হয়ে দাড়ায়। ফলটি না পাকা পর্যন্ত পুরো ফলে এই বিষ ছড়িয়ে থাকে। পুরোপুরি পেকে টুকটুকে লাল বর্ণ ধারন করলে ফলের ভেতরের স্পঞ্জি মাংসল অংশ বিষাক্ত বিচি থেকে আপনাআপনি ছেড়ে আসে ও খাওয়ার উপযোগী হয়।
সান্নাকজি, কোরিয়া
সান্নাকজি কোরিয়ান খাবার। এটি জীবন্ত বাচ্চা অক্টোপাস দিয়ে তৈরি করা হয়।
স্বাদের দিক থেকে অসাধারণ হলেও এটি বিপদজনক খাবার। এই খাবারটি খাওয়ার সময় সামান্য অসাবধানতায় মারা যেতে পারে যে কেউ। জীবিত অক্টোপাসের বাচ্চা থেকে এদের শুঁড় (কর্ষিকা) কেটে নেয়া হয় এবং তিল ও তিলের তেলের সাথে মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। খাবার সময় একটু অসাবধানতায় শুঁড়ের স্যাকসন কাপ গলার ভেতরে আটকে যেয়ে শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যে কেউ মারা যেতে পারে। এই খাবারটি মুখের ভেতর নিয়ে অন্তত ১০০ বার চিবিয়ে তারপর গিলে ফেলতে হয়।
টুনা মাছ
খেতে মজাদার টুনা মাছ খেয়ে প্রতি বছর শত শত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই মাছ বাজারজাত করার সময় অসাবধানতায় স্ক্রমবোটক্সিন নামক প্যাথোজেন দ্বারা আক্রান্ত হয় যা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে ও অন্যান্য মরণব্যাধির জন্ম দেয়। কথা জড়িয়ে যাওয়া, মাথাব্যাথা ও ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা যায়। একসময় দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে যেতে পারে।
মাশরুম
মাশরুম অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি খাবার।
মাশরুমের প্রায় ১৪,০০০ প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে বেশীরভাগই খাওয়ার অনুপযোগী কারণ এগুলো বিষাক্ত। কিছু কিছু মাশরুমের নামই এর ভয়াবহতার পরিচয় বহন করে। যাদের মধ্যে ডেথ ক্যাপ ও ডেস্ট্রয়িং অ্যাঞ্জেল অন্যতম। এছাড়াও মাশরুমের অনেক প্রজাতি আছে যারা সহজলভ্য কিন্তু স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বেশি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।