অনেক দিন ব্লগে বসা হয়না । আসলে বসতে মনে চায় না । নস্তিক্য বাদীদের প্রগাপান্ডা , রাজনৈতিক নেতাদের প্রলাপ , হরতালের নামে নৈরাজ্য , রাজনীতির নামে খুন , গুম , অপহরন আর ভাল লাগেনা । আমাদের রাজনৈতিক নেতারা বলেন তারা নাকি গনতান্ত্রীক রাজনীতি করেন । আসলে কথাটা ডাহা মিথ্যা ।
কারন । বাংলাদেশে কোন গনতন্ত্র নেই বলে আমার বিশ্বাস । কারন গনতন্ত্র বলতে বুঝায় জনগন আন্তরিক ভাবে যাকে গ্রহন করে । আমাদের কোন দলকে কি জনগন আন্তরিক ভাবে গ্রহন করছে ? করছেনা । বরং তারা বিকল্প কোন রাস্তা না পেয়ে যে কোন একটি দলকে গ্রহন করে নিতে বাধ্য হচ্ছে বলে আমি মনে করি ।
কারন আমরা জানি আওয়ামী লীগ ও বি এন পি । অনেক পুরাতন দুটি দল । একটির প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব । ও অন্যটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান । সেই সূত্রে আঃ লীগের বর্তমান দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ও বি এন পির দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া ।
এখানে আমরা দেখতে পাই দুটি দলের ই বর্তমান দলীয় প্রধান পরীবার সূত্রে দায়ীত্ব নিয়েছে । এই হিসাবে আমরা একে পরীবার তান্ত্রীক দল বলতে পারি । কারন গনতান্ত্রীক দল হলে । দলীয় প্রধান উত্তরাধীকার সূত্রে না এসে জনগনের ভোটে নির্বাচিত হত । অর্থাত্ জনগন যাকে যোগ্য মনে করে তাকেই দলীয় প্রধান করত ।
আর যদি কোন দল তার যোগ্যতা হারায় । অর্থাত্ জনগনের স্বতঃস্ফুর্ত ভোটে পরাজীত হয় তবে গনতন্ত্রের নিয়ামুনাসারে ঐ দল বা দলীয় প্রধান রাজনীতি থেকে সরে দাড়াত । এই হিসাবে বাংলাদেশের প্রধান দুটি দলের দলীয় প্রধান ই নির্বাচনে অংশ গ্রহনের অযোগ্য । কারন দুটি দল ই একাধিক বার করে নির্বাচনে পরাজীত হয়েছে । তার পরে ও তারা ক্ষমতার চেয়ার আকড়ে ধরে আছে ।
এবং থাকতে চায় । আর বাংলার জনগন মন থেকে না চাইলে ও বিকল্প কোন পথ না পেয়ে যে কোন একটি দলকে ভোট দিতে বাধ্য হয় । আর এতে করে বাংলাদেশের মানুষের উপর গনতন্ত্রের খোলসে দুটি পরীবারতান্ত্রীক দল চেপে বসেছে । আর তারা তৃতীয় কোন দলকে এর মধ্যে ঢুকতে দিচ্ছেনা । কারন ।
তৃতীয় কোন দল যদি জনগনের আস্থা অর্যন করতে পারে । তবে তাদের যে শোষক নীতি তা আর জনগন হয়ত মেনে নেবে না । এই ভয়ে তারা যখন ই দেখতে পায় যে তৃতীয় কোন দল জনগনের মনে যায়গা করে নিচ্ছে । তখন ই তারা কোন না কোন ইস্যু নিয়ে ঐ দলকে তাদের দাসত্ব করতে বাধ্য করে । ক্ষমতায় এসে বিরোধী দল দমনে মেতে উঠে ।
বাংলাদেশের আরেকটি সমস্যা হল হরতাল । বিরোধী দল কারনে অকারনে হরতাল ডাকবে । আর সরকার হরতালের দিন বিরোধী দল দমন অভীযান চালাবে । এতে বিপদে পরে সাধারন জনগন । যারা দিন মজুর তারা কাজের সন্ধানে বের হয়ে দুই দলের কারো হাতে মার খায় ।
হরতাল ডাকে রাজনৈতীক দল । মারা যায় সাধারন জনগন । আর তারা মরে ও শান্তি পায় না । তাদের লাশ নিয়ে শুরু হয় ঘৃন্য রাজনীতি । তাই আজ আমাদের দেশে সঠিক গনতন্ত্রের বড়ই প্রয়োজন ।
বাংলার মানুষ আজ শান্তিতে বাচতে চায় ।
আমি একজন অতি নগন্য বালক । অন্যায় কিছু লিখে কারো মনে আঘাত দিলে ক্ষমা করবেন । আর ন্যায় লিখলে বুঝার চেষ্টা করবেন । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।