আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাণের বন্ধু ইন্দিরা গান্ধী

ইন্দিরা গান্ধী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাণের বন্ধু। বাংলাদেশে যখন নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করছে পাকিস্তানি হানাদাররা তখন অসংখ্য বাংলাদেশি প্রাণ বাঁচাতে সীমান্তের ওপারে গিয়ে পেয়েছিলেন জীবনের নিরাপত্তা। ১৯৭১ সালে শরণার্থী শিবিরে মানবিক বিপর্যয় দেখতে এসেছেন ইন্দিরা গান্ধী। প্রায় এক কোটি লোক জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে ভারতের বিভিন্ন এলাকায়।

সব জায়গাই তিনি ঘুরে বেড়িয়ে দেখছেন।

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ" চলাকালীন সময়ে এভাবেই মহীয়সী নারী ইন্দিরা গান্ধী পরম ভালোবাসা ও স্নেহে নিপীড়িত নির্যাতিত অসহায় বাঙালি শরণার্থীদের মনে সাহস জুগিয়েছেন, তাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম ভারতের রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী, ঐতিহ্যবাহী নেহেরু পরিবারে ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর। বাবা পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু এবং মা কমলা দেবী। দাদা মতিলাল নেহেরু ছিলেন স্বনামধন্য আইনজীবী, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম ব্যক্তিত্ব তথা কংগ্রেস নেতা।

১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর নিজের দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন তিনি।

১৯৩৪-১৯৩৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। রবিঠাকুরই তার নাম রাখেন 'প্রিয়দর্শিনী'। ১৯৬৪ সালে বাবার মৃত্যুর পর তিনি রাজ্যসভার সদস্য হন এবং লালবাহাদুর শাস্ত্রীর কেবিনেটে তথ্য এবং যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালে ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতের রাজনীতিতে আবিভূত হন।

ইন্দিরা গান্ধীকে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ২০১১ সালের ২৫ জুলাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা 'স্বাধীনতার সম্মাননা' দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ইন্দিরা গান্ধীর পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার পুত্রবধূ সোনিয়া গান্ধী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।