পাকিস্তানের বিভিন্ন সময়ে আলোচিত দৃঢ়চেতা প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মুহাম্মদ চৌধুরী গতকাল বুধবার পদত্যাগ করেছেন। তিনি ছয় বছর ধরে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। গতকাল পিটিআইয়ের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির ইতিহাসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে ইফতিখার চৌধুরীই (৬৫) সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে বহাল ছিলেন।
ইফতিখারের সম্মানে আয়োজিত এক বিদায় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, স্বাধীন ও স্বচ্ছ নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
গণতন্ত্রের জন্য বিচারব্যবস্থা কঠোর শ্রম দিয়ে থাকে ও নির্বাচন অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ করার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত ভূমিকা পালন করে।
২০০৭ সালে সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফ বিচারপতিদের বরখাস্ত করার পর পুনরায় বিচারব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন এই বিচারপতি।
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির মামলা পুনরায় চালু করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মানতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করায় গত জুনে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন সর্বোচ্চ এই আদালত।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া রাজা পারভেজ আশরাফের বিরুদ্ধেও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুত্ প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
পরে প্রধান বিচারপতি ইফতিখার এই মামলায় আশরাফসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে কোয়েটায় জন্মগ্রহণ করেন ইফতিখার। ২০০৫ সালে তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পারভেজ মোশাররফের শাসনকালে বেআইনিভাবে তাঁকে বরখাস্ত করায় তিনি ২০০৭ সালের নভেম্বর থেকে ২০০৯ সালের মার্চ পর্যন্ত নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।