শুক্রবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনায় এক নারী দগ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন স্টেশন মাস্টার মো. জিয়াউদ্দিন সরদার ও দুই পুলিশ সদস্যসহ আরো ছয়জন।
তাদের গাজীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পেট্রোল বোমার আগুনে পুড়ে গেছে কম্পিউটার, কন্ট্রোল বোর্ড ও বিভিন্ন আসবাবপত্র।
হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে আহত স্টেশন মাস্টার মো. জিয়াউদ্দিন সরদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, টানা অবরোধ-হরতালের কারণে সকালে স্টেশনের প্ল্যাটফরমে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল।
এরই মধ্যে চাদর গায়ে দেয়া ২০-২৫ জন শিবির কর্মী লাঠি-সোটা নিয়ে স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ভাংচুর শুরু করে।
এক পর্যায়ে তারা কয়েকটি পেট্রোল বোমা ছুড়লে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আগুন ধরে যায়। এর পরপরই তারা দ্রুত স্টেশন এলাকা ত্যাগ করে।
খবর পেয়ে গাজীপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা এসে আগুন নেভান। কিন্তু ততোক্ষণে কন্ট্রোল রুমের থাকা কম্পিউটার, কন্ট্রোল বোর্ডসহ আসবাব পুড়ে যায়।
পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণে প্ল্যাটফরমে দাঁড়ানো শামসুন নাহার নামে এক যাত্রী দগ্ধ হন।
এছাড়া হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে আহত হন স্টেশন মাস্টার জিয়াউদ্দিন, সহকারী স্টেশন মাস্টার সোহরাব উদ্দিন, জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক দুলাল উদ্দিন তালুকদার ও আনোয়ার হোসেনসহ আরো ছয় জন।
ঘটনার সময় কর্তব্যরত পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।
স্টেশন মাস্টার জানান, হামলায় যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়ায় ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে’ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হচ্ছে।
গাজীপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা মো. শাহীন মিয়া জানান, তারা পোড়া নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পেট্রেলের আলামত পেয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।