লোকসভা ভোটের আগে কালো টাকা ইস্যুতে ফের কোণঠাসা কংগ্রেস। সরকারি আশ্বাসেও বন্ধ হয়নি বিদেশে কালো টাকা পাচার। বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই ঘটনা।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিবেদনে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। যার ফলে, বেআইনিভাবে বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধের ক্ষেত্রে মনমোহন সিং সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷
বিশ্বে কালো টাকা চোরা চালান নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি’ (জিএফআই)।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে চার লক্ষ কোটি কালো টাকা ভারত থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে। এই অর্থ ২০১১ সালে ভারত সরকারের মোট বাজেটের এক তৃতীয়াংশের সমান। আর ওই বছর কেন্দ্র স্বাস্থ্যখাতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে তার ১৪ গুণ, শিক্ষাখাতে এবং গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা অর্থের সাত ও পাঁচ গুণ। পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়েছে , ২০১০ সালের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি কালো টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।
দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধিসহ একগুচ্ছ ইস্যুতে এমনিতেই প্রবল অস্বস্তিতে কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার।
গত কয়েক বছরে আর্থিক দুর্নীতির ঘটনা বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। টুজি-কাণ্ড, কোলগেট, কমনওয়েলথ গেমসে আর্থিক দুর্নীতির খবর শিরোনামে উঠে এসেছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্না হাজারের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষ। সদ্যসমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে চার রাজ্যেই শোচনীয়ভাবে পরাজিত কংগ্রেস। এই রেশ কাটতে না কাটতেই কালোটাকা নিয়ে জিএফআইয়ের এই রিপোর্ট সোনিয়া গান্ধীর দলের অস্বস্তি বাড়াল।
সরকারের পক্ষ থেকে এই রিপোর্টের সত্যতা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা না হলেও বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করতে চলেছে বিরোধীরা। বিশেষত, আগামী লোকসভা ভোটের আগে এই রিপোর্ট বিরোধীদের হাতে সরকারকে ঘায়েল করার ক্ষেত্রে নতুন অস্ত্র তুলে দিল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।