আমরা এমন একটা পরিবেশ চাই, যেখানে শিশুরা তাদের পছন্দ-অপছন্দের ধাপগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিয়ে বড় হবে।
===ফয়সল সাইফ===
ইসলামের বেশকিছু অপ্রিয় টপিকের মধ্যে- আমার কাছে এটিও একটি অপ্রিয় টপিক। যদি এ বিষয়ে আমাকে লিখতে না হত- তাহলে আমার সত্যিই ভাল লাগত। তারপরও মুসলমানদের কথা বিবেচনা করে এটা লিখছি। আশা করি যাঁরা এই লেখাটা পড়বেন, তাঁরা সংশয় মুক্ত হবেন।
ইনশাল্লাহ, আমি এখানে বস্তুনিষ্ট প্রমাণ এবং অখাট্য যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে তা করার চেষ্টা করব।
এখানের আলোচ্য বিষয় হল প্রধানত ২টি-
(১) হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কী মানুষ ছিলেন?
(২) হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কিসের তৈরী?
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কী মানুষ ছিলেন: এ সম্পর্কে সর্বপ্রথম আমরা পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ভাষ্যটি পড়ে নেই। তারপর বিশ্লেষণে যাব।
সূরা বনী ইসরায়েল’এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন- (৯৩) বা তোমার একটি স্বর্ণ নির্মিত ঘর থাকবে, বা তুমি আকাশে আরোহণ করবে; কিন্তু তোমার আরোহণও বিশ্বাস করব না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তুমি আমাদের জন্য পঠনযোগ্য একটি কিতাব না আনবে। বল, মহান পবিত্র আমার রব।
আমি তো কেবল একজন মানুষ, একজন রাসূল। (৯৪) যখনই মানুষের কাছে হেদায়াত এসেছে তখন তাঁদের ঈমান আনা থেকে এছাড়া অন্য কোনো জিনিসই বিরত রাখেনি, যে তারা বলত- আল্লাহ তায়ালা একজন মানুষকেই কী নবী হিসেবে পাঠালেন? (৯৫) তুমি বল, যমীনে ফেরেশতারাই যদি নিশ্চিতভাবে ঘুরে বেড়াতো, তাহলে আমি আসমান থেকে একজন ফেরেশতাকেই তাঁদের জন্য নবী করে পাঠাতাম। [একই ধরনের আলোচনা দ্রঃ সূরা কাহাফ- আয়াত ১১০, সূরা হা-মীম সাজদাহ- আয়াত ৬, সূরা আম্বিয়া- আয়াত ৩৪, সূরা আনআম- আয়াত ৮-৯]
উপরোক্ত আয়াত ত্রয়ী স্পষ্টভাবেই স্বাক্ষ্য দেয়, যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) একজন মানুষ ছিলেন, আর তিনি ছিলেন আল্লাহ’তায়ালার রাসূল। এ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করার কিছু নেই। যদি কেউ এ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে; তবে সে আল্লাহ’তায়ালার বাণীর সাথে দ্বিমত পোষণ করল।
আর এর দায়ভার তাঁকেই বহন করতে হবে।
মূলত আল্লাহ’তায়ালা তাঁর রাসূলের ওপর যে ওহী নাযিল করেছিলেন, তা থেকে তাঁকে বিচ্যুত করার জন্য কাফের’রা এমন কোনো চেষ্টাই বাদ দেয়নি। তাঁরা সব সময় চেয়েছে মুহাম্মদ (সাঃ) যেন, আল্লাহ’তায়ালা সম্পর্কে তাঁদের মত করে কিছু মিথ্যা রচনা করেন। তাহলেই তাঁরা তাঁকে পরম বন্ধু বানিয়ে নেবে। কিন্তু আল্লাহ’তায়ালাই তাঁর রাসূলকে অবিচল রেখে দেন।
ফলে তিনি বিচ্যুত হননি। আল্লাহ’তায়ালা বলেন, যদি তিনি বিচ্যুত হতেন, তাহলে তাঁকেও দ্বিগুণ শাস্তি দিতেন। এবং সেক্ষেত্রে তাঁরও কোনো সাহায্যকারী থাকত না। তারপর আল্লাহ’তায়ালা এটাও জানিয়ে দেন, যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে কাফের’রা এই ভূখন্ড থেকে উৎখাতের সব চেষ্টাই করেছে। আর তাঁরা যদি এ কাজে সফলও হত- তাহলে আল্লাহ’তায়ালাও তাঁদের আর পৃথিবীতে রাখতেন না।
সবাইকে শেষ করে দিতেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পূর্বে যত নবী-রাসূলগণ প্রেরণ করা হয়েছিল, তাঁদের সবার ক্ষেত্রে এটাই ছিল মহান আল্লাহ’তায়ালার নির্ধারিত নিয়ম। আর এই নিয়মের কখনো রদবদল হবে না।
আল্লাহ’তায়ালা তাঁর রাসূলকে বলেন, তোমার কাজ ইবাদত করা এবং তোমার রবের কাছে সত্য পথ আর সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করা। তুমি তাঁদের বলে দাও, যে সত্য এসে গেছে; মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
আমি যে কোরআন তোমাকে দিয়েছি, তা বিশ্বাসীদের জন্য রহমত আর অবিশ্বাসীদের জন্য ক্ষতির কারণ। আরো বলে দাও- প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজ প্রকৃতির ওপর কাজ করছে। আল্লাহ’তায়ালাই জানেন কে সঠিক আর কে বেঠিক। আল্লাহ’তায়ালা কোরআনের মধ্যে মানুষজাতির বোঝার জন্য সব ধরণের উপমা দ্বারা হেদায়াতের বাণী বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন। অথচ বেশির ভাগ মানুষই তা অমান্য না করে ছাড়ে নি।
বিশ্বাসী হওয়ার জন্য তাঁরা চায়- হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে মাটির গহীন থেকে প্রসবণের ধারা বের করে আনতে হবে। অথবা তাঁকে খেজুরের-আঙুরের একটি বাগান তৈরী করে দিতে হবে। বাগানের মধ্য দিয়ে অসংখ্য নদীনালা বইয়ে দিতে হবে। অথবা আকাশকে কেয়ামতের দিনের মত ভেঙে মাথার ওপর ফেলে দিতে হবে। অথবা স্বয়ং আল্লাহ’তায়ালা এবং ফেরেশতাদের এনে চোখের সামনে দেখাতে হবে।
অথবা তাঁর একটি স্বর্ণ নির্মিত ঘর থাকবে। অথবা তিনি আকাশে ঊড়ে বেড়াবেন। অথবা ধীরে ধীরে না এনে, একবারেই তিনি তাঁদের সম্পূর্ণ একটি কোরআন এনে দেবেন। অথবা তিনি মানুষের মত কেন? তিনি ফেরেশতা হলেন না কেন? এমন অসংখ্য কিছু।
এতসবের জবাবে আল্লাহ’তায়ালা ইরশাদ করেন- তাঁদের বলে দিন, যদি যমীনে ফেরেশতারা থাকত; তবে, মানুষ নয় ফেরেশতাকেই রাসূল হিসেবে পাঠানো হত।
কিন্তু মানুষের কাছে মানুষ রাসূলই উপযুক্ত। আমি মূসাকে নয়টি নিদর্শন দিয়েছিলাম। কিন্তু স্বয়ং ইহুদীদেরই জিগ্যেস কর- ফেরাউন মূসার এইসব নিদর্শন দেখে কী বলেছিল? বলেছিল- তুমি তো একজন জাদুগ্রস্ত মানুষ। কাজেই আমি তোমাকে (রাসূলকে) সত্য সহ প্রেরণ করেছি বিশ্বাসীদের জন্য সুসংবাদ স্বরূপ এবং অবিশ্বাসীদের জন্য সতর্ককারী স্বরূপ। তাই যথেষ্ট।
এখানে প্রকৃত বিশ্বাসীদের জন্য হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ইচ্ছে মত অলৌকিক কাজ করতে না পারা মূখ্য নয়। তাঁর মানুষ রাসূল হওয়া দৃষ্টিকটু নয়। এসব অবিশ্বাসীদের জন্য। আর যাঁরা আল্লাহ’তায়ালা, তাঁর রাসূল ও বাণীতে বিশ্বাস করে; তাঁরা কাঁদতে কাঁদতে ভূমিতে লুটিয়ে পড়ে বলে- অবশ্যই আমাদের মালিকের ওয়াদা পূর্ণ হবে। [বিস্তারিত আলোচনা, দ্রঃ সূরা বনী ইসরায়েল- আয়াত ৭৩-১০১]
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কীসের তৈরী: এ সম্পর্কে সরাসরি পবিত্র কোরআনের কোনো ভাষ্য নেই।
তবে, তিনি যেহেতু একজন মানুষ, তাই মানুষ কীসের তৈরী এ সম্পর্কে আমরা পবিত্র কোরআনের ভাষ্য জানতে পারি। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে সূরা ছোয়াদ’এ ইরশাদ করা হয়েছে- (৭১) যখন তোমার মালিক ফেরেশতাদের বলেছিলেন, আমি মাটি থেকে মানুষ বানাতে যাচ্ছি। সূরা শাফায়াত’এ ইরশাদ করা হয়েছে- (১১) তুমি এঁদের প্রশ্ন কর- তাঁদের সৃষ্টি করা বেশি কঠিন? না যা আমি পয়দা করেছি। এঁদের তো আমি আঠাল মাটি দ্বারা পয়দা করেছি। সূরা মুমিনুন’এ ইরশাদ করা হয়েছে- (১২) আমি মানুষকে মাটি থেকে তৈরী করেছি।
সূরা হিজর’এ ইরশাদ করা হয়েছে- (২৬) নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি ছাঁচে ঢালা শুকনো ঠনঠনে মাটি থেকে। সূরা আর রাহমান’এ ইরশাদ করা হয়েছে- (১৪) তিনি মানুষকে তৈরী করেছেন পোড়ামত শুকনো ঠনঠনে এক টুকরো মাটি থেকে।
এই হিসেবে আমরা একটা বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তে আসতে পারি, যে মানুষ রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মাটির তৈরী।
বিজ্ঞদের জন্য এই বিতর্ক এখানেই শেষ।
তবে, কিছু কুতর্ককারীদের জন্য আর একটু আলোচনা করছি।
কিছু লোক মাওয়া হিবুল্লাদুন্নিয়া ও শরহে মাওয়াহিব এবং আব্দুর রাজ্জাক কিতাবে, হযরত যাবের বিন আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত সূত্র অনুসারে, সৃষ্টি রহস্যের গোড়ার কথা সম্পর্কে আলোচনা টেনে বলে, যে আল্লাহ’তায়ালা সর্ব প্রথম সৃষ্টি করেন- নূরে মুহাম্মদী (সাঃ) কে। তাহলে এখানে স্পষ্টই বোঝা যায়, যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কীসের তৈরী। মানে তাঁদের দাবী মতে তিনি নূরের তৈরী। ভাল কথা, যুক্তিটা সুন্দর। তবে, ওই সৃষ্টি রহস্যের একই ধারা টেনে আমরা যদি সামনে এগিয়ে যাই, তাহেল দেখা যাক কী পাওয়া যায়:
নূরে মুহাম্মদী (সাঃ) সাইজুদা প্রথম সৃষ্টি গ্ধ চার ভাগ
(১) কলম
(২) লাওহ্
(৩) আরশ
(৪) »অবশিষ্ট অংশকে চার ভাগ করা হয়»
(১) আরশ বহনকারী ফেরেশতা
(২) কুরশী
(৩) সকল ফেরেশতা
(৪) »অবশিষ্ট অংশকে চার ভাগ করা হয়»
(১) আকাশ মন্ডল
(২) ভূমন্ডল
(৩) জান্নাত-জাহান্নাম
(৪) »অবশিষ্ট অংশকে চার ভাগ করা হয়»
(১) মোমেনে চোখের নূর
(২) মোমেনের কলবের নূর
(৩) মোমেনের ভালবাসার নূর
(৪) পর্যায়ক্রমে সকল মাখলুকাত
তাহলে, এখানে আমরা কী পেলাম? সৃষ্ট জগতের সব সৃষ্টিই নূর।
যেহেতু এক নূর থেকেই সবকিছু এসেছে। এমন কি যে মাটি আর নূর নিয়ে বিতর্ক, সেই মাটিও নূর। আশা করি, যাঁরা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে, হযরত যাবের বিন আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) এর বর্ণনা মতে- নূরের তৈরী বলে আসছিলেন, তাঁরা এই যুক্তি মেনে সবকিছুকে নূর বলবেন না। যদিও দুটির যেকোনো একটি নির্বাচন করে নেওয়ার স্বাধীনতা তাঁদের রয়েছে। হয় সৃষ্টি রহস্যের গোড়ার কথাকে ভিত্তি ধরে, সবকিছুকে নূর বলতে পারেন; নয় সৃষ্টি রহস্যের গোড়ার কথাকে ভিত্তি ধরার যুক্তিটাই বাদ দিতে পারেন।
তারপর আমরা আসি, এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনের দুটি আয়াতটি সম্পর্কে। যার উল্লেখ আছে সূরা মায়েদা- (১৫) হে আহলে কিতবা’রা, তোমাদের কাছে আমার রাসূল এসেছেন। কিতাবের যা কিছু এতদিন তোমরা গোপন রেখেছিলে, তার অনেক কিছুই তিনি তোমাদের বলে দিচ্ছেন। আবার অনেক কিছু তিনি এড়িয়েও যাচ্ছেন। তোমাদের কাছে তো আল্লাহর পক্ষ থেকে আলোকবর্তিকা ও সুস্পষ্ট কিতাব এসে হাযির হয়েছে।
সূরা আযহাব- (৪৬) আল্লাহ’তায়ালার অনুমতিক্রমে তুমি হচ্ছ আল্লাহর দিকে আহবানকারী ও এক সুষ্পষ্ট প্রদীপ।
এখানে উক্ত আয়াতদ্বয়ের ব্যাখ্যায় কী বলা যায়? হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নূরের তৈরী? না তিনি মানবজাতির জন্য সুপথ প্রদর্শণের নূর বা আলোকবর্তিকা স্বরূপ। অবশ্যই দুটির একটি। একসাথে দুটোই হবে না। সিদ্ধান্তটা আপনারাই নেবেন।
তবে, সেটা সহজ করে দেওয়ার জন্য প্রসঙ্গটা উল্লেখ করে দিচ্ছি- পবিত্র কোরআনে সূরা মায়েদা’র পরের আয়াতে ইশরাদ করা হয়েছে- (১৬) যে আল্লাহর আনুগত্য করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করতে চায়, এর দ্বারা আল্লাহ’তায়ালা তাঁর শান্তি ও নিরাপত্তার পথ বাতলে দেন। অতঃপর তিনি তাঁর অনুমতিক্রমে তাঁদের অন্ধকার থেকে আলোতে বের করে আনেন। আর তাঁদের তিনি সঠিক পথে পরিচালিত করেন। সূরা আযহাব’এ ইশরাদ করা হয়েছে- (৪৭) তুমি মোমেনদের সুসংবাদ দাও যে, তাঁদের জন্য আল্লাহ’তায়ালার পক্ষ থেকে এক মহা অনুগ্রহ রয়েছে। (৪৮) কখনো কাফের ও মোনাফেকদের কথা শুনো না।
তাঁদের যাবতীয় নির্যাতন উপেক্ষা করে চলো। আল্লাহ’তায়ালার ওপর ভরসা করে চলো। কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহ’তায়ালাই তোমার জন্য যথেষ্ট।
এখানে পরবর্তী আয়াতগুলো পড়ে আপনাদের কী মনে হয়? মনে হয় কী, যে আয়াতগুলোতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সৃষ্টি কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে? না তিনি মানবজাতির কাছে সুপথ-বিপথ পার্থক্য করার আলোস্বরূপ?
সূরা আলে ইমরান’এ আল্লাহ’তায়ালা ইরশাদ করেন- (৭) তিনিই সেই মহান সত্ত্বা, যিনি তোমার ওপর এ কিতাব নাযিল করেছেন। এর কিছু হচ্ছে দ্ব্যর্থহীন আয়াত, সেগুলোই হচ্ছে কিতাবের মৌলিক অংশ, বাকী আয়াতগুলো হচ্ছে রূপক।
যাঁদের অন্তরে বক্রতা রয়েছে, তাঁরাই ফেতনা ফাসাদ এবং আল্লাহর কিতাবের ব্যাখ্যা করার উদ্দেশ্যে এসব আয়াত থেকে কিছু অংশ অনুসরণ করে। এসব বিষয়ের ব্যাখ্যা আল্লাহ ছাড়া আর কেউই জানে না। যাঁদের মধ্যে জ্ঞানের গভীরতা আছে, তাঁরা বলে- আমরা এর ওপর ঈমান এনেছি। এগুলো সবই তো আমাদের মালিকের পক্ষ থেকে। সত্য প্রজ্ঞাসম্পন্ন লোকেরাই কেবল শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে।
সত্যি বলতে- যাঁরা প্রকৃতই মুসলমানের মত জীবনযাপন করেন, তাঁরা তাঁদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর রেখে যাওয়া ঊদাহরণের অনুসরণ করেন। তাঁর প্রতিটি বাক্য, প্রতিটি কাজ, শয়তানের ফাঁদ অতিক্রম করার জন্য দেখানো প্রতিটি পথকে আলো হিসেবে গ্রহণ করেন। এখানে তিনি কীসের তৈরী? তা মুসলমানদের জন্য মূখ্য নয়। সেটা কারো কাজেও আসবে না। আমরা কখনোই আশা করি না, যে তাঁকে ছাড়াই আমরা আল্লাহ’তায়ালাকে বুঝতে সক্ষম হব।
আমরা কখনো কোনো নবী-রাসূলের পর্যায়ে পৌঁছতেও পারব বলে আশা করি না। তাঁরা আল্লাহ’তায়ালার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ব্যক্তি ছিলেন। এবং আল্লাহ’তায়ালা তাঁদের বিশুদ্ধ রেখেছিলেন। তাঁরা আমাদের কাছে আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের আলো পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁদের ছাড়া আমরা সত্যকে বুঝতাম না।
আমাদের অভিজ্ঞতা, আমাদের উপলব্ধি দিয়ে আমরা তাই মনে করি। তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন নিজ নিজ সম্প্রদায়ের জন্য নূর স্বরূপ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।