আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি বিশ্বাষ করি তাদের এ চক্রান্ত সফল হবে না।



মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সুর ছিল একটা শোষন মুক্ত গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। গনতন্ত্র ছিল পাকিস্তানি মিলিটারী স্বৈরশাষকদের বুটের তলায়। তারপরও খুনী ইয়াহিয়া খানের সময় বাংলাদেশে ১৯৭০ সালে যে অভুতপুর্ব অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সে নির্বাচনেই জনগনের রায়ে প্রতিফলিত হয় যে বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানের ২৩ বছরের সকল দেনা পাওনার হিসাব চায়, ঐ হায়েনাদের কবল থেকে মুক্তি চায় এবং সে মুক্তি তথা স্বাধীনতা অর্জনের নেতৃত্ব তুলে দেয় নিরন্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রদানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের হাতে। আফসোস, আজ সুকৌশলে ও সুপরিকল্পিতভাবে শুধুমাত্র একটা পরিবারকে, একজন ব্যাক্তিকে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ধরে রাখার কুমতলবে সেই স্বাধীন বাংলাদেশে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে দাড় করিয়ে দেয়া হয়েছে গনতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে। অর্থাৎ ব্যাপারটা অনেকটা এরকম, তুমি যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চাও তাইলে গনতান্ত্রিক অধিকার তথা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাইতে পারবা না। খুবই শংকার বিষয় হলো, এটা করে কিন্তু সবচেয়ে ক্ষতি করা হচ্ছে সত্যিকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে, কারন এটা এমন একটা ভুল সিগনাল জাতিকে বিশেষ করে নুতন প্রজন্মকে দিবে যে তারা ভাবতে শুরু করতে পারে তাইলে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একটা স্বৈরতান্ত্রিক চেতনা! খুব খেয়াল করলে বোঝা যাবে একটা গোষ্ঠী সচেতনভাবেই সম্ভবত স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবিরদের চাইতেও মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলন্ঠিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। আমি বিশ্বাষ করি তাদের এ চক্রান্ত সফল হবে না। কারন গনতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।