আমার জন্য বেদনারা দরজা খুলে দাড়িয়ে থাকে; আমি ভেতরে ধুকতেই ওরা আমাকে জড়িয়ে ধরে, আমাকে নিয়ে খেলা করে,আদর করে,চুমু খায়, আর আমি নীরবে কেঁদে উঠি; আজ কোথায় তুমি,ও আমার সুখ গৃহিণী।
রোজিনা একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী । চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি ঢাকায় মঞ্চ নাটক করতেন। তখন তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে কাজ করে সিনেমার জগতে আসেন।
চলচ্চিত্রে আগমন
রোজিনা মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বড়পর্দায় ১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ সিনেমাতে সহনায়িকা হিসেবে অভিনয়ের সুযোগ পান।
পরে তিনি এফ, কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমার মাধ্যমে একক নায়িকা হিসেবে কাজের সুযোগ পান। এই ছবিটি সফল হয় এবং তিনি হাতে বেশ কিছু ছবি পান। রোজিনার বেশির ভাগ ছবিই পোষাকী। সুঅভিনয় ও গ্ল্যামার দিয়ে তিনি প্রথম শ্রেণীর নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তবে তিনি বাংলাদেশের সিনেমা জগত থেকে নির্বাসনে আছেন এবং কলকাতায় চলে গেছেন।
সেখানে বেশ কিছু ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন।
সন্মাননা
১৯৮০ সালে রোজিনা ‘কসাই’ ছবির জন্য জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি জাতীয় পুরস্কার পান শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর হিসেবে ‘জীবন ধারা’ ছবির জন্য। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি বাচসাস পুরষ্কারও লাভ করেন। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরেই বাস করেন।
উল্লেখযোগ্য ছবি
• জানোয়ার
• রাজমহল
• মাটির মানুষ
• অভিযান
• শীর্ষনাগ
• চম্পা চামেলী
• মোকাবেলা
• সংঘর্ষ
• আনারকলি
• রাজনন্দিনী
• রাজকন্যা
• শাহী দরবার
• আলীবাবা সিন্দবাদ
• সুলতানা ডাকু
• যুবরাজ
• রাজসিংসন
• শাহীচোর
• দ্বীপকন্যা
• জিপ্সী সরদার
• কসাই
• জীবনধারা
অন্যায় অবিচারঃ
অন্যায় অবিচার মিঠুন চক্রবর্তি, রোজিনা এবং উৎপল দত্তের অভিনিত, শক্তি সামান্তা দ্বারা পরিচালিত একটি ১৯৮৫ সালের বাংলা ভাষায় ভারতীয় বৈশিষ্ট্য সিনেমা। সংগীত পরিচালনা করেছেন রাহুল দেব বর্মণ। সিনেমাটির বাজেট ছিল প্রায় ১.৫ কোটি টাকা। এই সিনেমায় আরও যারা অভিনয় করেছিলেন তারা হলেন নতুন, অসিত সেন, গোলাম মুস্তাফা, মানিক দত্ত প্রমুখ। এই সিনেমার সব কটি গান লিখেছেন গৌরিপ্রসন্ন মজুমদার।
গানগুলো হলঃ
ছেরনা ছেরনা হাত - কিশোর কুমার, সাবিনা ইয়াসমিন
দেখলে কেমন তুমি খেল - কিশোর কুমার
মন মাঝি - রাহুল দেব বর্মণ
নাগর অমর কাঁচা পিরিত - আশা ভোসলে, শাইলেন্দ্রা সিং
রুই কাতলা ইলিশ ভেবে - সাবিনা ইয়াসমিন, কিশোর কুমার
কাহিনী সংক্ষেপঃ
একজন সৎ ও একজন অসৎ মাছের আড়ত দ্বারের দন্দ এবং অসৎ আড়ত দ্বারের বিরুদ্ধে সমাজের যুবক বয়সের একজন জেলের রুখে দাঁড়ান নিয়ে সামাজিক সেন্টিমেন্টাল নির্ভর নিছক প্রেমের ছবি। যেখানে জেলে অর্থাৎ মিঠুনের প্রেমিকা রোজিনার উপর কুদৃষ্টি পরে অসৎ মাছ আড়ত দ্বার উৎপল দত্তের। এমনই আরও অনেক অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকতে দেখা যায় উৎপল দত্তকে। কখনো পায়ের ডাস্ট নেয়ার নাম করে ঘুষ দেয়া কিংবা কখনো অন্যের জমি দখল করা সবটাই ভগবানের নামে অবলীলায় করে যাওয়াতে কোন দ্বিধা দেখা যায়নি তার। কিন্তু তার চতুরতার কারনে মিথ্যে অভিযোগ নিয়ে জেলে যেতে হয় সিনেমার নায়ক মিঠুন কে।
সেখান থেকে পালিয়ে সকল অন্যায় অবিচারের প্রতিশোধ নেয় মিঠুন। ছবিতে কুমিরের সাথে লড়াইয়ের দৃশ্যটি কৃত্রিম লাগেনি মোটেও। ছবিতে এক পর্যায়ে দেখা যায় গ্রামে নাচের আসরের আয়োজন করে উৎপল দত্ত। সেখানে নতুন নাচের শিল্পী হিসেবে এলে সে মিঠুনের প্রেমে পরে যায়। কিন্তু মিঠুন সেই প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয় না।
তবু প্রেমিকের প্রতি দ্বায় শোধের মধ্যে দিয়ে নতুন তার মহানুভবতার পরিচয় দেয়। পুরো ছবিতে উৎপল দত্তের অভিনয় মেতে থাকার মত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।