কিন্তু হঠাৎ করেই বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। বাচ্চারা শান্ত আর পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে উঠেছে অনেক বেশি। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছে আইরিড২প্রোগ্রামের কল্যাণে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, অনলাইন রিটেইলার এবং কিন্ডল নির্মাতা অ্যামাজনের সাবেক নির্বাহী এবং বইপ্রেমী ডেভিড রিশারের প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডরিডার এখন পর্যন্ত ঘানার ১০টি স্কুলে ৩৬০০ শিক্ষার্থীকে কিন্ডল প্রদান করেছে। ইকুয়েডরে এক এতিমখানা পরিদর্শনকালে তিনি দেখেন ওখানকার স্কুলের লাইব্রেরিটি তালা দেওয়া এবং পরিত্যক্ত।
সেখান থেকেই তিনি ওয়ার্ল্ডরিডার প্রতিষ্ঠার ধারণা পান।
অনেক বাচ্চা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সে কথা মাথায় রেখেই রিশার ওয়ার্ল্ডরিডারে কিন্ডল ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে করে ট্যাবলেট আর ল্যাপটপের চেয়ে সহজেই বিভিন্ন অনলাইন লাইব্রেরি ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।
মূলত পশ্চিম আফ্রিকান দেশ ঘানার মতো দরিদ্র্য দেশের জনগোষ্ঠীর জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে প্রকল্পটি। নতুন এ শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা যে কোনো বই পড়তে পারছে সহজেই।
আর কিন্ডলের ব্যবহার তাদের বাড়ির কাজেও অভিভাবকদের অংশগ্রহণ সহজ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থায়ও পরিবর্তন এনেছে বলে জানিয়েছেন ওসব স্কুলের শিক্ষকেরা।
এখন বইয়ের জন্য কাউকে বসে থাকতে হয় না। পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি নিজেদের পছন্দমতো বইও পড়তে পারে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ইংরেজি সহজ ও সুন্দর উচ্চারণ থেকে যে কোনো শব্দের অর্থও তারা সহজেই কিন্ডল ব্যবহার করে নিজেরাই বের করে নিচ্ছে তারা।
যদিও ওয়ার্ল্ড রিডার জানিয়েছে, এখনও শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ আঞ্চলিক ঐতিহ্যকে পছন্দ করছে। আর সে কারণে তাদের পাঠ্যতালিকায় প্রাধান্য পাচ্ছে আঞ্চলিক পাঠ্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।