কোন ধর্মে বিশ্বাস করে না এমন লোকের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে চীনেই সবচেয়ে বেশি এবং ধর্মে বিশ্বাসী বা আস্তিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঘানায়। ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, চীনের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নাস্তিক অর্থাত্ কোন নির্দিষ্ট ধর্মে বিশ্বাসী নয়। বিশ্বজুড়ে পরিচালিত এক জরিপে জানা গেছে, চীনাদের ৪৭ শতাংশ মানুষ নিজেদের নাস্তিক পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অথচ চীনের বাইরে বাকি বিশ্বে ধর্মে অবিশ্বাসীদের সংখ্যা গড়ে ১৩ শতাংশ।
ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্ডিপেনডেন্ট নেটওয়ার্ক/গালাপ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউআইএন/জিআইএ) ২০১২ সালে বিশ্বের ৪০টি দেশের ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপরে জরিপ চালিয়ে সম্প্রতি ফল প্রকাশ করেছে।
গ্লোবাল ইনডেক্স অব রিলিজিওসিটি অ্যান্ড অ্যাথিজম শিরোনামের জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ‘ধার্মিক’, ‘ধার্মিক নয়’ এবং ‘বুঝেশুনে নাস্তিক’ এ তিনটি পছন্দের যেকোন একটি বেছে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর রাষ্ট্র নিজেকে ধর্মহীন ঘোষণা করে। ১৯৬৭-৭৭ সালের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় সব মন্দির ও ধর্মশালা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। তবে ১৯৭৮ সালে চীনে সংবিধান প্রণীত হলে সেটিতে ‘ধর্মের স্বাধীনতা’ ঘোষণা করা হয় এবং ধর্মের ওপরে রাষ্ট্রের আক্রমণ বন্ধ হয়।
ধর্মে অবিশ্বাসীদের তালিকায় চীনের পরে আছে জাপান (৩১ শতাংশ), চেক রিপাবলিক (৩০ শতাংশ), ফ্রান্স (২৯ শতাংশ) এবং দক্ষিণ কোরিয়া (১৫ শতাংশ)।
অপরদিকে ধর্মে বিশ্বাসী সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকেদের দিকে দিয়ে প্রথম স্থানে আছে ঘানা (৯৬ শতাংশ)। এর পরে আছে নাইজেরিয়া (৯৩ শতাংশ), আর্মেনিয়া (৯২ শতাংশ), ফিজি (৯২), মেসিডোনিয়া (৯০) ও রোমানিয়া (৮৯)।
এ জরিপের সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো ইসলামি রাষ্ট্র সৌদি আরবের পাঁচ শতাংশ মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে দাবি করেছেন। দেশটিতে ধর্মহীন হওয়া আইনত অপরাধ।
ডব্লিউআইএন/জিআইএ-এর ২০১২ জরিপে বিশ্বের সব দেশের ক্ষেত্রে একটি অভিন্ন বিষয় লক্ষ করা গেছে: গরিব ও স্বল্প শিক্ষিতদের মধ্যে ধর্মবিশ্বাস প্রবল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।