দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
পশ্চিম আফ্রিকার দরিদ্রতম একটি রাষ্ট্র ঘানা। তেল আর সোনার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ঘানা দেশের জনগণের অর্থনৈতিক দৈন্যদশাকে ঘোচাতে পারেনি। ক্ষমতাসীনদের ব্যাপকমাত্রায় দুর্নীতি আর খনিজসম্পদের ওপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা না হওয়া দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রধান কারণ। আর তাই নতুন করে চকচকে এ ধাতব পদার্থটির খনির সন্ধান লাভের সঙ্গে সঙ্গে দেশের মানুষ উল্লসিত হওয়ার পরিবর্তে উত্কণ্ঠায় ভুগতে শুরু করে। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ক্রমেই লাফিয়ে বাড়ছে।
এমন সময় ঘানায় আবারও সোনার খনির সন্ধান পেল বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ঘানার মতো দুর্নীতির শীর্ষে থাকা একটি দেশ, যেখানে লাইসেন্স ছাড়াই খনিজসম্পদ উত্তোলনের কাজ পাওয়া যায়-এমন দেশে সোনা পাওয়া গেলে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়তেই পারে দেশের জনগণ। খনির ওপর চালানো ঘানার অধিবাসী আনাস আরেমেইয়াও আনাসের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের জুনে ঘানার মধ্যাঞ্চলের একটি খনিতে গ্লামেসির (খনি থেকে উত্তোলন প্রক্রিয়ার নাম) সময় সেটি ধসে পড়ে। এতে প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক নিহত হয়। নদী, খাল বা কোনো জলাধার থাকলে তার আশপাশের মাটি সাধারণত নরম হয়।
তেমন জায়গায় খনির সুড়ঙ্গগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। এ ছাড়া খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা তো প্রায়ই ঘটে। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে এসব দুর্ঘটনা মাথায় নিয়েই কাজ করতে আসে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী। আর কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করে খনিটিকে শ্রমিকদের কাজের উপযুক্ত না করে, কাজ পাওয়ার জন্য সেই অর্থ ক্ষমতাসীনদের পেছনে খরচ করে। শ্রম আইন অনুসারে বিপজ্জনক এ ধরনের কাজে শিশুদের না নেওয়ার কথা থাকলেও তা মানে না কোম্পানিগুলো।
কারণ সীমিত অর্থ দিয়েই এদের কাজ করানো যায়। ফলে দুর্ঘটনাগুলোতে প্রায়ই শিশু মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। সূত্র আলজাজিরা।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।