ভারতের এক প্রভাবশালী গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি অভিষেক মন্তব্য করেন যে, কোনো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে কোনো সমস্যা নেই তার। সালমানের সঙ্গে এর আগে দুটি সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন তিনি।
সালমানের সঙ্গে অভিষেকের সম্পর্কের শীতলতার কারণ অজানা নয় কারও। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে প্রেম করেন সালমান। এরপর নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে এই বলিউডি জুটির।
অবশেষে ২০০৭ সালে অভিষেকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ঐশ্বরিয়া। এরপর থেকে সালমানের সঙ্গে বচ্চন পরিবারের দূরত্ব ছিল চোখে পড়ার মতো।
যদিও অভিষেকের বাবা অমিতাভের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন সালমান, তবে অভিষেকের সঙ্গে তার সম্পর্কের শীতলতা দূর হয়নি ২০১২ সাল পর্যন্ত।
এমনকি পেশাগতভাবে সহশিল্পী হলেও ব্যক্তিগত জীবনে অমিতাভও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন সালমানের সঙ্গে।
জি মিডিয়া ব্যুরোর খবর অনুযায়ী, ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে মেহেবুব স্টুডিওতে একবার দেখা হয়ে যায় এই দুই অভিনেতার।
অভিষেকের পাশের সেটে কাজ করছিলেন সালমান। এই খবর পেয়ে সালমানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেদিন কাজ শেষে অভিষেককে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসেন সালমান।
তবে ঘটনা ঐ পর্যন্তই। এরপর আর কখনও একসঙ্গে দেখা যায়নি এই দুই অভিনেতাকে।
স¤প্রতি অভিষেককে সালমানের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি সবার সঙ্গেই কাজ করতে রাজি। সালমানের সঙ্গে এর আগে আমি দুটি সিনেমায় কাজ করেছি। ”
একসঙ্গে যে দুটি সিনেমায় কাজ করেছেন সালমান এবং অভিষেক, সে সিনেমা দুটি হল-- ‘ফির মিলেঙ্গে’ এবং ‘ধাই আকশার প্রেম কে’।
চলতি বছরে সালমানের সঙ্গে দূরত্ব মিটিয়েছেন আরও অনেকে। রমজান মাসে শাহরুখের সঙ্গে সবকিছু মিটমাট করেন সালমান।
এরপর একই স্টুডিওতে পাশাপাশি কাজ করার সময় সালমানের সঙ্গে দেখা করতে যান অমিতাভ বচ্চন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।