টানা অবরোধের কারণে বন্ধের দিন শুক্রবার বিশেষ আদেশে চালু থাকায় ব্যাংকগুলোতে নজিরবিহীন লেনদেন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ১৯টি ব্যাংক ৫৬০ কোটি টাকার লেনদেন করেছে। বৃহস্পতিবার এই অংক ছিল ২৭৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় ছুটির দিনে লেনদেন বেড়েছে ২৮২ কোটি টাকা।
এছাড়া শুক্রবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১০ বাণিজ্যিক ব্যাংক ৮০ কোটি টাকা নিয়েছে।
পাশাপাশি নয়টি ব্যাংক ৪৮০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে।
এদিন সঞ্চয়পত্র বিক্রি, ভাঙানোসহ সরকারি খাতেও বেশ কিছু টাকা জমা পড়েছে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। ভাঙানো হয়েছে ৮৪ লাখ টাকা। রোড ট্যাক্স, লাইসেন্স নবায়নসহ বিবিধ খাতে সরকারের কোষাগারে জমা পড়েছে ৪ লাখ টাকা।
জানা যায়, টানা অবরোধ, হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যাংকিং সেক্টরসহ পুরো অর্থনীতি এখন বিপর্যস্থ। স্থবির সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। থমকে গেছে স্বাভাবিক লেনদেন। পঙ্গু হয়েছে আমদানি-রপ্তানির চাকা। দফায় দফায় অবরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৈনিক হাজার কোটি টাকার লেনদেন নেমে আসে ৪ কোটি টাকায়।
রাষ্ট্রায়ত্ত, বিশেষায়িত, বেসরকারি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভাগ এবং জেলা শহরের শাখাগুলোর চিত্র আরও ভয়াবহ। এরই প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীসহ নানা পক্ষের দাবি ও চাপের মুখে ছুটির দিন শুক্রবারও বাণিজ্যিক ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, অবরোধের কারণে এখন টাকা তোলার চাহিদা কম। এছাড়া বর্তমানে রাস্তাঘাট নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। এ কারণে কোন ব্যাংক টাকা নিয়ে যেতে সাহস করছে না।
ব্যাংকগুলো টাকা নেয় তাদের গ্রাহকদের চাহিদা মেটানোর জন্য কিন্তু ব্যাংকে গ্রাহকদের উপস্থিতি এবং লেনদেন খুবই কম থাকায় ব্যাংকগুলো টাকার সঙ্কটে পড়ছে না। এ কারণে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার ব্যাংক খোলা থাকার পাশাপাশি অবরোধ না থাকায় এদিন অনেকেই লেনদেন করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।