৮৩ ঘন্টা অবরোধের প্রথম দিন নাটোরে মিছিল সমাবেশ করেছে ১৮ দল। সকাল থেকেই শহরের ষ্টেশন এলাকায় ছাত্রদল ও যুবদল এবং মাদরাসা মোড় হরিশপুর এলাকায় ছাত্রশিবির টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল সমাবেশ করে।
বনপাড়া-হাটিকুমরম্নল মহাসড়কের নয়াবাজারে ১৫টি ট্রাক, নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের একডালায় ১২ টি ট্রাক এবং নাটোর-পাবনা মহাসড়কের দাঁইড়পাড়া এলাকায় প্রায় ৫০টি ট্রাক-বাস ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। পরে দাঁইড়পাড়ায় পুলিশ অবরোধকারীদের না পেয়ে ৫-৭টি দোকান ঘর ও চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
১৮ দল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হরিশপুর বাইপাস মোড় থেকে মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নাটোর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোঃ ইউনুস আলী, সেক্রেটারী অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান, জেলা বিএনপির নেতা এনায়েত হোসেন চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ ও শহর জামায়াতের আমীর আতিকুল ইসলাম রাসেল।
প্রায় একই সময়ে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ আমিনুল হক ও সহ-সভাপতি রহিম নেওয়াজের নেতৃত্বে ষ্টেশন এলাকায় ছাত্রদল ও যুবদল মিছিল করে। এর আগে সকাল আটটার দিকে হরিশপুর এলাকায় জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আলী আল মাসুদ মিলনের নেতৃত্বে মিছিল সমাবেশ করে জেলা ছাত্রশিবির।
অবরোধে নাটোর থেকে কোন যানবাহন ছেড়ে যায়নি বা নাটোরে আসেও নাই। বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের নয়াবাজারে অবরোধকারীরা সকাল থেকে অবস্থান নিলে দুই শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে। এ সময় যাওয়ার চেষ্ঠা করলে ১৫টি ট্রাক ভাংচুর করে অবরোধকারীরা।
পরে দুপুরের দিকে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে পড়া যানবাহন গুলো পাহারা দিয়ে পার করে দেয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।