আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডেটলাইন 29 ডিসেম্বর : যা হতে পারে (আগাম কল্পনা )



01. সেদিন কয়েক লক্ষ মানুষের শান্তিপূর্ণ বাঁধাহীন সমাবেশ হবে । বেগম জিয়া জ্বালাময়ী বক্তৃতার পর ৩০ তারিখ জেলায় জেলায় বিক্ষোভ,৩১ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা হরতাল এবং অবরোধসহ যে সব এলাকায় নির্বাচন হবে সে সব এলাকায় ‘গণকারফিউ’ জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা। সমাবেশ শেষে শান্তিপূর্ণভাবে নিজনিজ এলাকায় ফিরে যাওয়া,বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতা । .........অথবা

02. ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসী’ উপলক্ষে ঢাকা অভিমুখী ১৮ দলীয় নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আসা ঠেকাতে সরকার এবং সরকারি দলের পক্ষ থেকে গাড়ি,লঞ্চ,ট্রেন সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী,সরকারি দলের কর্মীরা সহিংস উপায়ে বাধা দিতে পারে।

এর ফলে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক সংঘর্ষ এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। বিরোধী দলের নয়াপল্টন অফিসের সামনে সমাবেশ ভণ্ডুল হয়ে যাবে। ...........অথবা

03. সকল বাঁধা উপেক্ষা করে নয়াপল্টনে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষের একটি সমাবেশ হবে এবং সে সমাবেশ থেকে উপরে বর্ণিত কর্মসূচি সমূহ ঘোষণা করা হবে। .........অথবা

04. সকল বাঁধা উপেক্ষা করে নয়া পল্টনে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হবে। এবং সে সমাবেশ সেখানে অবস্থান নিয়ে অব্যাহত রাখা হবে এবং ৩০ ডিসেম্বর বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ঐ সমাবেশে জমায়েত হওয়া জনতা গণমিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করে সেখানে আরও একটি দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।

পুলিশ প্রশাসনের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রন শিথিল হয়ে আসবে এবং সরকার বিরোধী মনোভাব সম্পন্ন ১৮ দল বহির্ভূত রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সাথে সংহতি জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসবে।
অথবা নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করতে গিয়ে পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হবে এবং পুরো ঢাকা শহর আতঙ্কের নগরে পরিণত হবে এবং সে রাতে বেগম জিয়াসহ বিএনপির নেতাদের ব্যাপকহারে গ্রেফতার করা হতে পারে। ........অথবা

05. সেদিন রাজধানী জুড়ে নিরাপত্তাবাহিনী ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। সহযোগিতা করবে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা। বাধা উপেক্ষা করে বেগম জিয়া এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা নয়াপল্টনে যেতে চাইলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হতে পারে এবং পুলিশী হামলায় ভুণ্ডুল হয়ে যেতে পারে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসী’ কর্মসূচী।

...........অথবা

06. ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ ব্যর্থ করবার জন্য জেলায় জেলায় এবং রাজধানীতে ব্যাপকহারে গণগ্রেফতার করা হতে পারে। একই সাথে ২৯ ডিসেম্বর অথবা তার আগের দিন বেগম জিয়াকে গৃহবন্দী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করা হতে পারে। ...........অথবা

07. ২৯ ডিসেম্বর কিংবা তার আগে রাজধানীতে ব্যাপক সহিংসতা নাশকতা ঘটতে পারে। .........অথবা

08. ২৯ ডিসেম্বর লাঠি-লগি বৈঠার আন্দোলনের মত ঐ দিন ক্ষমতাসীন দল এবং সরকারি দলের কর্মীদের মধ্যে ভয়াবহ প্রাণঘাতি সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে। পরিস্থিতি চলে যেতে পারে সব পক্ষের নিয়ন্ত্রনের বাইরে।



[ আমি প্রত্যাশা করি সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে এবং অমঙ্গলের কিছুই ঘটবে না। ]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।