নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আয়ারল্যান্ডভিত্তিক প্রাইমার্ক, স্পেনের এল কোর্তে ইঙ্গলস, কানাডার লোব্লো ও যুক্তরাজ্যের বোনমার্শ এই তহবিলে অর্থ জোগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্টের মতো নামকরা প্রতিষ্ঠান, যারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অন্যতম বড় ক্রেতা, তারা এই উদ্যোগে আসনে না।
রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে গত সেপ্টেম্বরে জেনেভায় পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর এক দফা আলোচনা ব্যর্থ হয়। এরপর গতমাসে আইএলওর মধ্যস্ততায় তহবিল গঠনের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায় সব পক্ষ।
বাংলাদেশ সরকার, পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠন (বিজিএমইএ) এবং এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনও তহবিল গঠনের চুক্তিতে সই করেছে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে এতে কোনো অর্থ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শ্রিম সচিব মিকাইল শিপার।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ৭৭৭ ক্ষতিগ্রস্তকে ১৮ কোটি টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে। অন্য ক্ষতিগ্রস্তদেরও শিগগিরই দেয়া হবে।
আইএলও কর্মকর্তা লেজো সিবেল বলেন, “রানা প্লাজা ধসে নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে এই তহবিল গঠন করা হয়েছে। এ জন্য প্রায় চল্লিশ মিলিয়ন (চার কোটি) ডলারের প্রয়োজন হবে।
”
তৈরি পোশাকের খ্যাতনামা ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো এই তহবিলে স্বেচ্ছায় অর্থ জোগান দেবে জানিয়ে সিবেল বলেন, “আন্তর্জাতিক যে কোনো দাতা গোষ্ঠিও এতে অংশ নিতে পারে। ”
গত ২৪ এপ্রিল সাভারে নয় তলা রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় হতাহতদের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক, যারা রানা প্লাজায় থাকা কয়েকটি গার্মেন্ট কারখানায় কাজ করতেন।
এ ঘটনার পর ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক খুচরা পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের কারখানাগুলোয় শ্রমিকদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে কথা বললেও ভবন ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের সহাতার ব্যাপারে থুব একটা আগ্রহী হচ্ছিল না।
নতুন তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ফ্রেব্রুয়ারি থেকেই সহায়তা পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ নিয়ে কাজ করা আমস্টারডামভিত্তিক সংগঠন ক্লিন ক্লথ ক্যাম্পেইনের সমন্বয়ক ইনেকে জেলদেনরাস্ট।
ক্ষতিগ্রস্তরা কি পরিমাণ অর্থ সহায়তা পাবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু না জানালেও জেলদেনরাস্ট বলেন, “ক্ষতিপূরণ একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হবে। নিহতদের ক্ষেত্রে তাদের সুবিভাভোগীদের বয়স ও পরিবারের অবস্থাও বিবেচ্য হবে।
“আহতদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সহায়তা দেয়া হবে,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক শিল্পে ৩৬ লাখের বেশি শ্রমিক জড়িত, যাদের অধিকাংশই নারী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।