যশোর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাস্টার নুরন্নবীকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহরের রেলরোড এলাকা থেকে থানাপুলিশ ও ডিবি'র একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত যশোর জেলা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৫৫ জনকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন মনিরামপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক ও খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনসহ ১০ জন বিএনপি ও ৪ জন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারির গ্রেফতারের কথা স্বীকার করে বলেছেন, নাশকতায় অংশ নিতে পারেন এমন আশঙ্কাতেই মাস্টার নুরন্নবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া কয়েকটি মামলার আসামিও তিনি।
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবদুর রশিদ বলেন, জুলুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সরকার যেভাবে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবেলা করতে চাইছে, মাস্টার নুরন্নবীকে গ্রেফতারের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। এসবের পরিণাম ভালো হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
যশোর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, বিশেষ অভিযানের নামে পুলিশ ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। এমনকি জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারাও পুলিশের টার্গেট।
এদিকে, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জামায়াতের সেক্রেটারি মাস্টার নুরন্নবী, দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, রাজধানীমুখী গণতন্ত্র অভিযাত্রা ব্যাহত করতে সরকারের নির্দেশে এ গ্রেফতার অভিযান চলছে। কিন্তু এভাবে শেষ রক্ষা হবে না।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।