আমার আপির মেয়ে মিনি। খুব বেশি মিষ্টি চেহারার দুষ্টু একটা মেয়ে। সব টা সময় প্রশ্ন করতেই থাকে। মা মনি এইটা কি?ঐ টা কি?কত যে জানার ইচ্ছা। আল্লাহ মালুম..............................................।
বাসা্য় সারাক্ষণ আপির সাথেই মিনির সব আলাপ। আপি সুযোগ পেলেই মিনিকে পড়তে বসায়। আপি মিনিকে নাম লেখা শেখাই। এর পর থেকেই আপি পরে বিপদে । মিনি যেখানেই যা পাই,লিখতে বসে যায়।
একদিন তো ভাইয়ার অফিসিয়াল ফাইলেই নাম লেখে ভরে ফেলে। আপি মিনির এত আগ্রহ দেখে স্কুলে ভর্তি করার কথা ভাবে। যেই কথা,সেই কাজ। আমাকে সাথে নিয়ে একদিন মিনি কে স্কুলে নিয়ে যাই। ম্যাম মিনিকে একটা কাগজ আর পেনসিল দিয়ে বলে মিনি তোমার নাম লেখোতো।
মিনি খুব গম্ভির ভাবে কাগজটার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি মিনিকে লেখার জন্য ইসারা করলাম, মিনি আমার ইসারার পাত্তাই দিলো না। একটু হাসি হাসি মুখে পেনসিলটা ধরে রাখল। এভাবে অনেক ক্ষণ কাটল। আপি বিরক্ত হয়ে মিনিকে চাপা ধমক দিলো।
এবং সাথে সাথেই কাজ হল,মিনি কাপা কাপা হাতে লেখা শুরু করল। লেখা শেষ না হতেই পেনসিল টা মট করে ভেঙ্গে গেল। ম্যাম মিনির ভিতু চেহারা দেখে বলল,''থাক মিনিকে লিখতে হবে না,আমরা মিনিকে ভর্তি করে নিলাম" কথা শেষ করে যখন আমরা বাইরে চলে এসেছি,মিনি তখন ঘোষনা করলো ম্যামের মুখে অনেক ব্রণ,দেখতে খুব পোচা,আমি এইখানে পড়ব না.........................। খুব অবাক হয়ে ভাবলাম,এত ছোট বাচচাটাও সুন্দর জিনিসটা বোঝে। আপি মিনিকে অনেক বকা বকি করলো।
কিন্তু কাজ হলনা। অবশেষে সুন্দরি ম্যাম দেখে একটা স্কুলে মিনিকে ভর্তি করা হল। মিনিকে স্কুলে আনা নেওয়াটা দুলাভাই-ই করত,সুন্দরি ম্যামের সাথে দুলাভাই এর বেস খাতির হয়ে যাই। অল্প দিনেই মিনি পড়ালেখাটা রপ্ত করে ফেলে। এর মাঝে ঘোটে যাই অন্য ঘটনা,মিনির আমমু,মানে আমার আপির মুখে অনেক ব্রণ উঠে।
মিনি এমুন অবস্হা দেখে দুলাভাই কে এ্যাডভাইস করে,তার ম্যামকে বি্য়ে করার জন্য........। এখুন বুঝুন অবস্হা..........।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।